সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২০ জুন, ২০১৬ ১৫:৫৫

‘এবার বাবা দিবসের সেরা উপহার: বাবার মৃত্যুর প্রতিবাদে ছেলের জেল’

গত শনিবার ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা এক রোগীর ছেলেকে চিকিৎসক লাঞ্ছনার অভিযোগে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়ার পর বিষয়টি নাড়া দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শনিবার "বাবা মারা গেছেন, ছেলেকে কারাদণ্ড দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত " শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখান। লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেয়ার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকেই।

জেলা যুবলীগ নেতা শাজলু লস্কর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন:

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসকের অবহেলায় বাবার মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছেলে কারাগারে

এসেছিলেন বাবাকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যাবেন বাবা ঠিকই বাড়ি গেছেন তবে আসল বাড়ি শেষ ঠিকানা কবরে,আর ছেলে কারাগারে,হায়রে মানবতা এত নিষ্ঠুর আমরা,ধরেই নিলাম ছেলেটি বাবার জন্য আবেক তাড়িত হয়ে  চিকিৎসককে নাজেহাল করেছে,ধরেই নিলাম ঐ চিকিৎসকের সর্বচ্চো সম্মানে বিষয়টি আগাত হেনেছে, চিকিৎসক মশাইরা আপনারাও তো মানুষ একবার ও কি ঐ ছেলেটির বাবার কথা চিন্তা করলেন না, তার বাবা মৃত আর কোনদিন তার বাবার মুখ সে দেখবে না ঐ হাসপাতালে তার বাবাকে মৃত অবস্থায় রেখে তাকে পুলিশে দিলেন ভ্রাম্যমাণ   আদালত এসে তাকে তিনমাসের কারাদণ্ড ও দিল,ছেলেটি বাবা বাবা বলে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল কারো মনে কি এতটুকু দাগ কাটেনি ছেলেটির জন্য,আমরা কোন সমাজে বসবাস করছি একমাস আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবাকে চিকিৎসা দিতে এসে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আছে ঐ হতভাগা বাবার হতভাগা সন্তান।

আসুন না আমরা এই অন্যায় অমানবিক আচরণের জন্য প্রতিবাদ করি, বিশ্ব বাবা দিবসে আমাদের সকলের বাবার প্রতি ভালবাসার একটি নজির তৈরি করি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিওমেক) সি.সি.ইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান আতিকুর রহমান (৫৫)। এসময় চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ এনে কর্তব্যরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করেন আতিকুর রহমানের ছেলে মকবুল মিয়া। পরে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়।


চিকিৎসক লাঞ্ছনার ঘটনায় শনিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটের চিকিৎসকরা। এরপর দুপুর ১২ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মৃতের ছেলে মকবুল মিয়াকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডের পর চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত