গ্রন্থমেলায় সুমনা গুপ্তার প্রথম বই ‘মায়াভরা আঙিনার পথ’

 প্রকাশিত: ২০২৩-০২-১০ ০১:১৫:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হতে যাচ্ছে কবি ও প্রাবন্ধিক সুমনা গুপ্তার প্রথম কবিতার বই ‘মায়াভরা আঙিনার পথ’। বইটি প্রকাশ করছে শ্রাবণ প্রকাশনী।

কাব্যগ্রন্থটিতে ৪০টি কবিতা রয়েছে। বইটি ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রাবণ প্রকাশনীর ৬৭-৬৯ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে। প্রচ্ছদ করেছেন রাজিব দত্ত। মূল্য ১৫০ টাকা।

সুমনা গুপ্তার লেখালেখির শুরু স্কুলজীবনে দেয়ালিকায়। পরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও ম্যাগাজিনের সাহিত্য পাতায় কবিতা প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখেন নিয়মিত। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক সূত্রে এক সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে ওঠা। শিক্ষাজীবনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বোর্ড স্ট্যান্ড করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক দম্পতি শংকর প্রসাদ গুপ্ত ও অঞ্জলি রায় গুপ্তার একমাত্র সন্তান সুমনা গুপ্তা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত।

সুমনা গুপ্তার কবিতা সম্পর্কে কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের মেধাবী শিক্ষক কবি সুমনা গুপ্তার কবিতার সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। এবারের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিতব্য তার কাব্যগ্রন্থের কিছু কবিতা পড়ে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। সুমনা তার কাব্যগ্রন্থের নাম রেখেছেন ‘মায়াভরা আঙিনার পথ’। চমৎকার নাম। মানবজীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধনজাল হলো মায়া। মায়া জিনিসটা এতটাই প্রবল যে, সে অপত্যস্নেহে, বাৎসল্যে, প্রেমে-কামে, এমনকি শ্রদ্ধা ও ভক্তির মধ্যেও নিজেকে বিস্তৃত করে রাখে। বয়সবিশেষে মায়া তার রূপ ও প্রকৃতি বদলায়। মায়া যৌবনে প্রেম ও কামের সমার্থক হয়ে ওঠে। মায়াভরা আঙিনার পথ তো সর্বদা প্রেমের কুসুমে আবৃত থাকে না, কখনো কখনো তার পথের আঙিনা ভরে ওঠে বিরহবিষের পাথরে। প্রেমের আনন্দ ও বিরহবিষের বেদনা যুগপৎ ফুটে উঠেছে সুমনার কবিতায়।’

প্রথম কবিতার বই সম্পর্কে সুমনা গুপ্তা বলেন, ‘প্রতিটি সৃষ্টি একজন সৃজনশীল মানুষকে আনন্দ দেয় আর লেখক হিসেবে প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি অপার্থিব এক আনন্দ দিচ্ছে। হয়তো এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নিজের ভাবনাগুলো কাগজের পাতায় পড়ার বা অক্ষরগুলো ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি অন্য রকম। আর আগে গ্রন্থমেলায় গেলে অন্য কারও লেখা বই কিনব বলে ঠিক করে রাখতাম। এবার হয়তো আমার নিজের বই স্পর্শ করে দেখব।’

আপনার মন্তব্য