
০২ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:১৮
বিমানবন্দরে দুর্ভোগ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টির জন্য চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি এমএ মালিককে সতর্ক করেছে বিএনপি।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়।
‘বিমানবন্দরে দুর্ভোগ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টি প্রসঙ্গে’ শিরোনামে বুধবার এম এ মালিককে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এম এ মালিক যখনই লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছান, আবার ঢাকা থেকে সিলেটে নিজ এলাকায় যান, তখনই দুই বিমানবন্দরে অনেক জনসমাগম হয়। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, তিনি আগে থেকে লোকজনকে বিমানবন্দরে সংগঠিত করেন, এতে বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা বিরক্ত হন।
সর্বশেষ সোমবার এম এ মালিক লন্ডন থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁর সমর্থক স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বুধবার বিকালে বিমানে তিনি সিলেটে আসেন। এ সময়ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত ও বিদায় জানাতে লোকসমাগম হয়।
এম এ মালিক সিলেট-৩ আসন (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি এলাকায় যাওয়া–আসা শুরু করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর এম এ মালিক ১৬ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে আসেন। তাঁর ফেরা উপলক্ষে ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো করা হয়।
এম এ মালিককে সতর্ক করে বিএনপির নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আপনাকে স্বাগত ও বিদায় জানানোর সময় অসংখ্য লোক সমাগম করেন, যা অপরিণামদর্শী কাজ এবং তাতে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়। আপনার অবিবেচনাপ্রসূত এই কর্মকাণ্ডে বিমানবন্দরে অসংখ্য যাত্রীকে বিড়ম্বনা ও কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। ইতিপূর্বেও আপনি বিমানবন্দরে মাত্রাতিরিক্ত লোকসমাগম ঘটিয়ে বিমানবন্দর এলাকার আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়, দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে এ ধরনের লোকসমাগম সাংগঠনিক নীতির পরিপন্থী, যা দৃষ্টিকটু ও জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
নোটিশে এখন থেকে এম এ মালিককে দেশে আসা ও বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে লোকসমাগম করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে এম এ মালিক বলেন, ‘আমি তো কাউকে অর্গানাইজ করি না। নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবেসে আসেন। কারণ, আমি বিএনপির একজন ত্যাগী কর্মী, একজন যোদ্ধা। আমি লন্ডনে শেখ হাসিনার চায়ের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। বিগত আন্দোলনে আমার ভূমিকার কারণে নেতা-কর্মীরা হয়তো আমাকে ভালোবাসেন। দল যেহেতু সতর্ক করেছে, ভবিষ্যতের জন্য এ বিষয়ে আমি সতর্ক থাকব।’
আপনার মন্তব্য