সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৬ জুন, ২০১৬ ১৬:২০

নায়ক নয়, অধিনায়ক হিসেবে হিরো আলমকে স্যালুট!

সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে হিরো আলম (Hero Alom) নামের একটা পেজের পোস্ট, ভিডিওকে কেন্দ্র করে চলমান হাস্যরসের বিপরিতপথে হেঁটেছেন তরুণ শিল্পী শতাব্দী ভব। তিনি হিরো আলমের কাজগুলোর জন্যে নায়ক হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে 'স্যালুট' জানিয়েছেন।

শতাব্দী ভব লিখেন, আর এই সাহসটা করার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ হিরো আলম। গতকালই প্রথম নামটা শুনেছি। বেশ কটি ভিডিও দেখলাম। আমার কাছে মোটেও হাস্যকর মনে হয় নি, বরং তার অনুকরণ করার প্রতিভা দেখে বিস্মিত হয়েছি।

তিনি আরও লিখেন, একবার ভেবে দেখুন একটা মানুষ কোন কোরিওগ্রাফার, নৃত্য পরিচালক এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া যা বানিয়েছেন তা বাহবা পাবার মতো। তার হয়তো কিছুই নেই, ভালো করে বাংলাটাও বলতে না, কিন্তু সাহস আর স্বপ্নটা আমার আপনার চেয়ে অনেক তরতাজা।

শতাব্দী ভব-এর ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-

মিডিয়াতে এতো বছর কাজ করেও আজও ফলস লুক এড়াতে পারলাম না। বোকাচুদা বাক্সে বসে লাইভ ক্রিকেট দেখলে সব জলের মতোই সহজ মনে হয়, আহ তামিম এই বলটা ওভাবে খেললেও পারতো, কিন্তু কখনো ভাবি না সে কত পরিশ্রম আর সাধনায় আজ তামিম, আমরা এগারো কোটি গ্যালারি বা বসার ঘরে বসে কি বললাম তাতে কিচ্ছু যায় আসে না এগারো জনের।

গ্যাংনাম স্টাইল নাচটা হয়তো অনেকেই দেখেছেন। অনলাইনে কোলাবেরি ডি গানটা কি ঝড়ই না তুললো। অর্ণবের বিখ্যাত গান সে যে বসে আছে কিন্তু ডেমো ছিলো। এতো কিছু বলছি কারণ এখন প্রতিটি ব্যক্তিই একএকটা প্রতিষ্ঠান। কোন থার্ড পার্টির দরকার পড়ে না। শিল্পী নিজেই শিল্প পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের হাতে। নিজেকে প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে এবং সবাই চায় তাকে সবাই চিনুক, প্রশংসা করুক। আসলে মুখে যে যাই বলুক এই একটি তাড়নাই মানুষকে এগিয়ে নেয় খ্যাতি, সুখ, সম্মান।
খালি গলায় আড্ডার গানও মানুষ হরহামেশাই সেলফোনে ধারণ করে অনলাইনে প্রকাশ করছে। কবে সাত মন ঘি হবে আর রাধা নাচবে এ আশায় বোকারাই বসে থাকে। বুদ্ধিমানেরা হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের পিতারা যদি ভাবতেন, ট্যাঙ্ক আসুক, মিশাইল আসুক, গোলাবারুদ আসুক তখন যুদ্ধ করবো তবে দেশটা আজ স্বাধীন হতো না। সাহস করে যা আছে তাই নিয়ে নেমে পরতে হয়।

আর এই সাহসটা করার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ হিরো আলম। গতকালই প্রথম নামটা শুনেছি। বেশ কটি ভিডিও দেখলাম। আমার কাছে মোটেও হাস্যকর মনে হয় নি, বরং তার অনুকরণ করার প্রতিভা দেখে বিস্মিত হয়েছি। একবার ভেবে দেখুন একটা মানুষ কোন কোরিওগ্রাফার, নৃত্য পরিচালক এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া যা বানিয়েছেন তা বাহবা পাবার মতো। তার হয়তো কিছুই নেই, ভালো করে বাংলাটাও বলতে না, কিন্তু সাহস আর স্বপ্নটা আমার আপনার চেয়ে অনেক তরতাজা। পাটুয়াটুলির মিউজিক ভিডিওগুলো দেখেছেন নাকি কেউ? আলমের চেয়ে অনেক নিম্নমানের ও রুচির ভিডিও বাজার সয়লাব। ঐ সব মডেল নায়িকাদের সাথে আলমের নায়িকার পার্থক্য কেবল দামি পোষাক আর আটা ময়দা সুজিতে। হিরো আলমের প্রতিটি স্টেপ, সংলাপ, দৃশ্যায়ন কি নিখুঁত অনুকরণ।

আজ অনন্ত জলিলের মতো সিআইপি হলে আলমও অসম্ভবকে সম্ভব করতেন। ইভা রহমান হলে আলমের গানের চিত্রায়নও সাতাশটা দেশে হতো। তার ভুল বাংলা বানানটা হতো আর্ট। তিনি নিজের অফিশিয়াল ফ্যান প্যাজ খুলেছেন তাতে টিটকারি মারা কি হলো। উনার বাজারে কাজ আছে,( মান নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলেন তাহলে অনেক রাঘব বোয়ালও শিং এর মতো কাদায় লুকাবে) ফ্যান পেজ থাকতেই পারে। উনি একজন আর্টিস্ট হিসেবে প্রেস রিলিজও পাঠাতে পারেন। বাংলাদেশের নামি দামি প্রতিষ্ঠানের কাজের নমুনা আমরা জানি। আমরা জানি তারকা শিল্পীদের মিউজিক ভিডিওর ঘরে বাইরে।

আজ যদি হিরো আলম একখানা নীল ছবি বানিয় অনলাইনে প্রকাশ করতেন, হাতের কাজ সারতে আপনারা হামলে পড়তেন। বাসর নিয়ে হিরো আলমের ভিডিওটা যদি বাংলা চলচ্চিত্রে নির্মাণ হতো সেন্সর পেতে কহাজার ফিট যে কাটতে হতো? নায়ক হতে হলেই গোস্ত সর্বস্ব আধা মেয়েলি হতে হয় না। হিরো আলমের কাজ নিয়ে অনেক মন্তব্যই করা যায়, আমি করছি না কারণ সে কাজ করছে আর আমার মতো গাধার দল জানে শুধু মন্তব্য করতে, যে কাজ করছে তাকে টেনে ধরতে। আমরা বসে বসে বুলি কপচাবো আর দুচারজন কাজ করবে তাতো হতে দেয়া যায় না। এমন লাখ হিরো আলম বেরিয়ে আসুক সেখান থেকে সময় বের করে নিয়ে আসবে সুপার হিরোকে।

hero alom আপনাকে স্যালুট। নায়ক হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে...

আপনার মন্তব্য

আলোচিত