সর্দার মহব্বত আলী-এর ৪ কবিতা

 প্রকাশিত: ২০১৬-০৯-০২ ২১:০৪:০৬

সর্দার মহব্বত আলী:

এক ফোটা অনল দাও কিংবা এক গাল চুমু
এক ফোটা অনল দাও,
জ্বেলে দেই প্রেমের কাঠি-
দহনে পুড়ে
চল হয়ে যাই খাঁটি।

এক গাল চুমু খাও
ভালোবাসার স্বাদ পাবে,
শীতার্ত হৃদয়কে উষ্ণ করি-
প্রেমিক হওয়ার আগে।

অনুর্বর দিনগুলো সাঙ করি এ বেলা।
যেন হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে-
এক নীহারিকার মাঝে,
গুঞ্জনে কুঞ্জনে নেশাচ্ছন্ন মনে-
সকাল - দুপুর- সাজে।
ব্যতিব্যস্ততার এ বিকট অভিলাষ
আজ মিলে যাক ডাহুক কিংবা
পপের কোলাহলে।
কেটে যাক সব হৃদয়ের জড়তা -
বাসন্তী হাওয়ার দোলে।
বৈরি দুটো মন না হয় আজি
জ্বলুক- চুমু অথবা চুমুকে।।

প্রেয়সী আসর আর পেঁচার সাথে বাসর
ফুল কেনার ইচ্ছে হয়না
ভুল করার চিন্তা হয়না,
অভিমানের সকল বায়না
তাও আর ভাল লাগে না।
গল্প লেখায় মন বসে না
কাব্যেও খেয়াল ধরে না,
অশ্রাব্য ভাষাও আর ফলে না
 জলে আর অশ্রু ভরে না।
বুক ভরা উন্মাদনা
এখন কভু প্রাণ ছাপে না,
মাতাল রাতের নীল নয়না
নিয়নালোয় পথ চলে না।
পিয়াসি রাতের প্রেয়সী আসর
আর হুতুম পেঁচার সাথে বাসর,
তবু বেঁচে থাক হৃদয়ের অগভীর
পেরিয়ে দমকা হাওয়ার শিরশির।

নৈমিত্তিক
পিয়াসি পানে পিপীলিকা পোড়ে
জরায়ুর জানে জীবন জ্বলে
বাজে বুভুক্ষু বীণা বিতৃষ্ণ বিনয়ে
তব তনয়ার তীরে তে তলিয়ে।

২.
রূপকথার গল্পের ভিড়ে
সত্যগুলো যায় হারিয়ে।
বিশ্বাস হারা পাখি ভবঘুরে
তবু হৃদয় ডানা রাখে বাড়িয়ে।

অর্থহীন
সব প্রেমিকারাই এক
সব প্রেমিকেরাও-
হয়তো সব মানুষ গুলো।
অচেনা হয়তো অসভ্য আনাড়ি।
সব প্রেমেই সেই একই কামনা
সেই পুরনো দহন জ্বালা
হাসি মুখে চাপা কান্না।
সব জলেরই একই অর্থ
বৃষ্টি-আঁখি-শিশির রাজ্য
কিংবা ঘামে ভেজা
শ্রমিকের ওই কর্দমাক্ত দেহ।

***
অতঃপর বেলা বয়ে গেল-
ঘরে ফেরার আশাও হল।
সকালের সেই প্রস্ফুটিত গোলাপ
তীব্র তাপ দাহে –
শত প্রেমিকের হ্রদয় ছুঁয়ে-
আজ বড় ক্লান্ত।

ফুলদানিও না জুটে
ঘরের কোন এক কোণে
পড়ে রইলো উঠানে-
অনাদরে।
তবু প্রেমিকারা বলে
প্রেম সত্য, প্রেম মহান।

***
ঘেন্না করি প্রেম-
হৃদয়ের দেনাপাওনা,
ঘেন্না করি মন-
মিছেমিছি ভালবাসা।

আপনার মন্তব্য