শাহাব উদ্দিন চঞ্চল

২৪ মার্চ, ২০১৭ ০৪:২৭

বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন, ব্যক্তিগত মত

বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন আসন্ন, ২৭ তারিখ মনোনয়ন দাখিলের তারিখ। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই প্রথম বিয়ানীবাজার পৌরসভায় নির্বাচনের মাধ্যমে একজন সম্মানিত মেয়র হতে যাচ্ছেন। আমাদের ভোট নেই আগেই বলেছি সুতরাং হয়তো অনেকের কাছে "আমিনের মাগনা মাতের মত" শুনালেও মনে করি একজন বিয়ানীবাজারী হিসাবে আমাদের এখানে কিছু বলার আছে। একটি কথা বিয়ানীবাজার পৌরসভায় এখন কিন্তু একক কোন এলাকার ভোটে কোন প্রার্থী মেয়র হতে পারবেন না। বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরে এখন বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের স্থায়ী নিবাস, এক্ষেত্রে নেইবারিং এলাকা হিসাবে মুড়িয়া, মুল্লাপুর, বৈরাগী বাজার মাথিউরার প্রচুর ভোটার এখন পৌরসভায় বাস করেন।

এবারের বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন হবে দলীয় প্রতিকে সুতরাং এখানে আমাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিলেকশনের উপর নির্ভর করবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিজয়ের বিষয়টিও। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং হাইকমান্ড যদি কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমরা বিয়ানীবাজারবাসী নুরুল ইসলাম নাহিদের মত এক নক্ষত্রকে হারাতে পারি বলে অনুমান করছি।

বিয়ানীবাজারের সর্বকনিষ্ঠ একজন কর্মীকে কথাসাহিত্যিক মরহুম আকদ্দস সিরাজুল ইসলাম, আজির উদ্দিন (সাবেক মাথিউরা ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান) শহীদ করম উদ্দিন সহ আমাদের এলাকার বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতারা জয়বাংলা স্লোগান শিখিয়ে মা -হারানোর শোক ভুলায়ে ছিলেন, সেই জয়বাংলা স্লোগান বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকা আওয়ামী রাজনীতির একজন নিঃস্বার্থ কর্মী হিসাবে বলতে পারি- বাংলাদেশে যেমন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের বিকল্প নাই, বঙ্গবন্ধুর পরে এমন সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশ দেখেনি এই দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে আজ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে দেশ সম্মান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের যে কত প্রয়োজন রয়েছে এটা প্রতিটি আওয়ামী লীগ তথা দেশপ্রেমিক জনগণের অন্তরের শ্বাস থেকে বুঝা যায়।

বিয়ানীবাজারের বর্তমান রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি যেটা হওয়ার কথা ছিল। বিয়ানীবাজার আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে সব দিক বিবেচনা করে যেন প্রার্থী নির্বাচন করেন, এখানে কোন ধরনের আঞ্চলিকতা বা কাউকে ঘায়েল করার মানসিকতা নিয়ে প্রার্থী সিলেকশন যেন না হয়। অন্যথায় আমরা হারবো, আওয়ামী লীগ হারবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ড স্থানীয়ভাবে সঠিক তথ্য জেনে যেন প্রার্থী সিলেকশন করেন এই অনুরোধ করছি। বিয়ানীবাজার আওয়ামী রাজনীতিতে প্রচুর পরিমাণ প্রশ্ন সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মধ্যে, উত্তর মিলছে না, আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও প্রচুর মতভেদ আছে, যুবলীগ ছাত্রলীগের মধ্যে প্রকাশ্যে গ্রুপিং আছে। এই সকল ছোট ছোট সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে আগামীতে হয়তো দেখবেন আওয়ামী লীগের এই দুর্গের পতন হয়েছে, এমনও হতে পারে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সকল সমস্যা গুলো।

ক্ষুদ্র রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এখনও সময় আছে এই সকল ছোট ছোট দলীয় কোন্দল নিরসন করে বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করা। সব দিক বিচার বিবেচনা করে একজন প্রার্থী সিলেকশন করা আসন্ন পৌর নির্বাচনে খুবই জরুরী বলে মনে করি। একই সাথে মাননীয় মন্ত্রীর হাতে একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে সেক্রিফাইজিং এন্ড কম্প্রোমাইজিং মন নিয়ে এই সময় যেন বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের সহযোগি এবং অঙ্গ সংগঠনগুলির মধ্যে যে দূরত্ব আছে তা নিরসন করার উপযুক্ত সময় এখন। এখানে বলার অপেক্ষা রাখেন না আসন্ন বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনে মাননীয় মন্ত্রীর ইশারা ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে না, এটা ওপেন সিক্রেট। সুতরাং এখানে মাননীয় মন্ত্রীর উপর নির্ভর করবে পৌর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিলেকশন এবং বিয়ানীবাজার আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ।

  • শাহাব উদ্দিন চঞ্চল: যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা।
  • এবিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত