২০ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৭
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে কমরেড শ্রীকান্ত দাশের ১৪তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্রীকান্ত সংহতি পরিষদ যুক্তরাজ্যের আয়োজনে রোববার লন্ডনের বারানাসি শেফস রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত শ্রীকান্ত দাশ এর ১৪তম প্রয়াণ দিবসের স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রীকান্ত সংহতি পরিষদ লন্ডনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং কমিউনিস্ট পার্টির যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ শাখার সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট আবেদ আলী আবিদ।
স্মরণসভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রীকান্ত সংহতি পরিষদের অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক, লেখক জুয়েল রাজ।
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ট্রেজারার সাংবাদিক সালেহ আহমেদ, লেবার পার্টি নিউহাম কাউন্সিলের ওয়াল এন্ড ওয়ার্ডের সাবেক চেয়ারপার্সন স্বরূপ শ্যাম চৌধুরী শিবু, বাংলাদেশি ওয়ার্কার্স কাউন্সিল যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শাহরিয়ার বিন আলী, যুক্তরাজ্য ফ্রেন্ডস অব ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আ ক ম চুন্নু, সংস্কৃতি কর্মী ফেরদৌসি লিপি ও অভিশেখ শেখর জিকু প্রমুখ।
স্মরণ সভায় বক্তারা কমরেড শ্রীকান্ত দাশের শ্রেণিহীন সমাজ বিনির্মাণে আজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগের নানা স্মৃতিচারণ করেন।
তারা বলেন, কমরেড শ্রীকান্ত দাশ গানে গানে যেমন মানুষকে জাগিয়েছেন তেমনি আন্দোলন-সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিতে ভূমিকা রেখেছেন আমৃত্যু। সব ধরনের শোষণ নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন চারণ বিপ্লবী। সময় সময়ে ধরেছেন কলম। ভাটি এলাকার জীবন-যুদ্ধ হতে মুক্তিযুদ্ধের নাটক সহ অনেক গান, কবিতা, পথনাটক বেরিয়ে আসে তাঁর লেখনিতে। তিনি ছিলেন একজন বিশুদ্ধ মানুষ, মাটির মানুষ। বর্ষার পলি মাটি আবার চৈত্রের শক্ত মাটির ন্যায় আদর্শিক মানুষ যিনি ভাটির হাওরের ঘরে ঘরে সমাজতন্ত্রের বীজ বপন করেছেন যিনি অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল। তাঁর জীবন এবং মৃত্যু দুটোই অক্ষয়। মৃত্যুর ভেতর দিয়ে মৃত্যু পরবর্তীকালেও ভবিষ্যতের কল্যাণে দেহদানের মাধ্যমে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর জীবন কর্ম ত্যাগ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সভাপতি আবেদ আলী বলেন, যতটুকু জানা যায় “শৈশবে নেতাজী সুভাষ বসুর বক্তব্য শোনে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিকে ধারণ করে সাম্য ও সমাজ ব্যবস্থার সমাজতন্ত্রের রাজনীতিতে আজীবন শিল্পী বিপ্লবী ছিলেন। তিনি এতো নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন যা গণ মানুষের ভাষা বুঝতেন। গণমানুষের জন্য গণসংগীত গাইতেন, গণসংগীত রচনা করতেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গান ‘কাউয়ায় ধান খাইলে রে খেদানোর মানুষ নাই, কামের বেলা আছে মানুষ, খাওয়ার বেলা নাই’।
তিনি আরও বলেন, কমরেড শ্রীকান্ত দাশ শাল্লা উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা হলেও বিশ্বজুড়ে নানা শাখার ন্যায় উনার একটা ব্যক্তিগত উদীচীর শাখা ছিল; বিষয়টি এরকম তাঁর কাঁধে ঝোলানে ব্যাগে উদীচীর ছোট একটি সাইনবোর্ড ও উদীচীর ব্যানার রেখে সময় ও সুযোগ মতো ব্যবহার করে চলন্ত উদীচী বা মোবাইল উদীচীর মতো গণমানুষের চেতনাকে শাণিত করতেন।
আপনার মন্তব্য