বাবুল হোসেইন’র পাঁচ কবিতা ‘ক্রান্তিকালের জার্নাল’

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৮-১৬ ০৩:১৯:৩৫

 আপডেট: ২০১৫-০৮-১৬ ০৩:৩০:২১

যাদের ধন্য হবার কথা ছিলো কোনো আচানক সুরের মোহে- তারা মেষরাখালের তন্দ্রার ভিতর ডুবে আছে। যারা পালতোলা:

নোনাজলে সাঁতার
বলি চোখ,কেঁদে নাও যা পারো যতোটা পারো—রক্তবিন্দুর শেষফোটা অবধি। কে জানে, এই শেষ অশ্রুবিসর্জন কীনা! তুমি তো জানো না, নোনাজলে কবেই সাঁতার শিখেছি সমুদ্র সঙ্গমে।

কেঁদে নাও হে সর্বংসহা
কান্নাই তোমার শেষ গন্তব্য

 

গুপ্তরহস্য দিন
গুপ্তরহস্য দিন শেষ। না চাইলেই বর্ষা এসে ভিজিয়ে দেয়। কারা কারা দরোজা ভেঙে ঢুকে যাচ্ছে ড্রয়িং ডাইনিং এমনকি বেডরুম অবধি। এমনকি আমার সমস্ত চেতনাটুকুও চুরি হয়ে যাচ্ছে আমার অজান্তেই।

দিনমান ঘোরাঘুরি চুলাচুলি। কোলাকুলির পিছনে কুটচাল- তীরের ধার।

 

পরবাসী
ফিরিয়ে নিয়েছি প্রত্যাখ্যাত যত ছিলো ভালোবাসা। এমনকি সুপাত্রে বিলানো গোলাপ বাগানও। যাদের ধন্য হবার কথা ছিলো কোনো আচানক সুরের মোহে- তারা মেষরাখালের তন্দ্রার ভিতর ডুবে আছে। যারা পালতোলা নৌকার নোঙর করবে তারা পরবাসী।

আত্মার বিদেহি গানে মশগুল আমরা। ফিরিয়ে নিতে জানি না এখনো তীরের উড়ন্ত ফলা।

 

অপেক্ষা ফুরাবে
এই অপেক্ষা ফুরাবে একদিন। শেষ শ্রাবণের রোদ মাথায় নিয়ে কার কথা ভেবে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করি- সে আমার অন্তর্গত বোধ;আত্মঘাতী অহম।

মাথায় ছাদ নেই জেনেই দৌড়াচ্ছি দিক্বিদিক। কোনখানে জ্বলে উঠে তুমুল বৃষ্টিপাত।

 

শোকলিপি
আঙুল থেমে যাচ্ছে
পথ ক্রমোশ দূরে—
পায়ের যেখানে শেষ- সীমানা অনতিক্রম্য
জেনে গেছি পাথরের বেদন
মৌনতা; শোকই বা বলি না কেনো
সবি ধরে আছে একবুকে
কেঁদো না হে
দূরকে ডিঙানোই কাঙ্খিত ভেবে
শুরু করো নতুন করে
পথ; কোনোদিন পথিকের আগে ছিলো না
মনে রেখো

আপনার মন্তব্য