জাতীয় গ্রন্থনীতি প্রণয়নের কাজ চলছে- প্রধানমন্ত্রী

মাসব্যাপি একুশে গ্রন্থমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 প্রকাশিত: ২০১৫-০২-০১ ২৩:৫১:৩২

 আপডেট: ২০১৫-০২-০২ ১১:১৯:৪৭

নিউজ ডেস্ক: বই মনের খোরাক জোগায়’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৫ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বই পড়া ছাড়া জানি না কিভাবে সময় কাটানো যায়? শত ব্যস্ততার মধ্যেও চেষ্টা করি বই পড়ার। জীবনকে গড়ে তোলার সুযোগ দেয় বই। বই পড়ার অভ্যাস সবার জন্যই প্রয়োজন। 'বই জীবনকে গড়ে তোলার সুযোগ দেয়।’

রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌণে পাঁচটায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা ও সাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করেন।

সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি সংস্কৃতিক্ষেত্রে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। দেশের প্রকাশনাকে উৎসাহ দিতে একটি ‘জাতীয় গ্রন্থনীতি’ প্রণয়নের কাজ চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ই-বুক প্রচলনের ব্যবস্থা করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির ধারায় বাংলাভাষাকে গতিশীলভাবে যুক্ত করতে অভিন্ন ও সহজসাধ্য বাংলা ফন্ট প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে বইমেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। বইমেলা শুধু মেলাই নয়, জ্ঞান অর্জনেরও সুযোগ করে দেয়। শুধু জ্ঞানই দেয় না, জীবনকে গড়ে তোলার সুযোগও পাওয়া যায় বই পড়ার মাধ্যমে। বই তাই আমাদের সব ধরনের মনের খোরাক যোগায়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল মাতৃভাষা রক্ষার জন্য। রক্ত দিয়ে আমরা সে অধিকার রক্ষা করেছি। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করে।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মিলিত হয়েছিল একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে। অমর একুশেই আমাদের মুক্তিসংগ্রামের প্রথম বিজয়গাথা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকসহ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লেখকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন




আপনার মন্তব্য