প্রকাশিত: ২০১৬-০২-২৩ ১৫:৩৯:২২
মনোজিৎকুমার দাস:
এখনো গ্রামেই আছি
(সুসাহিত্যক প্রয়াত তারাপদ রায়ের উদ্দেশে)
এখনো গ্রামেই আছি,
মনে আছে-- ভুলি নি,
এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি যেতে
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো,
খাল বিলে অঢেল মাছের সমারোহ।
এত বছর পড়েও মনে আছে
সেকালের সব কথা,
একালে বাঁশের সাঁকো নেই-
আছে কাঁচা মাটির রাস্তা
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে.
এ সব রাস্তায় এখন আর
গরু কিংবা ঘোড়ার গাড়ি
নেই, আছে নড়বড়ে যন্ত্রযান!
ধুলো আর ধুয়ো উড়িয়ে
ওগুলো কষ্টেসৃষ্টে ধুঁকে ধুঁকে চলে
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে...
যাত্রা আর জারিশারি গানের আসর বসে না
গ্রামের দহলিজে আজ আর আগের মতো-
আজ আর সেদিনের সে গ্রাম নেই ...
প্রেম নেই, প্রীতি নেই আজ আর সেকালের মতো;
কাকের মুখে বটের লাল ফল দেখার জন্য
পূর্ণিমার শীত সন্ধ্যা
শেষ মাঘের পূর্ণিমার শীত সন্ধ্যা
আকাশ গাঙে পূর্ণশশী
কিষানের উঠোনে সোনালী আলো
দাওয়ায় স্তন্যদাত্রী মাতা;
সুডোল বুকে নবজাতকের ওষ্ঠদ্বয়
হিমেল সন্ধ্যায় চাঁদের হাসি,
স্তন্যদাত্রীর মুখে স্বর্গের মাধুরী
হলুদ গাঁদার পাপড়িতে আলোর নাচন
ঘরের চালে সাদা ডানার লক্ষ্মীপেঁচা
হিম ভরা পূর্ণিমার শীত সন্ধ্যা।
সুখ স্মৃতি
সন্ধ্যায় ছোট হিজল গাছের নিচেয় জ্বলছে
জিপসিদের কাঠের আগুন --একদৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছি সেদিকে।
রৌদ্র ঝলসানো জিপসি মেয়েটির প্রতি
আমার
নীরব চাহনি;
ছিন্নবস্ত্রের আড়ালে নগ্ন দেহবল্লরী
পিঠে খড়ের আঁটি...
ওষ্ঠদ্বয়ে ম্লান হাসি,মাথাটায় অবিন্যস্ত আবরণ;
পিঠের বোঝায় সে ভারাক্রান্ত;
মনে হয়,
তার ওই ছোট্ট পিঠটা ভারবহনে অক্ষম।
আপনার মন্তব্য