প্রকাশিত: ২০২০-১১-১২ ১০:১৯:০৫
মাসুদ পারভেজ:
পাপ-পুণ্যের মাঝামাঝি আমি কি?
সত্য, নাকি মিথ;
পুরাণ নাকি নস্যি?
খাঁচা-আকাশের মাঝামাঝি আমি নিশ্চয় প্রকৃতি
সবুজবিথীর মরণ আমাকে ভাসায়
কিংবা শ্বাসরোধ করে বসে।
অতএব আমি কি ছিলাম মহাশূন্যের আকরে
যূথবদ্ধতা শিয়রে;
কোথা হতে এসেছো তুমি, হে আবে হায়াত?
১
পশ্চিমের আলো বয়ে চলে পুবের দিকে
আলোকিত করতে করতে মাঝখান
সবুজপত্র ফিকে হয়ে গ্যালে উবে যায় রঙিন ফানুস
পৃথিবীর প্রাচীন অন্ধকার ভর করছে বলে:
আমাদের যাতনার সিদ্ধি লাভে ভাঙছে বলয়-
পিপীলিকা পিলপিল পায়ে হেঁটে যায় গন্তব্যে
এর মাঝে জীবন, জীবনের জটিলতা
হাসি-তামাশা অবিরাম
জানি, দ্বিধাটুকু কেটে গ্যালে বিশাল আকাশ;
তবুও কেন, গৌরবের নিউরনে বাসা বাঁধে
অবিশ্রান্ত ঝিঁঝিঁ পোকা
২
আকাশপানে চেয়ে থাকি পাখির চোখে
চেয়ে থাকতে থাকতে আন্ধার ঘনায় আসে
একটা সময় নীলরাজ্যে হারিয়ে ফেলি নিজেকে;
অতঃপর গভীর অন্ধকার গহীন থেকে বেরিয়ে এলে
কলোসিয়ামজুড়ে বিরাজ করে আবে হায়াত-
আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল কে?
অমরত্বের হাতছানিতে বিষাদের যাপন;
বলো, এত লোভ কেন বেঁচে থাকায়...
৩
গেলাসের অধরের কার্নিশে আঙ্গুর লতার কান্নায় মন ভাঙে গালিবের সহসাই।
গোলাপজলে আগুন
জ্বেলে নির্বাক দারাশিকো'র সময়। ফুরিয়ে আসে কুপির আলো।
অন্ধকার চারিদিকে শুরু হয় দারুণ উৎসব। আমাদের ঠোঁট পুড়ে খাক হয় কার হাঁকে?
রানার ছুটছে খবর বোঝাই করে। খবরের কত আজব কারবার; হাসি-কান্নার সম্মিলনে রানারের ছোটা কেবলই বাড়ে, যেমনটা বাড়ছে বলে শুনি; রাত হাজার বছরের।
আমাদের দ্বিধা নেই যদিও, তবুও রেশ রয়ে যায় কালের চৌহদ্দিতে। চারকোণা রাস্তার মোড়ে বসে আবুল মিয়া কনিষ্ঠ আঙুল ছুড়ে দেখায়; একটা কুকুর সঙ্গমে পাগলপ্রায়...
আপনার মন্তব্য