ঝরাপাতার গান—৪

 প্রকাশিত: ২০২৩-০৩-২২ ১১:১২:১০

 আপডেট: ২০২৩-০৪-১৪ ০২:৪৭:৫৩

মাসুদ পারভেজ রূপাই:

ঝরাপাতার গান—৪
ঝরে পড়া পাতাদেরও একটা সময় সবুজ জীবন থাকে। হাসি-গানে তাদেরও প্রাণবন্ত সময় ছিলো। ঋতুর আবর্তে তা ফুরিয়ে আসলেও সময়ের চোরাবালিতে তাদের রেশ রয়ে যায় অহর্নিশি।


আমি একটা দেয়াল তুলে দিই,
অন্য দেয়ালটা পেরুব বলে।
জন্ম-মৃত্যুর এই ব্যবধান ঘুচে গ্যালে
কতিপয় ষাঁড়ের মাথায় লালনিশানা;
তারপর অনন্ত ছুটে চলা...


প্রাচীন শীতের রাতে ডুবে আছি,
ভাবো, তোমার ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিয়ে
ডিঙি নৌকা বেয়ে ভোরের রাঙা প্রহর;
আমি পৌঁছাবো তোমার বাহুডোরে;
ললনা, এ ক্ষণ আন্দোলিত করুক তোমার বক্ষদেশ।


পাহারা দিই আমি নাটাই হারিয়ে
মনের জানালা ভুলে থাকে পাহারাদার
কে আসে, কে যায় তার খবর ভেবে-ভেবে
আমি বিষণ্ণ যাযাবর, ভগ্নহৃদয় ভেঙেচুরে
আয়নায় বাঁধি শূন্যের ঘর।


পাখি উড়ে যায়
আকাশের বুকচিরে, নীড়ের দিকে অবিরাম:
সহসা সন্ধ্যার ঘনঘটা ।


মেঘাচ্ছন্ন বিভ্রম তোমায় নিয়ে
বারবার ফিরি প্রভু তোমার কাছে, আশীর্বাদ করো;
আমার শেষকৃত্য যেন ফিরে পায় প্রাণ
জানোই তো, মাচানতলায় আছে পাপেরও বিনাশ!


হে অন্ধকার নগরীর নাগরিক-
শোন তোমাদের বলি,
যতই তোমাদের দেখি ততই আলোর উৎস খুঁজি।


শত-শত মৃত্যু প্রতীক্ষা বুক পেতে নিয়ে
বাঁশির সুরে আমি দারুণ ঝড় তুলে যাই
আর এই সামান্য রাত;
তুমি তো জানোই, আমার গালিব জানা আছে খোদা-
তার মতোন অন্তত সহ্যশক্তি আমাকে দাও।

আপনার মন্তব্য