প্রবাস ডেস্ক

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ১৬:০২

মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন খায়রুজ্জামান

মালয়েশিয়ার আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার খায়রুজ্জামান। মালয়েশিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বুধবার তার স্ত্রী রিতা রহমানের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন। খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, খায়রুজ্জামানকে মুক্তির সময় কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। এখন তিনি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।

স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর একটায় আইনজীবীদেরকে খায়রুজ্জামানের মুক্তির বিষয়টি জানানো হয়। পরে আইনজীবীরা গিয়ে তাকে নিয়ে আসেন।

মুক্তির পর ফোনে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে খায়রুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের মিথ্যা অভিযোগের কারণে হয়রানি ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।’

‘আমার পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। বিশেষত আমার স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিল।’’

তিনি আরও দাবি করেন, তার কাছে (জেলহত্যার ঘটনার) পর্যাপ্ত সরকারি রেকর্ড ও ডকুমেন্ট আছে। এসব তিনি প্রকাশ্যে আনবেন। যাতে প্রমাণ হবে তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি সেখানেই আছেন। তবে স্ত্রীর কাছে যেতে খায়রুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার আবেদন করলেও মালয়েশিয়া পুলিশের ভেরিফিকেশনের কারণে তা আটকে আছে।

সাবেক এ হাই কমিশনার বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। কারাগার থেকে মুক্তির পর তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমার ছাড়া পাওয়ার ঘটনায় সে খুবই উচ্ছ্বসিত।

খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় একজন রাজনৈতিক শরণার্থী বলে দাবি করেন তার আইনজীবী এ এস ঢালিওয়াল। তিনি বলেন, ‘খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী। তাকে আটক করা বেআইনি। তার ভ্রমণের বৈধ কাগজ আছে। অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি তিনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার নেই মালয়েশিয়ার।’

এর আগে খায়রুজ্জামানকে যাতে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা না হয়, সে জন্য মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন দেশটির হাইকোর্ট। হস্তান্তরের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে খায়রুজ্জামানের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে তা মঞ্জুর করেন বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান।

খায়রুজ্জামানের পক্ষে করা আবেদনের শুনানির জন্য মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট আগামী ২০ মে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত