প্রকাশিত: ২০১৬-০৮-০৫ ০৩:২৯:০৪
ফারহানা রহমান:
দিনান্তের শেষ গল্প
প্রকৃত নাবিকই শুধু জানে
সাগরে প্রলয় কখন আঘাত হানে
সাগরে ডুবেছে যে শহর
অচেনা পথিক, জনপথ অথবা যে মৌনতায় ঘেরা ছিলো কুঁড়েঘর
সেখানেও কি ছিলো এমন কেউ
ভালোবেসে গুনতো সে প্রবল সব ঢেউ
জলের শরীরে এলিয়ে যায় যে প্রথমদিন
সে কি কখনো স্বীকার করে সাঁতার শেখার ঋণ
ভুল পথে চলেছে যে পথিক বিভোল
অন্ধকার বাঁকেও কি সে দেখে নির্ভুল
সন্ধ্যার আকাশে ফোটে যত জোনাকির নাকছাবি
মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি এলে মিলায় সে ছবি
যে খুঁজে খুঁজুক ধ্রুবতারা
আমি শুধু বুঝি বোঝাপড়া
বহুদিন ধরে জ্বলেছিল প্রদীপ নিঃশেষে
নিজ হাতে নিভাই দিনান্তে অবশেষে।
চোরাবালি
খুঁজি এক সপ্তডাঙার ছায়ানীড়!
বৃষ্টিকে ছেড়ে গেছি সে তো কবেই –
ছুঁতে কি পেড়েছি এতোটুকু সৌরভ লেবুকুঞ্জের ?
তুমি কি তবে কোন অপার্থিব পুতুল, কাঠের?
সূর্যাস্তের জন্য প্রতীক্ষারত,
এই, আসা – যাওয়া
প্রেম
বিচ্ছেদ
হাহাকার
বুনছি জলের বুদবুদ
তুমি আকণ্ঠ শুষে নাও কষ্টের কুমকুম
অবসাদ ঝুলে থাকে বিষণ্ণ গ্রীবায়
তবু, আমি বিশ্বাস করিনা সামনে পুরোটা কাঁকর বিছানো পথ!
আমি বিশ্বাস করিনা এই অবিরত ডুবে যাওয়া চোরাবালির বুকে,
খুঁজে দেখো আলোর উদ্ভাস আছে খুব কাছেই;
কোথাও কোন গোলকধাঁধার বাঁকেই....
বর্ষায় বাজে বেদনার সুর
এখনো বর্ষা আসেনি
তবু ভিজছে দু চোখ অবিরত
এতো যে প্রখর তাপ
তাতে কি তপস্যা হবে?
জীবন স্পর্শ চায় জলের
তবে বর্ষার অবিরাম কোলাহলে
কেন দীর্ণ হাহাকার শুনি এতো?
এক বর্ষা শেষে অন্য বর্ষার যে পথচলা
অস্ফুট পিপাসা ভেসে থাকে সেখানেও,
যে একাকী রথ হারিয়েছে পথ উইলো বনের ধারে
কৃষ্ণপক্ষের মায়াবী জ্যোৎস্না সেখানেও তো ঝরে
শেষ রৌদ্রদিনে বাবলা গাছের সিথানে মিশে আছে যে আকাশ
সেখানেই বর্তুল পৃথুলা ওড়ে নীল শাড়ি পরে।
পুরোপুরি কখনোই নয়
বরং অংশত তুমি আর আমি আসি কাছাকাছি
বড় বেদনার সুরে
তাই প্রতিটি বৃষ্টির পর
বিচ্ছিন্ন হই
আমি আর আমার হৃদয় বারবার।
আপনার মন্তব্য