সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০২:৩৪

জয়ের ‘স্যরি’

জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নিজের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম-সচিবের কক্ষে ভাংচুর চালানোর ঘটনায় ‘স্যরি’ বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. মাশুক মিয়া ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন। খবর সূত্র দ্যা ডেইলি স্টার।

গত রবিবার ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ভাংচুর চালানোর পর অস্বীকার করে বলেছিলেন- ভাংচুর নয়, নিজের রুমে ডেকে যুগ্ম-সচিবকে ‘শাসিয়েছেন’ তিনি। ঘটনার পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ নালিশ জানানো হয়েছিল বলে প্রকাশ।

উল্লেখ্য, রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে অতিথি হিসেবে শুধু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের নাম লেখা ছিল।

অনুষ্ঠানে গিয়ে ব্যানারে নিজের নাম না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়। অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে কর্মকর্তারা তাকে শান্ত করেন। পরে অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েই সচিবালয়ে চলে আসেন মন্ত্রী।

এরপর, সচিবালয়ে লিফট থেকেই নেমেই চিৎকার করে ওঠেন জয়। কয়েকজন কর্মকর্তার নাম ধরে গালাগালিও করেন তিনি। যুগ্মসচিব মাশুক মিয়ার কক্ষে গিয়ে জয় তার কম্পিউটার ভাংচুর করে কাগজপত্র তছনছ করেন, টেবিলে লাথি মারেন বলে অভিযোগ ওঠে।

সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয় গত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি সাংসদ হন এবং উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এর আগে ২০১২ সালে ম্যাচ চলাকালে পকেটে অস্ত্র নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে সমালোচিত হন। অবশ্য ম্যাচ চলাকালে মাঠে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের অপরাধে আরিফ খান জয়কে ১ বছরের জন্য স্থগিত দণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। পরে শাস্তির ২১ দিনের মাথায় জয়ের স্থগিত দণ্ডাদেশ বহাল রেখে অর্থদণ্ড মওকুফ করে দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত