সঞ্জয় আচার্য-এর ৩ কবিতা

 প্রকাশিত: ২০১৬-১০-১৪ ০১:০৩:৫৯

সঞ্জয় আচার্য:

পূর্বাপরহীন
তুমি এসেছিলে
অনেক দিনের পর্যুষিত বেদনার মত
কিনতে যাইনি তোমাকে মাটির দরে; শুধু পরশ চেয়েছি, পেয়েছি
তুমি আলো হয়ে এভাবেই থেকো; রোমাঞ্চে ও প্রেমে
শরীরে ফেরোমন বাড়ছে। আমিও বৈষ্ণব হব বিচ্ছেদে কালে কালে।

অতসী, তোর জন্যে
দ্যাখা হয়ে যায় ধূপের গন্ধে
মেঝেটা বেল পাতায় ভরা ছিল
গায়ের রঙ একটুও বদলায়নি
এতটা বছর পেরিয়ে গেছে!

একটা সময় তোর বীজগুলো দূর্বাদলে ঝরতে দ্যাখে
পাশের ক্ষেতে হাসত লাল শাক। সরষে ফুলের শরীরে
ভিজে মাটির গন্ধ শুঁকে উড়ে আসত গঙ্গাফড়িং বোয়িং বিমানের মত
কিশোর গাছে বাঁধা ঝুলনাতে বিজ্ঞাপন তরঙ্গ শোনে দেখতাম
পাশের বাড়ির বৌদিরা তখন পুকুরে বাসন-কোসন নিয়ে ব্যস্ত
কেউ আবার পুরুষালি সাজে ঘাটে মাছ ধরত
কী দিন গেল রে অতসী!

আজ তোর স্থান নেই আমার মাঝে, আমাদের মাঝে
পাকা উঠোন থেকে পিঁপড়েরা উঠে আসে ঠিকই
তোকেও উঠতে হবে ব্যস্ততার হাত ধরে।

পাটীগণিত
হাতুড়ি-বাটাল হাতে গুলে খাচ্ছে সব নিউ মার্কেটের কাঠ মিস্ত্রী
দ্বি-মাত্রিক, ত্রি-মাত্রিক, চতুর্মুখী পাটীগণিত খুলে বসে আছে
চামড়ায় ভাঁজ পরা খদ্দেররা সিআইএ এজেন্টদের মত পরখ করে কাঠের ভাঁজ
প্রত্যাশিত পর্যায়ে যাবার আগেই সব বিক্রি হয়ে যায়
দেনা-পাওনার অঙ্কে ঝুলে থাকে বরফের বাগান
কারো মনের আকাশ থেকে তারা ঝরে পড়ে
পাহাড়ের চূড়া থেকে বাঞ্জি জাম্পিং বা প্যারা গ্লাইডিং
ঝপাং!
ডলফিনের সাথে ডুবসাঁতার খেলা , অতিকায় স্পর্শ।

আপনার মন্তব্য