মাসুদ পারভেজ রূপাইয়ের ‘ঝরাপাতার গান’

 প্রকাশিত: ২০২৩-০২-২৩ ০৩:১০:৫৫

 আপডেট: ২০২৩-০৪-১৪ ০২:৪৯:৪৯

মাসুদ পারভেজ রূপাই:

ঝরাপাতার গান
ঝরে পড়া পাতাদেরও একটা সময় সবুজ জীবন থাকে। হাসি-গানে তাদেরও প্রাণবন্ত সময় ছিলো। ঋতুর আবর্তে তা ফুরিয়ে আসলেও সময়ের চোরাবালিতে তাদের রেশ রয়ে যায় অহর্নিশি।

হলুদ পাতাদের আমার ভীষণ মায়া লাগে। স্মৃতির মানসে তাদের দোলা অনুভব করি সবসময়। তাদের যৌবন ফুরিয়ে আসা ঠেকাতে না পারলেও হৃদয়ের গভীরে তাদের স্থান দিয়ে, সে যৌবনের ঋণ স্বীকারে সদা তৎপর।

জলের গানের সাথে গলা মিলিয়ে বলি- আমি একটা পাতার ছবি আঁকি। পাতাটা গাছ হয়ে যায়... কিন্তু আমার ক্ষেত্রে গাছ না হয়ে কবিতা হয়ে যায়। অল্পকথামালায় তারা উড়ে বেড়ায় ঘাসফড়িঙের মতো। আর এই অল্পকথায় তারা সৃষ্টি করে অদ্ভুত মায়া। তা আবার ছাপ রেখে যায় আরও কত সহস্র অজানা কথামালার।

সে সব অপ্রকাশিত কথামালার যৌবন উসকে দিতে এই অবিনাশি আয়োজন; ঝরাপাতার গান। হুম, গানই তো। গান যে কবিতা হয়ে যায়। কবিতা যে গান হয়ে যায়।



তুমি আমি মূলত দুই দেহের এক সত্তা
আলাদা বাস করছি অভিন্ন এক সত্তা নিয়ে


কবিতার স্তনবৃন্ত থেকে বেরিয়ে আসে গোলাপি সুবাস
অনর্গল খসে গ্যালে পাখির শীষ
চিরকৌমার্যের পাটাতন বেয়ে নেমে আসে সোনালি প্রহর


তোমায় কবিতার নিঃসঙ্গতা দিলাম
যাও উড়ে উড়ে শ্বেতকপোত হয়ে...


শহরে নাকি আজ ভীষণ যুদ্ধ
আনন্দ এসেছে নিরুপমা,
আনন্দ এসেছে


বিষণ্ণ সম্ভারের খোলসজুড়ে শূন্যতা
বাইরে থোকা-থোকা জলার্দ্র চোখ
এক নিমিষে ভাসিয়ে নেয়, অথচ
আমার উন্মত্ত বুকজুড়ে বিরানভূমের হাহাকার


নিজেকে খুঁজে ফিরি
আন্ম-উন্মোচনের খাঁজে খাঁজে
নিস্তরঙ্গ দীঘির মতন
সু-গভীর শূন্যতা


বিরুদ্ধ স্রোতের সাড়াশি অভিযানে
নিহত হয়েছে পবিত্র জল, রুক্ষ হয়েছে মাটি-
হে ঈশ্বর, মর্ত্যের স্বর্গে পরিণত না হওয়া অবধি
আমাকে রহম করো

আপনার মন্তব্য