০২ জুন, ২০২৩ ১৭:৪০
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এবং দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনে লন্ডনে গত বুধবার বাংলাদেশ এবং ভারতের হাইকমিশন যৌথভাবে বিশেষ রবীন্দ্র সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম দেশাত্মবোধক গান ‘আমার সোনার বাংলা’ বেছে নেয়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং একজন বাঙালি কবি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা ভাষায় তাঁর সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন স্থাপন করেছে।”
হাইকমিশনার বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করেছেন।”
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম সুন্দরভাবে মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ককে চিত্রিত করেছে। তিনি যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর জোর দেন যা ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য আরও গভীর করবে।
“রবীন্দ্রনাথ ও প্রকৃতি” শীর্ষক এই মনোমুগ্ধকর ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও রবীন্দ্র গবেষক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ভারতের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিরুদ্ধ কুমার ঘোষাল রবিঠাকুরের প্রকৃতি বিষয়ের গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের বিমোহিত করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো বিশিষ্ট অভিনেত্রী শম্পা রেজার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ইংরেজি অনুবাদের অনবদ্য আবৃত্তি এবং ঋতুভিত্তিক রবীন্দ্রসংগীতের সাথে বিশিষ্ট ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নৃত্যশিল্পী সৌমী দাশ ও তাঁর সহশিল্পীদের বর্ণাঢ্য নৃত্য পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশি ও ভারতীয় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য