রণেশ মৈত্র

০৮ নভেম্বর, ২০১৬ ১৩:৪৩

নেতৃত্বহীনতার শেষ পর্যায়- করুণ অধ্যায়

যে পক্ষ লক্ষ বাঙালি হত্যা, খুন, লুট, ধর্ষণ অপহরণের মধ্যে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর সোনালী বিকেলে বাঙালি জাতির অসাধারণ সাফল্য ও তাৎপর্যময় বিজয় অর্জিত হয়েছিল বিগত শতাব্দীর সেই রক্তবন্যা কিন্তু থামতেই চাইল না মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রথম দশকের অর্ধাংশ জুড়ে; বরং তা অব্যাহত থাকলো।

যারা একাত্তরে ঐ হত্যালীলা চালিয়ে বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে খুন করে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের ভয়াবহ শূন্যতা সৃষ্টি করেছিল-১৬ডিসেম্বরের বিজয় সূর্য উদয়ের সাথে সাথে আমরা ভেবেছিলাম হত্যালীলার সমাপ্তিটা ঘটলোই সম্ভবত:। কিন্তু না। তারা তা চায় নি। চায় নি বাঙালি জাতির সেই একই চিহ্নিত ও পরাজিত শত্রুরা। তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে যার রাজনৈতিক অঙ্গনেও এবং জাতির দুর্ভাগ্য তারা তা করেই ছেড়েছিল। সবাই আমরা ভালমতই জানি, ১৫ আগস্টে কি মর্মান্তিক হত্যা লীলা ঘটালো তারা দেশের রাজনৈতিক পালাবদল (নীতি-আদর্শের ক্ষেত্রে মূলত:) ঘটানোর সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্যে। ঐ দিন ভোর রাতে নিজ নিজ বাসভবনে সরকারী প্রহরা-ঘেরা ৩২ নং ধানমণ্ডির দোতলায় নিদ্রিত অবস্থায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ জনদেরকে (শিশু সন্তান রাসেল সহ) এ পৃথিবী থেকে উধাও করে দিয়ে।

পরাজিত শত্রুরা জাতির অবিসংবাদিত জনক এবং রাষ্ট্রপতি পদে আসীন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার পরিজনকে হত্যা করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি করলো তাই নয় তাঁর পরিবার পরিজন ও নিকট আত্মীয়দেরকে হত্যার মাধ্যমে দেশে এক ভয়াবহ আতংকও সৃষ্টি করতে চাইলো। সেক্ষেত্রে তারা বহুলাংশে সফলও হলো।

ভারতবর্ষে যেমন মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ভিয়েতনামে হোচি মিন, চীনে মাওজেদং - তেমনই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী জননেতা, বাংলাদেশ নামক নবীন, আধুনিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজততন্ত্রের লক্ষ্যাভিসারী স্বাধীন রাষ্ট্রের অকুতোভয় প্রতিষ্ঠাতা। তাঁকে হত্যার পেছনে হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য কি শুধুমাত্র এই পৃথিবী থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া বাংলাদেশকে নেতৃত্বহীন রাষ্ট্রে পরিণত করা? তাও যদি হয় তবে তো আরও প্রশ্ন থাকে । কোন নেতৃত্বহীন করতে চায় তারা এই সদ্য স্বাধীন দেশটাকে? কারণ তারা ঠিকই বুঝেছিল , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র একজন জনপ্রিয় জাতীয় নেতাই নন, তিনি এদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ , অসাম্প্রদায়িক সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সুতরাং তাঁকে হত্যা করতে পারলে স্বাধীনতার (মুক্তিযুদ্ধের) ঐ লক্ষ্যগুলি থেকে দেশকে এবং দেশের পরবর্তী নেতৃত্বকে সরিয়ে পাকিস্তানী ভাবাদর্শ ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এই মৌলিক আদর্শগত লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে মুক্তিযুদ্ধের দেশী-বিদেশী শত্রুগুলি ষড়যন্ত্র করেছিল-ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সেই লক্ষ্য পরিষ্কার করে বলতে গেলে এভাবে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে বাংলাদেশেকে সরিয়ে পাকিস্তানী আদর্শিক ধারায় দেশটা ফিরিয়ে নেওয়া।

পরবর্তী ঘটনাবলী এই আদর্শিক পরিবর্তনকে বহুলাংশে স্পষ্ট করে তোলে। ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হলেন খোন্দকার মুশতাক। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি তাঁর ভাষণে বললেন, “দেশ থেকে গণতন্ত্র ও ইসলাম উধাও হতে যাচ্ছিল। সেই অশুভ প্রক্রিয়া প্রতিরোধ করতেই "সোনার ছেলেরা" (খুনি সেনা-সদস্যরা) শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। এবারে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, ইসলাম ও মর্যাদা পাবে।”

খবরটি রেডিওতে প্রচারের পর পরই পাকিস্তানে আনন্দের মিছিল বের হয়। শুরু হয় মিষ্টি বিতরণের পালা। এতদিন ধরে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি কিন্তু ১৫ আগস্টের হত্যা লীলার পর দ্রুততার সাথে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। পর পর চীন, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলিও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করলো। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে নয়, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টেই বাংলাদেশ স্বাধীন হলো।

অত:পর খোন্দকার মুসতাক রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে নতুন মন্ত্রী সভা গঠনের উদ্যোগী হন। মন্ত্রিত্ব গ্রহণের জন্য তাঁর প্রতিনিধিরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নিপুণ কারিগর ও প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম.মনসুর আলী, এ. এইচ.এম. কামরুজ্জামান, আবদুস সামাদ আজাদ প্রমুখ নেতাকে অনুরোধ জানালে তাঁরা ঘৃণার সাথে ঐ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন প্রথমে তাজউদ্দিন আহমেদকে ও পরে এম. মনসুর আলীকে প্রধান মন্ত্রিত্বের অফারও দেওয়া হয় কিন্তু তাঁরা জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদেরকে তাঁরা ঘৃণার চোখে দেখেন। তাই তাঁদের সাথে তাঁরা কোন সম্পর্ক রাখতে রাজী নন। সুরু হলো আর এক মর্মস্পর্শী অধ্যায়ের।

উপরোক্ত নেতারা বাদে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভায় বাদ বাকী সদস্য দিব্যি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করলেন। সামরিক বাহিনীর তিন প্রধানও মোশতাকের প্রতি আস্থা জানিয়ে দিব্বি শপথ নিলেন।

এর পর একের পর এক মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান কারী নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়। এই পর্বে কারাভ্যন্তরে রাখার পরেও যখন তাঁরা অনড় থাকলেন, তখন তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল, এম. মনসুর আলী প্রমুখ সাহসী নেতাদেরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক করে ঘটানো হলো আরও এক ভয়াবহ এবং বর্বর হত্যালীলা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে পঁচাত্তর সালের ৩ জুন রাতের গভীরে।

কি প্রয়োজন পড়েছিলো এই নেতৃবৃন্দকে হত্যার? বাঙালীর শত্রুরা মুক্তিযুদ্ধে জাতির বিজয় ঠেকাতে না পেরে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছিল তাদেরকেই প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা খোন্দকার মুশতাককে সামনে রেখে তাঁর নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। কারণ জাতির ঐ শত্রুরা আতংকিত ছিল এই ভেবে যে পুনরায় হয়তো এই নেতারা ক্ষমতায় চলে আসবেন এবং তখন তাঁরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক ধারার রাজনীতি পুন: প্রবর্তন করবেন। তাই এই বর্বর হত্যালীলা অত্যন্ত গোপনে সংঘটিত করা হয়। কোন মিডিয়াতেও এই খবর প্রকাশ হতে দেওয়া হয় নি।

অপর পক্ষে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে অত্যন্ত গোপনে চলছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করার কাজ। নির্ধারিত ছিল ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ঐ প্রতিবাদ কার্যক্রম সংঘটিত করার। কিন্তু তার আগেই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ দেশের নানাস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘটিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর ঐ প্রতিবাদ সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে দেশব্যাপী আয়োজন করা হয়। এক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা বলি। ১৫ আগস্টের পর সামরিক আইন জারী করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ঐ অবস্থায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পেয়ে পাবনাতে আমরা ন্যাপ ও সি পি বি’র নেতারা গোপনে ঘরোয়া বৈঠক করে ৬ নভেম্বর যে কোন মূল্যে কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সর্বাগ্রে ছাত্র ইউনিয়নকে সংগঠিত করার নির্দেশ দেই। তারা ব্যাপকভাবেই তা সংগঠিত করে। ছাত্রলীগের নেতাদের সাথেও তারা যোগাযোগ করলে তাদের নেতৃত্ব তেমন সাড়া দেয় না। তবে ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীরা ছাত্র ইউনিয়নের সাথে দিবসটি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সব কিছু চূড়ান্ত করার পর আওয়ামী লীগের দু’তিন জন নেতাকে নিয়ে আমরা গোপনে একটি বৈঠক করে ঐ দিনের কর্মসূচী যৌথভাবে পালনের প্রস্তাব দেই। দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা সামরিক আইন ভাঙতে খুব উৎসাহ না দেখালে আমরা শেষ পর্যন্ত বলেননি, ৬ নভেম্বর কর্মসূচী হবেই। আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না তা আপনারা স্থির করুন। তবে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে উদযাপন করার কেন্দ্রীয় আহ্বানের মর্যাদা দেওয়া উচিত এই বলে আমরা বেরিয়ে আসি।

৬ নভেম্বরে পূর্ব নির্ধারিতমত সকাল সাড়ে নয়টায় এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে গিয়ে দেখি বিশাল ছাত্র ও গণ-জমায়েত। ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারী করেছে জেলা প্রশাসন। মিছিল যথারীতি মেইন গেট দিয়ে কলেজ মাঠ থেকে বের হতেই এল.এম. জি. তাক করা পুলিশের ট্রাক ও বিশাল সশস্ত্র বাহিনী গতিরোধ করে দাঁড়ালো। ছুটে সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই একজন ম্যাজিস্ট্রেট কাছে এসে বললেন, “দাদা, মিছিল তো বের হতে দেওয়া যাবে না-তবে কলেজ মাঠের অভ্যন্তরে কর্মসূচী পালন করুন-আমরা তা দেখেও দেখবো না”। অত:পর বললাম,“মিছিলের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে-তবে ১৪৪ ধারা মেনে চার জন চার জন করে সারিবদ্ধভাবে। তদুপরি আমাদেরই সিদ্ধান্ত মত আমরা মৌন মিছিল করে শহর প্রদক্ষিণ করব। পুলিশ ভ্যান, ওরা যেন উসকানি না দেয়।

ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এল.এম.জি. তাক করা পুলিশের ট্রাকটি সামনে থেকে মিছিলের পেছনে গেল। আরও পুলিশ মিছিলটির বিশালত্ব দেখে চুপিসারে সঙ্গে সঙ্গে চললো। দেড় ঘণ্টা ধরে মিছিল করে আমরা মনসুর আলী সাহেবের বাসভবনে গিয়ে কিছু বক্তব্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করার পর্যায়ে আসা মাত্র হঠাৎ খবর এল জাতীয় চার নেতাকে (এম.মনসুর আলীসহ) ৩ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। ঐ খবর জানাজানিও হয়ে গেল-জমায়েত তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হওয়াতে একটি অত্যন্ত কড়াও গরম বক্তৃতা দিয়ে ঘৃণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে একে একে সকলকে বাড়ী যাওয়ার আহ্বান জানান হলো এবং বলা হলে কঠোর কর্মসূচী শীঘ্রই সকলকে জানানো হবে। অত্যন্ত শৃঙ্খলভাবে কয়েক হাজার মানুষের ঐ মিছিল কর্মসূচী সমাপ্ত হলো।

কিন্তু ৩ নভেম্বরের হত্যালীলা কেন? বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকে ভুলিয়ে দিতে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য আদর্শগুলি থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে এনে পরিত্যক্ত ও পরাজিত পাকিস্তানী আদর্শকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে। কী অপূর্ব সফলতাই না শত্রুরা অর্জন করলো ১৫ আগস্ট, ৩জুন ঘটিয়ে। বিস্ময়করই বটে।

আজ বাংলাদেশর সংবিধানের কপালে দিব্যি “বিসমিল্লাহ্‌” বসানো হয়েছে, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি ও জামায়াত -হেফাজত দিব্যি বৈধতা পেয়ে মাঠ গরম করছে, তাদের পত্রিকা অবাধে প্রকাশিত হচ্ছে, তাদের অর্থের উৎস দিব্যি বহাল রাখা হচ্ছে, দিব্যি বাংলাদেশের “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” সংবিধানে বহাল তবিয়তে সংযোজিত করে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে সবাই সমান। মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা, দেখি অজস্র মন্দির-প্রতিমা ভাংচুরের দৃশ্য, দেখি পুরোহিত হত্যার নির্মমতা দেখি
২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনকে দিব্যি অকার্যকর করে রাখা, দেখি ২০০১ এর নির্বাচনের আগে ও পরে সংঘটিত হাজার হাজার সংখ্যালঘুকে হত্যা, তাদের বাড়িঘর লুটপাট এবং সারাজীবন নীরব দেশত্যাগ। কোন সহিংসতারই বিচার নেই তাও দৃশ্যমান।

তাই ৩ নভেম্বরের হত্যালীলা সত্যই দেশকে নেতৃত্বহীনতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশকে - সৃষ্টি হয়েছে এক করুণ অধ্যায়ের। পাকিস্তানী ভাবাদর্শ আজ গ্রাস করছে দ্রুতই প্রিয় বাংলাদেশকে। দরকার পুনরায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জঞ্জাল মুক্তির লক্ষ্যে।

  • রণেশ মৈত্র : সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ। ইমেইল : [email protected]
  • এ বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত