মণিপুরী ভাষার মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’

 প্রকাশিত: ২০১৬-০৭-২৯ ১১:২২:৪৭

এ কে শেরাম:

মণিপুরী সাহিত্যের এক গৌরবময় ঐতিহ্য হিজম অঙাংহল সিংহ রচিত মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’। উল্লেখ্য, হিজম অঙাংহল-এর জন্ম ১৮৯২ সালের ২৮ জুলাই মণিপুরের শামুরৌ নামক গ্রামে। পিতা ডুম্ব্র সিংহ এবং মাতা চাউবীতোন। গ্রামের এলপি স্কুলে পড়াশোনার সূত্রপাত। পরে রাজধানী শহর ইম্ফালের পেটিগ্রু স্কুল ও জোনস্টোন স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিন্তু দারিদ্রের কারণে লেখাপড়া খুব বেশিদূর এগোয়নি, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েই সমাপ্ত হয় তাঁর শিক্ষাজীবন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে আদালত প্রাঙ্গণে দরখাস্ত লেখার কাজ শুরু করেন। বিয়ে করেন ১৯১৭ সালে মিকোই দেবীকে এবং পাঁচ সন্তানের জনক হন। গীতিকার হিসেবে তাঁর লেখালেখির সূচনা। পরে কবিতা ও অন্যান্য শাখায় পদচারণা করেন। মণিপুরী সাহিত্যের প্রথম সংগঠন ‘মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ’ ও ‘মণিপুর ড্রামাটিক ইউনিয়ন’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নাটক ‘ইবেম্মা’ (১৯৩৬), খ-কাব্য ‘শীঙেন ইন্দু’ (১৯৩৬), উপন্যাস ‘য়াইথিং কোনু’ (১৯৩৮), উপন্যাস ‘জহেরা’ (রচনা ১৯৪০, প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পরে ১৯৬৪ সালে), মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ (রচনা ১৯৩৯-৪০, প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পরে), নাটক ‘পোক্তবী’ (১৯৮৪) এবং কাব্যগ্রন্থ ‘শৈরেং খরা’ (১৯৮৯)। মণিপুরী সাহিত্যের একমাত্র মহাকাব্য ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’-এর জনক মহাকবি হিজম অঙাংহল মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল। মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ ১৯৪৮ সালে তাঁকে ‘কবিরত্ন’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেন।

প্রায় চৌত্রিশ হাজার পঙক্তি নিয়ে রচিত ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ মহাকাব্যটির অবয়ব নির্মিত হয়েছে দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ‘মোইরাং’ রাজ্যে সংঘটিত বলে বিশ্বাস করা একটি অবিনাশী প্রেমকাহিনিকে নিয়ে। প্রাচীনকালে বর্তমান মণিপুর রাজ্য বেশ ক’টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল, মোইরাং রাজ্য তাদের অন্যতম। প্রাচীন মোইরাং রাজ্য নানা কারণেই বিশিষ্টতার দাবি রাখে। কারণ, মোইরাং অঞ্চলের পুরো এলাকা জুড়ে যেমন ইতিহাসের বিক্ষিপ্ত নানা মণিমুক্তো ছড়িয়ে আছে, তেমনি আছে প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্যের অন্তহীন বিস্তারও। ফলে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই মোইরাং। এখানে প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যচেতনার সবটুকু উপমা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে ‘লোক্তাক লেক’, উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম স্বাদু পানির প্রাকৃতিক হ্রদ। ২০০ বর্গকিলোমিটারের চেয়েও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই হ্রদের সাথে কোনো-না-কোনোভাবে যুক্ত আছে রাজ্যের প্রায় প্রধান সব নদী।

সবুজ পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সমুদ্রের এক ক্ষুদ্র সংস্করণ এই জলাভূমির একটি বিরাট অংশে জলজ উদ্ভিদ ও বিভিন্ন আবর্জনা জমে জমে সৃষ্টি হয়েছে ভাসমান দ্বীপের। এই ভাসমান দ্বীপের একাংশে প্রায় ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘কৈবুল লমজাউ ন্যাশনাল পার্ক’ যা পৃথিবীর বৃহত্তম ভাসমান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকা, যেখানে বিচরণ করে রাজ্যের জাতীয় পশু হিসেবে বিবেচিত বিরল প্রজাতির হরিণ-‘সাঙাই’সহ বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির পশু-পাখি। ‘ফুমদি’ নামে পরিচিত লোক্তাক হ্রদে ভাসমান আবর্জনার স্তুপের উপর অনেক মৎস্যজীবী পরিবার বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করে। এই বিশাল জলাভূমি বিপুল পরিমাণ মৎস্য ও জলজ সম্পদের সরবরাহ, অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচকার্যে অপরিসীম অবদান রাখার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পরিবেশ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এক অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’ ভারতের অভ্যন্তরে এই মোইরাংয়েই প্রথম ভারতের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তারই স্মৃতি হিসেবে মোইরাং বাজারে ‘আইএনএ’র ওয়ার মিউজিয়াম ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি বিশাল ভাস্কর্য আছে। এই মোইরাং অঞ্চলেই আছে মণিপুরীদের হিন্দু ধর্ম গ্রহণ পূর্ববর্তী আচরিত প্রাচীন ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ এক দেবতা ‘থাংজিং’-এর মন্দির যেখানে প্রতি বৎসর অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য ‘লাইহারাওবা’ উৎসব আর যে মন্দিরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত খম্বা-থোইবীর সেই শাশ্বত প্রেমের উপাখ্যান।

সময় দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দী। মোইরাং রাজসিংহাসনে তখন রাজা পুরিৎলাই চীংখুলেম্বা, যিনি চীংখু তেলহৈবা নামেই সমধিক পরিচিত। এ কাহিনির নায়ক খম্বার পিতা ছিলেন মোইরাংয়ের পার্শ্ববর্তী খুমাল রাজ্যের একজন রাজপুরুষ। কিন্তু নানাবিধ ভাগ্য বিপর্যয়ের পর পিতা-মাতার মৃত্যু হলে অসহায় খম্বা ও তার বড় বোন খামনু মোইরাংয়ে এসে আশ্রয় নেয়। আর কাহিনির নায়িকা থোইবী রাজকুমারী মোইরাংরাজ চীংখু তেলহৈবার ছোট ভাইয়ের একমাত্র সুন্দরী কন্যা। দৈবক্রমে খামনুর সাথে রাজকুমারী থোইবীর পরিচয় এবং সখ্য হয়।

থোইবী একদিন লোক্তাক হ্রদে গিয়ে মাছ ধরার ইচ্ছে প্রকাশ করলে রাজা সমস্ত আয়োজন করে এবং সব পুরুষের জন্য সেদিন লোক্তাকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। থোইবী খামনুসহ তার সকল সখীকে নিয়ে লোক্তাক যাত্রা করে। যাওয়ার আগে খামনু রাজ-আদেশের কথা বলে ছোট ভাই খম্বাকে যে কোন পরিস্থিতিতেও লোক্তাকে না যাওয়ার জন্য পইপই করে নিষেধ করে যায়। কিন্তু নিয়তির কী অদ্ভুত খেলা! খম্বা একা ঘরে পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে স্বপ্নে দেবী পান্থোইবী বড় বোন খামনুর রূপ ধরে এসে দেখা দেয় এবং খম্বাকে লোক্তাক থেকে শাক সংগ্রহ করে রাখতে বলে। খম্বা বড় বোনের নির্দেশানুযায়ী লোক্তাকে যায় শাক সংগ্রহে। সেখানে আকস্মিকভাবে দেখা হয়ে যায় থোইবীর সাথে এবং প্রথম দর্শনেই দু’জন দু’জনের প্রতি গভীর প্রেমে আপ্লুত হয়। তারপর দিন গড়িয়ে যায় আর এই দুই প্রেমিক হৃদয়ও কূলপ্লবী প্রেমের বন্যায় ভাসতে থাকে অজানা গন্তব্যের দিকে। মোইরাংয়ের আর-এক ক্ষমতাশালী রাজপুরুষ নোংবান ভালোবাসতো থোইবীকে। থোইবীর পিতা যুবরাজেরও জামাতা হিসেবে পছন্দ ছিলো নোংবানকেই।

দরিদ্র ও এতিম ছেলে খম্বাকে সে দু'চোখে দেখতে পারতো না। কিন্তু থোইবীর হৃদয় পেতে ব্যর্থ হয়ে নোংবান প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে। তাই খম্বাকে নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকে সেÑনানা কল্পিত অপরাধের দায়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে। একবার একটি বুনো ষাঁড় একটি গ্রামে এসে উৎপাত শুরু করে দিলে রাজা সেই বুনো ষাঁড়কে বন্দী করে প্রজাদের বিপদমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যিনি এ-কাজে সফল হবেন তাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে। নোংবান একাজে খম্বাকে উদ্বুদ্ধ করে এই আশায় যে ষাঁড়ের আক্রমণে সে মারা যাবে। কিন্তু খম্বা সেই বুনো ষাঁড়কে বন্দী করতে সক্ষম হন। আর তখনই ক্ষমতাশালী নোংবান তার অনুগত লোকজনদের সহায়তায় নানা কৌশলে বন্য ষাঁড়কে বন্দী করার সমস্ত কৃতিত্ব নিয়ে নেয় এবং রাজার কাছ থেকে পুরস্কার অর্জন করে। খম্বাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে নোংবান যুবরাজের কাছে সাজানো চুরির একটি মিথ্যে অভিযোগ উত্থাপন করে।

যুবরাজ খম্বাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি হিসেবে হাতির পায়ের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে খম্বাকে টেনে-হিঁচড়ে সারা বাজার প্রদক্ষিণ করে এবং একসময় মৃত ভেবে তাকে বাজারে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু দেবতা থাংজিং-এর আশীর্বাদে খম্বা বেঁচে যায় এবং সুস্থ হয়ে ওঠে। এভাবে থোইবীর পিতা এবং প্রেমপ্রার্থী নোংবান-এর চক্রান্তের জালে পড়ে বারবার বিপর্যস্ত হয় খম্বার জীবন। তারপরও দেবতার স্নেহছায়ায় সে বেঁচে থাকে এবং বেড়ে ওঠে। ক্রমে ক্রমে খম্বা দেশের প্রধান বীর হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। জাতীয় দৌড় বা কুস্তি প্রতিযোগিতায় সে চ্যাম্পিয়ান হয়। থাংজিং দেবতার সামনে যখন নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তখনও থোইবীকে নিয়ে যুগলনৃত্য পরিবেশন করে খম্বা উপস্থিত রাজা ও অমাত্যবর্গ এবং সাধারণ প্রজাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করে। এভাবে সে রাজার সুনজরে পড়ে এবং রাজার বিশ্বাসভাজন কর্মচারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু তবু সে থোইবীর পিতা যুবরাজের মন জয় করতে পারে না। নোংবানের প্ররোচনায় যুবরাজ তার কন্যা থোইবীকে নোংবানের সাথে বিয়েতে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দেয়, অন্যথায় তাকে নির্বাসনদ- দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। থোইবী নোংবানকে বিয়ে করতে কোনক্রমেই রাজী হয় না বরং সে নির্বাসনদ- মাথা পেতে নেয়।

কয়েক বৎসরের নির্বাসনদ- শেষে থোইবী আবার ফিরে আসে নিজ গৃহে। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটল তার প্রেমাস্পদ খম্বাকে ছাড়া সে কখনোই অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। এসময় রাজ্যে একটি মানুষ-খেকো বাঘের আবির্ভাব সবাইকে সন্ত্রস্ত করে তোলে। ইতোমধ্যেই বেশ ক’জন মানুষকে হত্যা করেছে এই বাঘ এবং প্রতিদিনই কোনো-না-কোনো গ্রামে তার উপস্থিতি রাজাকে ভাবিত করে তোলে। তিনি রাজসভা ডেকে দেশের দুই প্রধান বীর খম্বা ও নোংবানকে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বাঘকে যে হত্যা করতে পারবে তার সাথেই রাজকুমারী থোইবীর বিয়ে দেয়া হবে। রাজার এই ঘোষণায় সাজ সাজ রব পড়ে যায় সমগ্র রাজ্যে। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত একটি স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনার বিদ্যুৎ-স্ফুলিঙ্গ খেলে যায় খম্বা ও নোংবানের মস্তিষ্কের কোষে কোষে। তারা দু’জনেই দ্রুত সব প্রস্তুতি নিয়ে নেমে যায় কাজে। একসময় বাঘের সাক্ষাৎও মেলে। কিন্তু কী নির্মম নিয়তি! বাঘ দু’জনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে নোংবান আহত হয় মারাত্মকভাবে। খম্বা তাকে বাঘের মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে ঠিক, কিন্তু রাজার কাছে নিয়ে আসতে-না-আসতেই মারা যায় নোংবান। পরে খম্বা বাঘটিকে একক প্রচেষ্টায় হত্যা করে বিপদমুক্ত করে প্রজাদের। রাজা খুশী হয় এবং মহা ধুমধামের মাধ্যমে খম্বার সাথে বিয়ে দেয় রাজকুমারী থোইবীর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অনেক দীর্ঘ সংগ্রামের পথ মাড়িয়ে অবশেষে দু’টি প্রেমিক হৃদয় মিলিত হয়।

খম্বা ও থোইবীর এই অসম প্রেম এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও সংগ্রামের অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে অবশেষে একসময় এই দুই প্রেমিক হৃদয়ের মিলন দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সংঘটিত বলে বিশ্বাস করা এই ঘটনা বিভিন্ন লোককবির মুখে মুখে কাহিনি-কাব্য হিসেবে গীত হতে থাকে। ‘পেনা’ নামের মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী একধরনের তারযন্ত্র সহযোগে লোককবিদের গাওয়া এইসব লোকগান মণিপুরীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এইসব গানের ধারা এখনও মণিপুরী সমাজে প্রচলিত। ১৮৯২ সালে মণিপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নেয়া হিজম অঙাংহলও এসব গান শুনে শুনে বড় হয়েছেন। পরিণত বয়সে এসে তিনি বিভিন্ন লোককবিদের কাছ থেকে ‘খম্বা-থোইবী’র কাহিনি শুনে কাব্যছন্দে একে রূপায়িত করে গ্রন্থিত করেন ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ নামের মহাকাব্যটি। ১৯৩৯-৪০ এই দুই বৎসরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতি হিসেবে রচিত হয় মহাকাব্যটি। তবে ছাপার অক্ষরে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পর। পনেরোটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত ৭/৭ মাত্রার পয়ার ছন্দে রচিত ‘খম্বা-থোইবী শৈরেং’ মহাকাব্যটি মণিপুরী সাহিত্যের এক অমল অহঙ্কার।

লেখক: কবি 


আপনার মন্তব্য