‘চাননি পসর রাইতে’ মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা ও একজন হুমায়ূন আহমেদ

 প্রকাশিত: ২০১৮-০৭-২২ ০১:৩২:৪৫

 আপডেট: ২০১৮-০৭-২২ ০১:৩৬:২৮

জহিরুল হক মজুমদার:

আমার শিক্ষক ছিলেন অধ্যাপক হুমায়ূন আহমেদ। না ক্লাসের শিক্ষক নন। রসায়ন আমার সাবসিডিয়ারি বিষয় ছিল। কিন্তু হুমায়ূন স্যার এর ক্লাস কখনো পাইনি। আমি ছিলাম শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। আর স্যার ছিলেন সেই হলের হাউজ টিউটর। সাবসিডিয়ারি ক্লাস ছাড়া ভিন্ন বিভাগের শিক্ষকের সাথে সংযোগ ঘটার একটি প্রধান জায়গা হচ্ছে আবাসিক হল। হুমায়ূন স্যারের সাথে আমার সংযোগের জায়গাটি ছিল শহীদুল্লাহ হল।

কিন্তু খুব বেশী কিছু সরাসরি সংযোগ যে ছিল তা নয়। তিনি আমার ব্লকের সরাসরি হাউজ টিউটর ছিলেন না। কিন্তু আমরা সবাই পুলকিত বোধ করতাম এবং কখনো কখনো গর্বের সাথে বাইরে বলে বেড়াতাম যে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের হাউজ টিউটর।

আমরা যারা নব্বই দশকের একেবারে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তারা প্রায় সবাই আমাদের কলেজ জীবন থেকে লেখক হুমায়ূন আহমেদকে চিনতাম। তাঁর অনেক বই কলেজ জীবনেই পড়ে ফেলেছিলাম। আমি বইয়ের জন্য নির্ভরশীল ছিলাম আমার বন্ধু শওকত জামান এর ওপর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক ছাত্র, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই কর্মকর্তা আজীবনই ছিলেন সাহিত্যপ্রিয় এবং এখনো আছেন। আমাদের কলেজ জীবনে সাহিত্যের বইয়ের একটি বড় যোগান আসতো আমাদের এই বন্ধুর কাছ থেকে।

তবে আরেকটু পেছনে গেলে মনে পড়ে যে, আশির দশকে আমাদের স্কুল জীবনেই হুমায়ূন আহমেদ এর “এইসব দিনরাত্রি” প্রচার এবং পুনঃপ্রচার হয়েছিল। সকালের পড়াটা শেষ করে দ্রুত পায়ে হেঁটে নানা বাড়ির কাছাকাছি এক সম্পর্কীয় মামাবাড়িতে বসে সাদাকালো টেলিভিশনে দেখতাম ধারাবাহিক নাটক “এইসব দিনরাত্রি”।

এরপর আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তার কিছুদিন পরই টেলিভিশনে শুরু হয় স্যার এর লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘অয়োময়’। আমি তখন আহমেদবাগ এ প্রাইভেট টিউশানি করতাম। টিউশান পর্বটি সেরেই দ্রুত আমার আবাসিক হল শহীদুল্লাহ হলে চলে আসতাম নাটক দেখার জন্য। আর অবাক লাগতো এই নাটকের লেখক হুমায়ূন স্যার ওইতো ওই বাসাতেই থাকেন! এছাড়া প্রতি ঈদ সংখ্যা বিচিত্রায় থাকতো স্যার এর উপন্যাস। আর ঈদের নাটক বলতে তখন বুঝাত হুমায়ূন আহমেদের নাটক।

জীবন যাপনে অত্যন্ত সহজ সরল ছিলেন হুমায়ূন স্যার। বিদেশ ফেরত অনেক শিক্ষকেরই গাড়ি ছিল। কিন্তু হুমায়ূন স্যারের কোন গাড়ি ছিল তা দেখিনি। সাধারণ বেল্ট লাগানো স্যান্ডেল পরতেন। শার্ট ইন করার প্রয়োজন মনে করেননি কখনো।

ইতিমধ্যে স্যারের লেখার সুবাদে জেনেছিলাম, স্যারের পিতা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ একাত্তরে শহীদ। পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে মেরে নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছিল। বলেশ্বর নদীতে লাশ ভেসেছিল অনেক দিন। অপরদিকে স্যারের নানা শান্তিকমিটি’র চেয়ারম্যান ছিলেন এটা জানাতেও তিনি দ্বিধা করেননি।

কিছুটা সময়ের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন হুমায়ূন স্যার। তিনি লিখেছিলেন, আর পড়াতে ভাল লাগছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিল পরিবেশে বিভাগের জটিল রাজনীতিও একজন মানুষকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করতে পারে, তা এখন বুঝতে পারি। হুমায়ূন আহমেদ এর ক্ষেত্রেও সেরকম কিছু ঘটে থাকতে পারে হয়তো।

হুমায়ূন আহমেদ এর প্রায় সব লেখাই আমি পড়েছি। সেই কলেজ জীবনে শওকত জামান, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাসের কিংবা হলের বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে, আর কিছুটা নিজ বিনিয়োগে স্যারের বই পড়েছি।

স্যারের সাথে হল জীবনে প্রথম সরাসরি যোগাযোগ ঘটে হলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়। হলের অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রাম শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু অন্যতম বিচারক আমাদের হাউজ টিউটর হুমায়ূন স্যার এখনো আসছেন না। হলের প্রভোস্ট ছিলেন হুমায়ূন স্যারের সিনিয়র অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন। একজন এসে খবর দিলেন যে হুমায়ূন স্যার এখনো লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আসতে একটু সময় লাগবে। মাহতাব স্যার বললেন, “আমার কথা বলে হুমায়ূন সাহেবকে একটু তাড়াতাড়ি আসতে বল”।

হুমায়ূন স্যার এসে পড়লেন। গম্ভীরভাবে বসলেন বিচারকদের প্যানেলে। প্রথমেই ছিল ধারাবাহিক গল্প বলা প্রতিযোগিতা। আমি তাতে একজন প্রতিযোগী। একেকজন গল্পের একেক অংশ বলছেন আর এর মাধ্যমে আমরা একটি গল্প নির্মাণ করছি। আমার পালা এলে আমি আমার গল্পাংশ বললাম। পরবর্তী জনের কাছে মাইক্রোফোন দেওয়ার আগেই হুমায়ূন স্যার বললেন, “আমার একটু কথা আছে। আমাকে দাও”।

স্যার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আমার গল্পাংশের সমালোচনা করে বললেন, “এই মাত্র আমাদের একজন ছাত্র তার গল্পে যেভাবে একজন শিক্ষককে ফুটিয়ে তুলল এটা বাস্তব নয়। সুতরাং তার বলা গল্পাংশ প্রতিযোগিতার জন্য গ্রহণ করা হলনা”। আমিও স্যারের কথা শিরোধার্য মেনে চুপ করে থাকলাম।

স্যার এর ব্যক্তিজীবনের দ্বিতীয়পর্ব যখন শুরু হয় তখন তিনি হল ছেড়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও ছেড়ে দিয়েছেন। স্যার এর লেখা থেকেই জানতে পারি, তিনি তখন থাকতেন ধানমণ্ডির দক্ষিণ হাওয়া এপার্টমেন্ট এ।

তাঁর লেখার একজন একনিষ্ঠ পাঠক হিশেবে বলতে পারি যে হুমায়ূন আহমেদ’র জীবনের যে দ্বিতীয়পর্ব যা মেহের আফরোজ শাওনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, তার ছাপ ছিল স্যার এর লেখাতেই। তাঁর বেশ কয়েকটি লেখাতেই ঢাকায় মেসে থাকা সাধারণ চাকুরীজীবী লোকের চরিত্র পাওয়া যায়, যার স্ত্রী বয়সে তার চেয়ে ছোট। এটা যে লেখকের ব্যক্তিজীবনেরই একধরণের চিত্রায়ন তা পরবর্তীতে দেখা গেছে।

গুলতেকিন খান এর সাথে স্যার এর সম্পর্কের ভাঙনের ইঙ্গিতও স্যার এর লেখায় পাওয়া যায়। গুলতেকিন কয়েক বছর শিক্ষা বিরতি নিয়েছিলেন। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের স্ত্রীর পক্ষে এইধরনের শিক্ষাবিরতি খুব স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। স্বামীর উচ্চশিক্ষার সময়টুকুতে অনেকেরই এই ধরণের বিরতি হয়। এটা তাঁদের ত্যাগের অংশ বলেই পরিবার এবং সমাজ মনে করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ বিবেচনায় তাঁদের শিক্ষা সমাপনের সুযোগ দিয়ে থাকে।

গুলতেকিন তাঁর শিক্ষা সমাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। হুমায়ূন স্যার এর লেখালেখিতে তখন থেকেই একধরণের উষ্মা লক্ষ্য করা গেছে-বিশেষ করে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণমূলক লেখালেখিতে।

গুলতেকিন হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর লেখা পড়ে। তারপর সেই সূত্রে পরিচয় থেকে পরিণয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ছাত্রী হিশেবে সাহিত্যের পাঠ নেওয়ার পর লেখক হুমায়ূন আহমেদকে তিনি নবমাত্রায় মূল্যায়ন করেছেন বলেই মনে হয়। সেই মূল্যায়নে হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিনের কাছে আর আগের মোহজাগানিয়া লেখক থাকেন নি। এই জায়গায় হুমায়ূন আহমেদ পরিত্যক্ত বোধ করেছেন, দূরত্ব অনুভব করেছেন।

ইংরেজি সাহিত্যের পাঠ নেওয়া এবং বিশ্বসাহিত্যের সাথে পরিচিত হওয়া গুলতেকিন যে তাঁর কিশোর বয়সের মুগ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসবেন এই বাস্তবতার সাথে হুমায়ূন আহমেদ খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না বলেই মনে হয়। এটি তাঁর লেখায়ও উঠে এসেছে। এখান থেকেই তাঁদের পারিবারিক দূরত্ব এবং ভাঙনের সূচনা হয়েছে হয়তো।

হুমায়ূন আহমেদ বেশ কিছু চরিত্র নির্মাণ করেছেন যা সমকালে বেশ আলোচিত হয়েছে। যেমন বাকের ভাই, মিসির আলী কিংবা হিমু। তাঁর আগে আর কোন নাট্যকার এমন চরিত্র নির্মাণ করতে পারেননি যা মানুষকে এমনভাবে নাড়া দেবে যে ওই চরিত্রের বাঁচা-মরা নিয়ে মানুষ আবেগি হয়ে উঠবে। “কোথাও কেউ নেই” নাটকে বাকের ভাই এর ফাঁসি নিয়ে গোটা সমাজে আলোড়ন হয়েছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে “বাকেরের ফাঁসি” এই শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছিল সাপ্তাহিক “বিচিত্রা”।

এছাড়া উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি ‘হিমু’ এবং “মিসির আলী” নামে দু’টি অনবদ্য চরিত্র নির্মাণ করেছেন। মানসিক সমস্যাকে আশ্রয় করে লেখা বাংলা সাহিত্যের ‘সাইকোফিকশান’ এর জনক বললে হুমায়ূন আহমেদ এর নামই বলতে হবে।

শিকড়হীনতার অনুভবের মধ্যেও মানবিক আবেগ ধরে রাখার এক অনবদ্য চিত্রায়ন ‘হিমু’ চরিত্রটি। প্রথাগতভাবে সাহিত্যে একটি চরিত্র ট্রিলজি’র মাধ্যমে তার সম্পূর্ণ বিস্তার পায় এবং শেষ হয়। কিন্তু যে জীবন শিকড়হীন তা যে ট্রিলজি’র সীমিত পরিসরে শেষ হবেনা তা হুমায়ূন আহমেদ আমাদের দেখিয়েছেন। জীবন যেন হিমু’র কাছে বিচিত্র আবেগ, প্রেম, হিউমার এবং আশ্রয়হীনতার মাধ্যমে “মাসুদ রানা”’র মত এক কম্যান্ডো অভিযান। আমরা তাই অপেক্ষায় থাকতাম এর পর হিমু কী করে। এর পরের বইতে হিমু কী করে।

হুমায়ূন আহমেদ সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন বাংলায়। সেগুলো দারুণ জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। কিন্তু তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সায়েন্স ফিকশন লেখক এই তথ্য সঠিক নয়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সায়েন্স ফিকশন লেখক স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। তাঁর লেখা সায়েন্স ফিকশন গল্পটি হচ্ছে “পলাতক তুফান”।

রবীন্দ্রনাথের গানকে জনপ্রিয়করণেও নাটকের মাধ্যমে একধরণের ভূমিকা রেখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি জানতেন যে তাঁর নাটকের সময় টেলিভিশনের সামনে থাকবে অনেক মানুষ। আর সেখানে নাটকের শেষদিকে কিংবা মাঝামাঝি তিনি মিশিয়ে দিতেন রবীন্দ্রসংগীত। কী যে অদ্ভুত অনুভূতি হতো আমাদের! মনে হত যেন রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাত্যহিকতার মধ্যে জীবিত হয়ে উঠেছেন তাঁর সংগীত নিয়ে।

হাছন রাজাকেও তিনি একইভাবে আমাদের প্রাত্যহিকতার মধ্যে নিয়ে এসেছেন। তাঁর নাটকে হাছন রাজা’র গান উঠে এসেছে, আমাদেরকে ভাসিয়ে নিয়েছে- যেমনটি হয়েছে তাঁর নাটকের রবীন্দ্র সংগীত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। জীবনের হাসি কান্না এবং লৌকিকতার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের উচ্চমার্গের আবেগ এবং হাছন রাজা’র লোকজ আবেগ সফলভাবে ব্যবহারের একজন কারিগর হুমায়ূন আহমেদ।

হুমায়ূন আহমেদ এর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র “আগুনের পরশমণি” আমাদের আলোড়িত করেছিল। অনেকদিন পর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি ভাল চলচ্চিত্র আমরা দেখতে পেলাম। তাঁর পছন্দ করা চরিত্রটিও ছিল অসাধারণ। “বদিউল আলম” একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম হিশেবে খুবই পরিচিত নাম। একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকায়নের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে চয়িত একটি নাম। মুক্তিযুদ্ধে অন্তত দু’জন বদিউল আলম আমাদের কাছে জানা। একজন ঢাকা ক্র্যাকপ্লাটুন দলের এবং অপরজন একজন নৌ কম্যান্ডো। এছাড়া আমাদের চেনাজানার বাইরে হয়তো আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন এই নামে।

মৃত্যু নিয়ে হুমায়ূন স্যার এর ফ্যান্টাসি ছিল। সেই আকাঙ্ক্ষা ছিল “চাননি পসর রাইতে” মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা। হুমায়ূন স্যার এর এই মৃত্যু আকাঙ্ক্ষা ছিল একধরণের “প্রতি আকাঙ্ক্ষা”- যে মৃত্যুতে সবকিছু শেষ তা কেন্দ্র করে এক ধরণের মায়াবী কল্পনা।

আকাঙ্ক্ষা আর প্রতি আকাঙ্ক্ষার এক অনিষ্পত্তির মধ্যেই চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ কথক হুমায়ূন আহমেদ। জীবনকে তিনি সম্পূর্ণ যাপন করেছেন। সাহিত্য করেছেন কবিতা ছাড়া আর সব ধারায়। লিখেছেন টেলিভিশন নাটক।বানিয়েছেন সিনেমা। নিজের সিনেমার জন্য লিখেছেন গান। শহর ছেড়ে নির্জনতার মধ্যে বানিয়েছেন নুহাশ পল্লী। আর সেখানেই পেতেছেন শেষ শয্যা।

প্রার্থনা করি নুহাশ পল্লী’র জোছনা ধুয়ে দিক হুমায়ূন আহমেদের আত্মাকে।

আপনার মন্তব্য