প্রকাশিত: ২০১৯-১১-০৭ ২৩:০৬:২৬
সিলেটটুডে ডেস্ক:
বাংলা ভাষার ভারতের প্রখ্যাত সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন আর নেই। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিন্দুস্তান পার্কের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সাহিত্যেকে সমৃদ্ধ করেছেন নবনীতা। পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি ও পদ্মশ্রী-সহ নানা পুরস্কার।
তার পরিবার বরাত দিয়ে দ্য ওয়াল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই রাখা হবে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ। শুক্রবার তাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে সেটা পরে জানানো হবে।
নবনীতা দেব সেনের বাবা ছিলেন কবি নরেন্দ্র দেব। মা রাধারানী দেব। হিন্দুস্থান পার্কে তাদের ‘ভালবাসা’ বাড়িতেই ১৯৩৮ সালের জানুয়ারি মাসে নবনীতার জন্ম। কবি দম্পতির স্নেহচ্ছায়া আর আদ্যোপান্ত সাহিত্য আর সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হওয়া। গোখেল মেমোরিয়াল স্কুলে পড়াশোনা শুরু। গ্রাজুয়েট হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। ১৯৫৮ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন।
পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসটিংশন নিয়ে আবার এমএ পাশ করেন সাহিত্যের এই কৃতী ছাত্রী। পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসটিংশন নিয়ে আবার এমএ পাশ করেন সাহিত্যের এই কৃতি ছাত্রী। পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পোস্ট ডক্টরেট ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১৯৫৯ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম প্রত্যয়‘ দিয়ে ততদিনে পা রাখা হয়ে গেছে লেখালেখির জগতে। প্রথম উপন্যাস ১৯৭৬ এ প্রকাশিত ‘আমি অনুপম’। নানা রঙের লেখায় গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ২০০২ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামুলক সাহিত্য বিভাগে। ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যুক্ত ছিলেন নবনীতা।
পড়ানোর ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু থেমে থাকেনি তার কলম। একের পর এক লিখে গিয়েছেন কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, উপন্যাস। রম্যরচনাতেও নজরকাড়া মুন্সিয়ানা। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৮। আত্মজীবনী মূলক রম্যরচনা ‘নটী নবনীতা‘ গ্রন্থের জন্যে ১৯৯৯ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান নবনীতা দেবসেন।
১৯৬০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে। পরে অবশ্য বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। দুই মেয়ের একজন সাংবাদিক। অন্যজন অভিনেত্রী।
আপনার মন্তব্য