সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ মার্চ, ২০২২ ০১:০৫

কারো প্রতিই বৈষম্যমূলক আচরণ নয়, সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
 
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী রিলিজিয়াস এন্ড এথনিক মাইনোরিটিজের পক্ষে দিলীপ নাথের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ১১ জন প্রতিনিধি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল ডক্টর মনিরুল ইসলাম ও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কোয়ালিশনের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করে এর মূল বক্তব্য পড়ে শোনান ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন রেসিজম বা বর্নবাদ সিস্টেমেটিক বলে প্রেসিডেণ্ট বাইডেন স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশেও তেমনি সাম্প্রদায়িকতা সিস্টেমেটিক, যে কারণে ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবধি সংখ্যালঘু নির্যাতকদের কোন বিচার হয়নি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়েকযুগ রমনা কালী বাড়ীতে প্রবেশাধিকার মেলেনি, শত্রুসম্পত্তি আইন বাতিল হয়নি এবং লক্ষ সংখ্যালঘু অত্যাচারিত হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে।

কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, এই সমস্যার টেকসই সমাধান করতে চাইলে সরকার যে কোন দিন তা করতে পারে। বর্তমান সরকারের সংসদে এবস্যুলুট মেজরিটি রয়েছে।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি সুপারিশনামা তুলে দে নেতৃবৃন্দ। এতে রয়েছে-

১) "সংখ্যালঘু'' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
২) দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে ৬৪ টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য রিজার্ভ করতে হবে। তারা সংখ্যালঘু কতৃক মনোনীত হয়ে শুধু সংখ্যালঘুদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে সংখ্যালঘুদের ভালমন্দ দেখভাল করবেন।
৩) পার্বত্য চট্টগ্রাম ও গারো পাহাড়ের অংশবিশেষকে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত নিরাপদ এলাকা ঘোষনা করতে হবে।
৪) সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, এফার্মেটিভ একশন আইন, হেইট স্পীচ আইন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন করতে হবে।
৫) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রৃষ্টান ফাউন্ডেশন গঠন করতে হবে।

বৈঠকে কম্যুনিটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহন করেন দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, বিদ্যুৎ সরকার, প্রবীর রায়, ভবতোষ মিত্র, প্রিয়তোষ দে, রনবীর বড়ুয়া,  সুশীল সিনহা, শুভ রায়, দীনেশ মজুমদার, শামু রুদ্র ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য।

এসময় সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের পলিসি হচ্ছে দেশে কারও প্রতি বৈষম্যেমূলক আচরণ করা যাবেই না, আর নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না- সরকার এই সমস্যার সমাধানের জন্য সক্রিয় চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের সভায় যে সকল দাবী এবং সুপারিশ নামা পেশ করা হয়েছে সেগুলো তিনি সরকারের উচ্চতন পর্যায়ে পৌছে দেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত