এক অনন্ত জাতকের গল্প

 প্রকাশিত: ২০২০-০২-১৫ ০০:৪৪:৪৩

জহিরুল হক মজুমদার:

অনন্ত জাতক মাথা নত করে ঈশ্বরের পায়ের দিকে তাকিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদলো। কালের হিসেবের খাতার সব পাতা শেষ হয়ে যাবার পরও সে কাঁদলো। কালের হিসাবধারী দেবদূত শেষ পাতা ফুরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর দৈব কলমে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। অনন্ত জাতকের চোখের জলে ঈশ্বরের পায়ের পাতায় তৈরি হলো এক বিশাল সরোবর। অনন্ত জাতক অবাক হয়ে ঈশ্বরের পদসরোবরে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে।

... ঈশ্বর বললেন, এবার আইস বৎস। অনন্ত জাতক পিছনে তাকিয়ে দেখেন যমদূত দাঁড়িয়ে। যমদূত বিনয়ের সাথে বলেন, আসুন আপনাকে এগিয়ে দেই। অনন্ত জাতক তাঁর পরিণতি বুঝতে পারেন। তিনি হাহাকার করে বলেন, ঈশ্বর এ কি পেলাম!

ঈশ্বর বললেন, ...বাছা অস্থির হয়োনা, আমার পায়ের পাতার অশ্রু সরোবরে তোমার যে ছায়া পড়েছে তাহাই তোমার প্রকৃত সত্ত্বা। ইহা অক্ষয় হইয়া থাকিবে। ঈশ্বরের শরীরে ছায়া ও কায়া পৃথক কিছু নয়। যে তুমি যমদূত এর সাথে চলিয়া যাইতেছ, সে তুমি আর আসল তুমি নও। ভাবিয়া দেখো কী পাইলে।

আপনার মন্তব্য