বেঁচে থাকার দুঃসহ নির্ভারতা, সপ্তম পর্ব : ১

 প্রকাশিত: ২০১৬-১০-৩০ ১৪:২৩:০০

কাজী মাহবুব হাসান:

বেঁচে থাকার দুঃসহ নির্ভারতা : সপ্তম পর্ব (কারেনিনের হাসি)

অসংখ্য আপেল গাছের আঁকাবাঁকা শরীর দিয়ে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল জানালা দিয়ে দেখা যায়। এই জঙ্গলটি ঢালের উপর দৃশ্যটিকে ঢেকে দিয়েছে দৃষ্টি থেকে, আর পাহাড়গুলোর আঁকাবাঁকা রেখা বিস্তৃত হয়ে আছে বহু দূর অবধি। সন্ধ্যার দিকে যখন সাদা চাঁদটি তার যাত্রা শুরু করে ম্লান আকাশে, তেরেজা তখন বাইরের দরজার চৌকাঠে গিয়ে দাঁড়াতো, গোলকটি ঝুলে থাকতো তখনও অন্ধকার হয়নি এমন আকাশে, দেখে মনে হতো যেন কোনো বাতি, যা তারা সকালে বন্ধ করতে ভুলে গেছে, একটি বাতি যারা সারা দিন ধরে জ্বলেছে মৃতদেহ রাখা থাকে এমন কোনো ঘরে।

আঁকাবাঁকা কাণ্ডের আপেল গাছগুলো যারা সেই ঢালে বেড়ে উঠেছে তাদের কোনোটাই কখনো তাদের জায়গা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবে না, যেখানে তারা তাদের শিকড় প্রোথিত করেছে, তেরেজা কিংবা টমাসও পারবেনা, তাদের দুজনেরই কেউই এই গ্রাম ছেড়ে আর কোথাও যেতে পারবে না। তারা তাদের গাড়ি, টেলিভিশন সেট আর রেডিও বিক্রি করে দিয়েছিল বাগান সহ এই ছোট বাড়িটি কেনার জন্য, বাড়িটির কৃষক মালিক যখন শহরে বসতি গড়তে গ্রাম ছেড়েছিল।

শহর থেকে পালাতে শুধুমাত্র গ্রামের এই জীবনটাই উন্মুক্ত ছিল তাদের জন্য, কারণ শুধুমাত্র গ্রামেই নিরন্তর ঘাটতি ছিল মানুষের আর সেই সাথে বসবাস করার মতো জায়গাও ছিল বাড়তি । কারোরই তেমন গরজ ছিল সেই সব মানুষগুলো রাজনৈতিক অতীত ঘেঁটে দেখার, যারা সবকিছু ছেড়ে জঙ্গলে আর মাঠে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিল।কেউ তাদের নিয়ে ঈর্ষা করতো না।

শহর ত্যাগ করে তেরেজা খুশী হয়েছিল, পানশালার মদ্যপ খদ্দেররা তাকে জ্বালাতন করতো প্রতিদিন, আর অজানা নামহীন রমণীরা তাদের যোনীর গন্ধ রেখে যেত টমাসের চুলে। পুলিশও তাদের বিরক্ত করা থামিয়ে দেয় এবং প্রকৌশলীর সাথে ঘটা ঘটনাটি তার স্বপ্নে দেখা পেট্রিন হিলের দৃশ্যটির সাথে এমনভাবে মিশে যায়, তার জন্য শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে, কোনটি সত্য আর কোনটি স্বপ্ন (প্রকৌশলী কি বাস্তববিকভাবে গোপন পুলিশের নিয়োজিত কেউ ছিল না?, হয়তো সে তাই ছিল, হয়তো বা না। যে মানুষগুলো ধার করা ফ্ল্যাট ব্যবহার করে গোপন অভিসারের জন্য আর একই রমণীর সাথে দ্বিতীয়বার সঙ্গম করে না এমন মানুষের তেমন দুর্লভ নয়।)

তবে যাই হোক না কেন, তেরেজা সুখী হয়েছিল এবং সে অনুভব করেছিল সে তার লক্ষ্যটি অর্জন করতে পেরেছে: সে আর টমাস অবশেষে একসাথে আর একাকী। একাকী? আমাকে আরো সুনির্দিষ্ট হবার সুযোগ দেয়া হোক: একা থাকে মানে তাদের সব প্রাক্তন বন্ধু আর পরিচিতদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ। ফিতার মতো তাদের জীবনকে দ্বিবিভাজন করা। তবে, গ্রামের মানুষদের সান্নিধ্যে তারা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করেছিল, যাদের সাথে তারা কাজ করতো, মাঝে তারা পরস্পরের বাসায় যাতায়াতও করতো।

যেদিন স্থানীয় সমবায় খামারের সভাপতির সাথে তাদের দেখা হয়েছিল স্পা’র সেই শহরে, যেখানে রাস্তাগুলোর নাম ছিল আগ্রাসী রুশদের দেয়া, তেরেজা নিজের মধ্যে একটি আদর্শ গ্রাম্য জীবনের চিত্র আবিষ্কার করেছিল, যার উৎস ছিল হয়তো তার পড়া কোনো বই অথবা তার কোনো পূর্বসূরির স্মৃতি। বেশ শান্তিপূর্ণ সংহতিপূর্ণ জগত ছিল সেটি, সবাই একসাথে, যেন বড় একটি সুখী পরিবার, যাদের উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড সাধারণ ও একই: রোববারে চার্চ, একটি সরাইখানা, যেখানে পুরুষরা তাদের রমণীদের থেকে কিছুটা সময় দূরে কাটাতে পারে, এবং সেই সরাইখানার হলে একটি ব্যান্ড, যারা সঙ্গীত বাজায় শনিবার, যেখানে গ্রামবাসীরা নাচতে পারে।

কমিউনিজমের অধীনে, যদিও গ্রামের জীবন বহু বছরের পুরোনো রীতির মত আর ছিল না। চার্চটি ছিল পাশের গ্রামে, আর কেউই সেখানে যেত না, সরাইখানাটিকে রূপান্তরিত করা হয়েছিল অফিসে, সুতরাং পুরুষদের জন্য কোনো জায়গা ছিল না যেখানে তারা একসাথে জড়ো হয়ে বিয়ার পান করতে পারে, তরুণ তরুণীদের জন্য কোনো জায়গা ছিলনা নাচতে যাবার জন্য। চার্চের কোনো ছুটি পালনও নিষিদ্ধ ছিল পুরোপুরিভাবে, আর সেই ছুটিগুলোর ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিস্থাপনগুলোও কেউ পছন্দ করতো না। সবচেয়ে কাছের সিনেমা হলটি ছিল পনেরো মাইল দূরের একটি শহরে। সুতরাং উল্লাসময় চিৎকার আর শিথিল গল্পগুজবে পূর্ণ দিনের কাজের শেষে তারা সবাই তাদের নিজেদের বন্দী করতো চার দেয়ালের মধ্যে, যেখানে তাদের পরিবেষ্টন করে রাখে, সমকালীন আসবাব, শীতল বাতাসের মত যেগুলো থেকে কুরুচি বেরিয়ে আসতো, টিভির উজ্জ্বল পর্দার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের করার কিছু ছিলনা। তারা কখনোই আর পরস্পরের বাসায় বেড়াতে যেত না, শুধুমাত্র রাতের খাবারের আগে প্রতিবেশীর সাথে দু একটি শব্দ বিনিময় ছাড়া। তারা সবাই শহরে যাবার স্বপ্ন দেখতো। গ্রাম তাদের কিছুই দিতে পারেনা, যাকে ন্যুনতম একটি উপভোগ্য জীবন বলা যেতে পারে।

আর কেউই গ্রামে স্থায়ীভাবে থাকতে চায়না, হয়তো এই বাস্তব সত্যটি গ্রামের উপর রাষ্ট্রের ক্ষমতা শিথিল হবার একটি কারণ ছিল। একজন কৃষক আর আগের মত তার জমির মালিক ছিল না, বরং তখন সে শুধুমাত্র শ্রমিক যে জমি চাষ করতো, তার কাজ কিংবা এলাকার প্রতি কোনো সত্যিকারের আনুগত্য ছাড়াই। তার কোনো কিছুই হারাবার নেই, কোনো কিছু ভয় করারও নেই। এই নির্বিকারতার পরিণতি হিসাবে গ্রামাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন আর স্বাধীনতা, সামান্য পরিমাণের চেয়েও খানিকটা বেশী বজায় ছিল। স্থানীয় সমবায় খামারের সভাপতিকেও বাইরে থেকে আনা হয়নি (যেমন, শহরের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকরা), নিজেদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে সে গ্রামবাসীদের দ্বারা নির্বাচিত হতো।

যেহেতু সবাই গ্রাম ছেড়ে যেতে চাইতো, তেরেজা আর টমাসের বিষয়টি ছিল অস্বাভাবিক একটি ঘটনা, তারা স্বেচ্ছায় সেখানে এসেছিল। যখন অন্য গ্রামবাসীরা প্রতিটি সুযোগ নিয়েছে আশে পাশের শহরগুলোয় বেড়াতে বা চলে যাবার জন্য, তখন তেরেজা আর টমাস বেশ সন্তুষ্ট ছিল তারা যেখানে এসেছে সেখানে থাকতে। সুতরাং পরস্পরকে গ্রামবাসীরা যতটা চিনতো, তার চেয়ে বেশী গ্রামবাসীদের সবাইকে চিনতে বেশী সময় লাগেনি তাদের ।

সমবায় খামারের সভাপতি আসলেই তাদের সত্যিকারের একজন বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী ও চার সন্তান ছিল, এবং একটি শূকর, যাকে তিনি কুকুরের মত প্রতিপালন করতেন। শূকরটির নামছিল মেফিস্টো। গ্রামের একটি গর্ব আর প্রধান আকর্ষণ ছিল ছিল সে। সে তার মনিবের ডাকের উত্তর দিত, গোলাপি রঙের মেফিস্টো সবসময় পরিষ্কার থাকতো, তার পায়ের ক্ষুরের উপর ভর করে সে হাঁটতো যেমন করে হাই হিল পর ভারী উরুর রমণীরা হাটে।

যখন কারেনিন প্রথম মেফিস্টোকে দেখেছিল, সে খুবই অস্থির হয়ে পড়েছিল, তার চারপাশে সে ঘুরছিল অনেকক্ষণ ধরে। কিন্তু খুব শীঘ্রই তারা পরস্পরের বন্ধুতে পরিণত হয়। এমনকি সে গ্রামের অন্য কুকুরদের চেয়ে তার সঙ্গ উপভোগ করতো বেশী। আসলেই বাকী কুকুরদের জন্য তার অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই ছিল না, কারণ তাদের সবাইকে বেধে রাখা হতো ঘরের সাথে, কখনোই তারা তাদের নির্বোধের মত উদ্দেশ্যহীন চিৎকার করা থামাতো না। কারেনিন সঠিকভাবে তার স্বতন্ত্র পরিস্থিতিটির বিষয়টি যাচাই করতে পেরেছিল, কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমি বলতে পারি শূকরের সাথে তার বন্ধুত্বটিকে সে আসলেই মূল্যায়ন করতে পেরেছিল।

সভাপতি নিজেও খুশি হয়েছিলেন তার প্রাক্তন শল্যচিকিৎসকের জন্য কিছু করতে পেরে, যদিও একই সাথে তিনি বলেছিলেন এর বেশী কিছুই তিনি করতে পারবেন না। টমাস পিকআপ ট্রাকের ড্রাইভারে কাজ পায়, শ্রমিকদের মাঠে নিয়ে যাওয়া বা প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলো এদিক ওদিক আনা নেয়াই ছিল তার প্রধান কাজ।

সমবায় খামারের গরু রাখার চারটি বড় ছাউনি ছিল,এছাড়াও চল্লিশটি বাছুরের ছোট ছাউনিও ছিল। তেরেজার দায়িত্ব পেয়েছিল সেগুলো দেখাশুনা করার, দিনের মধ্যে দুই বার তাদের মাঠে চরাতে নিয়ে যেতে হতো তাকে। কারণ কাছে সহজেই যাওয়া যায় এমন মাঠের ঘাস ততদিনে কাটা হয়ে শস্যক্ষেতের জন্যে, তাকে তার পাল নিয়ে যেতে হতো আশেপাশের পাহাড়ে, ধীরে ধীরে সে আরো দূরে যেতে থাকে, এবং একবছরের মধ্যেই আশে পাশের সব চারণভূমিতে তার যাওয়া হয়ে যায়। ছোট শহরে কাটানো তার তারুণ্যর মত সে কখনোই বই ছাড়া ছিল না, এবং যে মুহূর্তে সে গন্তব্যে পৌছোতো, সে সেটি খুলে পড়তে বসতো।

তাকে সবসময় সঙ্গ দিত কারেনিন। সে শিখে গিয়েছিল কিভাবে চিৎকার করতে হয় বাছুরদের কথা শোনানোর জন্য, যখন তারা বেশী অস্থির হয়ে পড়তো, ইচ্ছামত এদিক সেদিক চলে যেতে চাইতো। সে কাজটি করতো স্পষ্টতই বেশ উৎসাহের সাথে। অবশ্যই তাদের তিনজনের মধ্যে সে ছিল সবচেয়ে খুশি। এর আগে কখনোই সময় হিসাব রাখা অ্যালার্ম ক্লক হিসাবে তার দায়িত্বকে এত শ্রদ্ধা করা হয়নি। গ্রাম নতুন কিছু উদ্ভাবন করার জায়গা না, আর যে সময়ে তেরেজা আর টমাস বাস করতো, সেটি ক্রমশ তার সময়ের নিকটবর্তীও হচ্ছিল।

একদিন, দুপুরের খাবারের পর (যে সময়টিতে টমাস ও তেরেজা, তারা দুজনে এক ঘণ্টা নিজেদের জন্য পেত), তারা কারেনিনকে নিয়ে তাদের বাসার পেছনের পাহাড়ের ঢালে হাটতে গিয়েছিল।

তেরেজা বলেছিল, ‘আমার কিন্তু ভালো লাগছে না, ও যেভাবে দৌড়চ্ছে’।

কারেনিন তার পেছনের পায়ে খানিকটা খোঁড়াচ্ছিল, টমাস ঝুঁকে তার পেছনের পায়ে হাত বুলিয়ে দেখে সতর্কতার সাথে, পায়ের পেছনের জোড়ার কাছে সে একটি উঁচু জায়গা খুঁজে পায়।

পরের দিন তার পিকআপের সামনে আসনে তাকে বসিয়ে, পাশের গ্রামে তার কাজে যাবার সময় টমাস তাকে নিয়ে যায়, যেখানে একজন পশুচিকিৎসক বাস করতেন। এক সপ্তাহ পর টমাসকে আরো একবার তার সাথে দেখা করতে যেতে হয়, সে বাসায় ফেরে একটি খবর নিয়ে, কারেনিনের ক্যান্সার হয়েছে।

তিনদিনের মধ্যেই, টমাস নিজেই পশুচিকিৎসকের উপস্থিতিতে কারেনিনের উপর অস্ত্রোপচার করে,যখন টমাস তাকে বাসায় নিয়ে আসে, কারেনিনের তখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে আসেনি। তাদের বিছানার পাশে কার্পেটে সে চোখ খোলা রেখেই শুয়ে থাকে, গোঙাতে থাকে। তার উরুর লোমগুলো কামিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল, যন্ত্রণাদায়ক ছয়টি সেলাই সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

অবশেষ সে চেষ্টা করে উঠে দাড়াতে। সে ব্যর্থ হয়।

তেরেজা আতঙ্কিত হয় ভেবে যে সে হয়তো আর কখনোই হাটতে পারবে না।

টমাস বলে, ‘চিন্তা করো না, এখনও সে অজ্ঞান করানো ঔষধের প্রভাবেই আছে’।

সে তাকে কোলে তোলার চেষ্টা করে, কিন্তু কারেনিন চিৎকার করে ওঠে তেরেজার প্রতি। এটাই প্রথম বারের যখন যে চেষ্টা করেছিল তেরেজাকে কামড়ে দেবার জন্য।

‘সে জানে না তুমি কে’, টমাস বলে, ‘তোমাকে সে চিনতে পারছে না’।

তারা দুজনেই তাকে ধরে বিছানার উপর তোলে, সেখানে সে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে, তারাও ঘুমিয়ে পড়ে।

কিন্তু ভোর তিনটায় হঠাৎ করে কারেনিন তাদের জাগিয়ে তোলে, তার লেজ নাড়িয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের কোলে ধাক্কা দিয়ে, যেন সে কিছুতেই তার তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না।

আর এবারই প্রথম, সে তাদের ঘুম ভাঙ্গাতে পারলো, সে সবসময় অপেক্ষা করতো, যতক্ষণ না তাদের একজনের ঘুম ভাঙ্গে, তারপরই কেবল সে সাহস পেতো তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর নেবার জন্য।

কিন্তু রাতে যখন হঠাৎ করে তার জ্ঞান ফিরে আসে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কে বলতে পারে, ফিরে আসতে কতটা পথ তাকে অতিক্রম করতে হয়েছে? কে জানে, কত অশরীরী আত্মার সাথে তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে? আর এখন যখন সে তার প্রিয়জনের সাথে, সে বাধ্য হয় তার সেই ফিরে আসা আর নতুন জন্ম নেবার সীমাহীন আনন্দটি তাদের সাথে ভাগ করে নিতে।
(চলবে)

আপনার মন্তব্য