
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
আমাদের বড়লেখা উপজেলার মানুষের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে এসেছে এক গর্বের সংবাদ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যারিস্টার উর্মি রহমান। এই নিয়োগ শুধু একটি ব্যক্তিগত সাফল্যের ঘটনা নয়, বরং আমাদের সমাজ ও অঞ্চলের জন্যও এক বিশেষ সম্মানের প্রতীক। তিনি দীর্ঘদিনের অধ্যবসায়, মেধা ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আইন অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
কিন্তু তাঁর পরিচয় কেবল একজন সফল আইনজীবীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি এমন একটি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধে গড়ে ওঠা পরিবারের প্রতিনিধি, যাঁদের ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও অবদান আমাদের সমাজজীবনকে সমুজ্জ্বল করেছে। পরিবার থেকে পাওয়া এই শিক্ষা ও আদর্শ তাঁকে ন্যায়, মানবিকতা ও প্রগতির পথে এগিয়ে দিয়েছে। ফলে বিচারপতি উর্মি রহমানের নিয়োগ আমাদের আস্থাকে দৃঢ় করে যে তিনি কেবল আইন নয়, সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ও কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। কয়েক প্রজন্ম ধরেই তাঁদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক, যোগাযোগ, বন্ধুত্ব ও আত্মীয়তা। এই পরিবারের একজন সদস্যের এই বিশেষ অর্জনে আমরা যারপর নাই আনন্দিত। বিচারপতি উর্মি রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
পারিবারিক পটভূমি ও ব্যক্তিগত জীবন
বিচারপতি উর্মি রহমান এমন একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, যেখানে শিক্ষা, নৈতিকতা ও মানবিকতা সর্বোচ্চ মূল্যবোধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর পিতা জনাব মশিউর রহমান— অবসর প্রাপ্ত বীমা কর্মকর্তা ( ডিজিএম জীবন বীমা কর্পোরেশন) ও মাতা- আরজুমান্দ বেগম অবসর প্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক। তাঁদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। ভাই বোন ৪ জন। তিনি সর্ব কনিষ্ঠ। বড়ো বোন একটি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, তাঁর স্বামী ব্যববসায়ী, বড়ো ভাই ইষ্টার্ন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাবিও সিনিয়র ব্যাংকার। দ্বিতীয় বোন ডাক্তার এবং তাঁর স্বামীও ডাক্তার। ভাইবোনদের সঙ্গে এক প্রগতিশীল ও স্নেহময় পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে শৈশব থেকেই তিনি সততা, সহমর্মিতা ও সাংস্কৃতিক চেতনার সঙ্গে পরিচিত হন, যা তাঁর জীবনের নৈতিক ও মানসিক ভিত্তি গড়ে তোলে। পরবর্তীতে তিনি এমন এক পরিবারে বধূ হিসেবে আসেন, যাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতিশীল আন্দোলন ও সমাজগঠনে অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর শ্বশুর অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির অগ্রযাত্রী। তাঁর শ্বাশুড়ি মিসেস শামসুন্নাহার বেগমও সামাজিক নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন, ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠের অধিকারী । তিনি ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস শামসুন্নাহার শাহবাজপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন—তবারক হোসেইন-শামসুন্নাহার গ্রন্থাগার, যা আজকের ভোগবাদী সমাজে এক বিরল ও মহৎ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
এই পরিবার কেবল নিজেদের সন্তানদেরই নয়, সমাজের অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীকেও সহায়তা করেছেন—কখনও পরামর্শ দিয়ে, কখনও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে, আবার কখনও পরিচয় ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে। আমার ব্যক্তিগত জীবনেও তাঁদের অবদান অনন্য। ১৯৮০ সালে বাবার মৃত্যুতে আমাদের পরিবার যখন আর্থিক সঙ্কটে পড়ে, তখন প্রিয় শিক্ষক আছদ্দর আলী ও অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইনের উদ্যোগে আমি শাহবাজপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাই। এই সহায়তা আমাদের পরিবারকে বড়ো বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিল—এ ঋণ আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। এউ শিক্ষকতার সূত্র ধরে আমি শিক্ষক, আমি লেখক, আমি বক্তা, যতটুকুই থাকুক আমার পরিচিতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও সংযোগ।
পারিবারিক সহায়তা, নৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতিমনা পরিবেশের সমন্বয়ে বিচারপতি উর্মি রহমান আজ কেবল একজন দক্ষ আইনজ্ঞই নন, তিনি মানবিক, দায়িত্বশীল এবং প্রগতিশীল নাগরিক হিসেবেও সমাজে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। তাঁর পরিবার ও শ্বশুরবাড়ি উভয়ই এই সাফল্যের পেছনে এক দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর স্বামী ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওনও বাংলাদেশ হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী। তাঁদের দুই কন্যার বড়ো শামা ঊষসী হোসেইন বর্তমানে হলিক্রস কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ও ছোটো শ্রেয়া উর্বশী হোসেইন উদয়ন বিদ্যালয়, ঢাকায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে।
শিক্ষা ও পেশাগত জীবন
ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে স্টার মার্কসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন উর্মি রহমান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন।
এরপর স্বামী তানিম হোসেইন শাওনকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইনার টেম্পলে যোগ দিয়ে বার-এট-ল সম্পন্ন করেন ২০০৮ সালে। দেশে ফিরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর শ্বশুর, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইনের প্রতিষ্ঠিত হোসেইন ল’ হাউসে তিনি আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।
সংস্কৃতিমনা জীবন
বিচারপতি উর্মি রহমান কেবল আদালতের অভিজাত পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ একজন আইনজ্ঞই নন, তিনি এক গভীর সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি তাঁর অনুরাগ ব্যক্তিজীবনকে করেছে পরিপূর্ণ এবং মানবিকতায় সমৃদ্ধ। রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলসংগীত তাঁর কাছে শুধু বিনোদনের উপকরণ নয়, বরং জীবনের দর্শন ও নৈতিক শক্তির উৎস। বাংলা গানের সুর ও কথার ভেতর দিয়ে তিনি খুঁজে পান মানবমুক্তির বাণী, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুপ্রেরণা।
সংগীতচর্চার এই আবহ তিনি নিজের পরিবারেও লালন করেছেন। তাঁর দুই কন্যা নিয়মিত সংগীত শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা প্রমাণ করে তিনি কেবল নিজে শিল্পচর্চায় অনুরাগী নন, পরবর্তী প্রজন্মকেও তিনি সংস্কৃতির আলোয় লালিত করতে আগ্রহী। তারা সংগীতের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পরিবারের এই সাংস্কৃতিক চর্চা কেবল ব্যক্তিগত আনন্দ নয়, বরং সমাজের জন্যও এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। আইনের কঠোরতা, সংস্কৃতির কোমলতা এবং মানবিকতার সৌন্দর্যকে একসঙ্গে ধারণ করে বিচারপতি উর্মি রহমান গড়ে তুলেছেন এক সমন্বিত ও অনন্য ব্যক্তিত্ব। এই সমন্বয় তাঁকে যেমন দায়িত্বশীল বিচারক হিসেবে শক্তি জোগায়, তেমনি সংস্কৃতিপ্রেমী নাগরিক হিসেবেও তিনি হয়ে ওঠেন অনুকরণীয়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা ও বিচারপতির দায়িত্ব
একজন বিচারপতি কেবল আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনের ভাষা ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করেন না, তিনি সমাজের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের ধারক-বাহকও বটে। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্ত শুধু মামলার পক্ষভুক্ত মানুষদের জীবনেই নয়, সমগ্র সমাজের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। আইনকে প্রয়োগ করার পাশাপাশি ন্যায়, সত্য, মানবিকতা, সাম্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখাই একজন বিচারপতির প্রধান দায়িত্ব।
ন্যায়বিচার তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা কেবল বইয়ের ধারায় সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের জীবনে সমতা ও আশ্বাসের আলো ছড়িয়ে দেয়। বিচারকের রায় ও মন্তব্য অনেক সময় যুগের জন্য পথনির্দেশ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে যেখানে নানাবিধ সামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও অবিচার এখনো বিদ্যমান, সেখানে একজন বিচারপতির নিরপেক্ষ ও মানবিক ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।
বিচারপতির কাজ শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়; তিনি সমাজের দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভরসার আশ্রয়। নারীর অধিকার, শিশু অধিকার, শ্রমিকের অধিকার কিংবা পরিবেশ সংরক্ষণ—সব ক্ষেত্রেই একজন দায়িত্বশীল বিচারপতির রায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। বিচারকের সামাজিক দায়বদ্ধতা আরেকটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা যখন সততা, নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় নৈতিকতার পরিচয় দেন, তখন সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরে পায়। এই আস্থা রক্ষাই গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। একইসঙ্গে একজন বিচারক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও সততা, নৈতিকতা ও পরোপকারের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
বিচারপতি উর্মি রহমানের শিক্ষাজীবনের সাফল্য, প্রগতিশীল পারিবারিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতিমনস্কতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জোগায় যে তিনি তাঁর দায়িত্বপালনে শুধু আইনের কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, বরং মানুষের ন্যায়বোধ, সামাজিক ন্যায় ও প্রগতিশীল আদর্শকেও সমুন্নত রাখবেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ হবে মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, সমাজের পক্ষে।
অতঃপর
বড়লেখা উপজেলায় এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন—বিচারপতি সিকন্দর আলী, বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি উর্মি রহমান। প্রথম দুজন ছিলেন বিচার বিভাগ থেকে, আর বিচারপতি উর্মি রহমান বার থেকে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের গ্রামের, আর বিচারপতি উর্মি রহমান পাশের গ্রামের। তাই আমাদের দুই গ্রাম—শ্রীধরপুর ও নান্দুয়া—একটি গর্বের ঐতিহাসিক ‘টুইন গ্রাম’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বিচারপতি উর্মি রহমানের এই অর্জন শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; এটি আমাদের পুরো এলাকার, সমাজের এবং দেশের জন্যও এক উজ্জ্বল প্রাপ্তি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রগতিশীল পারিবারিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতিমনা মনন এবং মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয় আমাদের আস্থা দেয় যে তিনি তাঁর দায়িত্বপালনে সততা, প্রজ্ঞা এবং ন্যায়পরায়ণ চেতনায় আলোকিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি হয়ে উঠুন একালের ড্যানিয়েল- এই আমাদের কাম্য। ড্যানিয়েল সম্বন্ধে নতুন প্রজন্মের পাঠকদের সৌজন্যে একটু বলি। শেক্সপিয়ারের ‘দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস’ (অঙ্ক চতুর্থ, দৃশ্য প্রথম)-এ শাইলক তরুণী পোর্শিয়াকে (যিনি আইনজীবীর ছদ্মবেশে ছিলেন) তাঁর প্রজ্ঞাময় রায়ের জন্য প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন— “A Daniel has come to judgment”। এই উক্তিটি বাইবেলের কিংবদন্তি বিচারক ড্যানিয়েল-এর প্রতি ইঙ্গিত করে, যিনি ন্যায়পরায়ণতা, প্রজ্ঞা এবং বিচার প্রদানে সততার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। আমরা মাধ্যমিক পর্যায়ে বহুশ্রুত এই বাক্যটি ইংরেজি ব্যাকরণে articles এর ব্যবহারে পড়েছি। A Daniel এর মানে ড্যানিয়েল এর মতো একজন, আর A ছাড়া Daniel এর মানে Daniel নামক মূল ব্যক্তি।
তাঁকে আমরা আবারো আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই। আশা করি, বিচারপতি উর্মি রহমানের নেতৃত্বে বিচারব্যবস্থা আরও মানবিক, ন্যায্য এবং সমাজের কল্যাণমুখী হয়ে উঠবে।
লেখক পরিচিতি: লেখক, অনুবাদক ও নির্বাহী প্রধান, টেগোর সেন্টার সিলেট।
আপনার মন্তব্য