সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১২:৩৫

প্রধানমন্ত্রীর অনুদান নিতে চাননি এন্ড্রু কিশোর

সামিনা চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া ছবি

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে চিকিৎসার জন্য দশ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) গণভবনে এ শিল্পীর হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এন্ড্রু কিশোরের মতো একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর অর্থ সহায়তা নেওয়ার সংবাদটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানামুখী আলোচনার শুরু হয়। ইতিবাচক-নেতিবাচক এই সমালোচনার মধ্যে কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী জানিয়েছেন এর পেছনের গল্প। এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেয়া এ শিল্পী জানালেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এন্ড্রু কিশোর অর্থ সহায়তা নিতে না চাইলে প্রধানমন্ত্রী জোর করেই সেটা দেন এই শিল্পীকে। সামিনা চৌধুরী লিখেছেন- এন্ড্রু কিশোর প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানের কোনও আবেদন করেননি। প্রধানমন্ত্রী নিজ থেকে তাকে এ অনুদান দিয়েছেন। এন্ড্রু কিশোরকে অনেকটা জোর করেই এ টাকা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সামিনা চৌধুরী লিখেন-

‘বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর (‘দা)-কে ডাকা হয়েছিল একটা প্রোগ্রামের ব্যাপারে আলাপ করার জন্য। এন্ড্রু দা মাসখানেক ধরে হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন এটি ওনার ছোটবেলা থেকেই সমস্যা। এ কারণে ওজন একটু কমে গিয়েছে, স্ক্রিন কালার একটু চেঞ্জ হয়েছে...। এটি জিজ্ঞেস করার পর এবং জানার পর প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে দাদাকে ১০ লাখ টাকা পরিমাণ অর্থের একটি চেক দিয়েছেন।

এন্ড্রু দা নিতে না চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন যে, চেকটি তিনি বড়বোন হিসেবে দিতে চাইছেন...। একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে থেকে কাউকে কিছু দিতে চান, সেটি উপেক্ষা করা তাকে অসম্মান করা বৈকি! আমি যতটুকু জেনেছি, টাকার ব্যাপারটি এটুকুই।

মোমেন বিশ্বাসের কাছ থেকে আমি পুরো ঘটনাটি জানতে পারি। আমরা অনেক কষ্টে একজন করে ক্ষণজন্মা মৌলিক কণ্ঠশিল্পী পাই। তাকে ভালোবাসা দিয়ে মনে সাহস দিয়ে বাঁচতে ও গান গেয়ে যেতে সাহায্য করা যে আমাদের এবং আমাদেরই দায়িত্ব। ১০ লাখ টাকার জন্য যে এন্ড্রু দার মতো শিল্পী কারও কাছেই টাকা চাইবেন না, এ ব্যাপারে অন্তত আমি নিশ্চিত।

আমি তার স্নেহধন্য ছোট বোন, সবসময় তাদের স্নেহের ছায়ায় আছি, থাকতে চাই আজীবন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সবাই এখন প্রিয় শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের জন্য প্রার্থনা করি, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফেরেন। যেন খুশি মনে গেয়ে ওঠেন- ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি... এই চোখ দু’টো মাটি খেয়োনা...।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত