২৯ জুন, ২০১৬ ১৯:২৪
দেশে মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে একে গুরুতর অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করে কোথায় কোন শহরে এমন ঘটনা ঘটেছে সে প্রশ্ন তুলে তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া একটি বড় ধরনের অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রবাসী এ সাংবাদিক আরও লিখেন, এই বক্তব্য দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। খালেদা জিয়ার হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে তার এই বক্তব্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। আর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
শওগাত আলী সাগরের ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-
একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন,”আজকে মসজিদের মাইকে আজান পর্যন্ত কাউকে দিতে দেওয়া হয় না। এর কী কারণ? মসজিদে আজান হবে, আমরা আজানের অপেক্ষায় বসে থাকি, আজান শুনে আমরা নামাজ পড়ব, মানুষ সেই অপেক্ষায় বসে থাকে। কিন্তু হাসিনার নিরাপত্তার ব্যাপারে না কি মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া যাবে না। এ হল অবস্থা।” (সূত্র: বিডিনিউজ)।
কোথায়, কোন শহরে মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে- সুনির্দিষ্টভাবে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেননি।
অথচ যে অভিযোগ তিনি তুলেছেন, সেটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুতর। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, একটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রী তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া একটি বড় ধরনের অপরাধ। কেননা, এই বক্তব্য দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। খালেদা জিয়ার হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে তার এই বক্তব্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। আর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
আমরা চাইবো- বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করবেন। আর প্রমাণ না থাকলে দু:খ প্রকাশ করে অনভিপ্রেত এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। নইলে তিনি দাঙ্গা সৃষ্টির উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।
আপনার মন্তব্য