গ্রন্থমেলায় কর্মকার অনুপ কুমারের ‘লাল মলাটের দ্বীপ’

 প্রকাশিত: ২০১৮-০১-২৮ ১৩:০৯:৩৫

 আপডেট: ২০১৮-০১-২৮ ১৪:৪১:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮-তে প্রকাশ হচ্ছে কবি কর্মকার অনুপ কুমারের কবিতার বই ‘লাল মলাটের দ্বীপ’। বইটি প্রকাশ করছে নৃ প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। এটা কর্মকার অনুপ কুমারের দ্বিতীয় কবিতার বই।

‘লাল মলাটের দ্বীপ’ বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার লিটলম্যাগ চত্বরে নৃ সাহিত্যপত্রের স্টলে। বইটির মূল্য ১৩০ টাকা।

বরিশাল জেলার গৌরনদীর সন্তান কবি কর্মকার অনুপ কুমার। তিনি বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার সাঁকোকাঠী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মকার অনুপ কুমারের প্রথম বই কথকথা [প্রথম যৌবন] ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি সম্পাদনা করছে ‘নৃ সাহিত্যপত্র’ নামের একটি ছোটকাগজ। নিয়মিত লিখছেন বাংলা ভাষার বিভিন্ন ছোটকাগজ ও পত্রিকায়।

নিজের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, মানুষ একটা ভাসমান দ্বীপ। মানুষের জন্ম জলে, মৃত্যুতে মানুষের দৈহিক বিসর্জনও জলে। জন্ম থেকে মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টুকু মূলত একটা জলজ প্রবাহ বা প্রাণের প্রবাহ। প্রাণের এই প্রবাহ যতদিন চলমান, মানুষ ততদিন একজন মানুষ। এই প্রবাহে মানুষেরা নিজেকে লাল মায়ার মলাটে জড়িয়ে রাখে, ভেসে থাকে একটা জলজ দ্বীপ হয়ে।

‘লাল মলাটের দ্বীপ’ বইয়ের নামকরণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কবি বলেন, বেঁচে থাকার জন্য একটা প্রবাহ চাই, প্রবাহে নানাবিধ তরঙ্গ চাই। এই নানাবিধ তরঙ্গ বলতে একজন মানুষের জীবনে প্রেম, প্রকৃতি ও দ্রোহের কথা নির্দেশ করা হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ‘লাল মলাটের দ্বীপ’র সমস্ত কবিতার ওপর প্রভাব বিস্তারকারী প্রধান বিষয়বস্তু। এমন বিবেচনা থেকেই গ্রন্থটির নাম হয়ে উঠেছে ‘লাল মলাটের দ্বীপ’।

‘লাল মলাটের দ্বীপ’ কাব্যগ্রন্থে ১৪১৫ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪২৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত লিখিত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অধিকাংশ কবিতা গ্রন্থিত হয়েছে।

আপনার মন্তব্য