ছন্দ পারি না, তোমাকে পারি

 প্রকাশিত: ২০১৮-০২-০৫ ১৪:৪৯:৪০

অনুভব আহমেদ :

১.
সে'ই তো আমার দুপুর হাওয়ায় হঠাৎ মোচড় ব্যথা
আগুন পাশে জব্দ ছায়ায় একা পুড়তে থাকা

সে'ই তো আমার বয়সভারের গোপন নীরবতা
ব্যক্তিগত পুরান ভাঁজের ভীষণ প্রিয় পাতা

সে'ই তো আমার আমার সাথে একলা যতো কথা
অন্ধকারের ক্রেমলিনে বিরান ভেসে যাওয়া

সে'ই তো আমার ভীষণ ভয়ে পথের শেষে শুরু
এক নিমেষে মুছিয়ে দেয়া বুকের দুরুদুরু।

২.
তোমার ধু ধু নির্জনে, আমি স্বপ্ন রাখার ছলে
এক স্তব্ধতার শেষে, থামি কাঁচপোকার ঘুমে

তোমার আঙুল ঝরা মৌসুমে
যদি আবার ডাকো পুরোনো ক্রমে

আমার নৌকা কথার সারি
জমানো ব্যথার আড়ি
জারুলথোকা পাশে,
ঝরার দিনের ব্যথা হয়ে কাঁদে।

৩.
এইখানে শূন্যতায় নিরবধি
খরস্রোতা হয়ে তুমি,
ভাসিয়েছো যতো ছায়া।

আমাকে ছুড়ে বেসামাল ঘূর্ণিপথে,
অবিরত আন্দোলনে
অগোচরে অন্ধকারে,
বিরহরত শব্দাধারে।

গভীর শত হুলুস্থুলে
হুইসেল ডাকা স্বরে,
অনাদরে শিউলিবনের স্তব্ধ ঘ্রাণে
বিবর্ণ অবগাহনে।

৪.
আমি কেবল নুড়ি কুড়ানো হাওয়া
রোদের পাশে তোমার কথা বলা
নিঃস্ব ঘরের ধারে পাক খাওয়া ধুলা।

তুমি কেমন ভাতের ওমের ভেতর
আমায় শুধু ছেড়ে দিয়ে যাওয়া

আমি তেমন ডাকলো দূরে দেয়া
বুকের মধ্যে গোলক ধাঁধায় ওড়ানো সন্ধ্যেবেলা

তুমি কেমন মিছেমিছি বাড়ি
দেরাজ পরে ঘুমিয়ে থাকা নানা রঙের শাড়ি।

৫.
একটুখানি পরশ তোমার অনেকখানি ছল
দিনের ঢেউয়ে গুগলি খেলে তোমার ছলাৎছল

বয়েস আমার নামতা গোনে তোমার বারান্দায়
আড়াল চোখে থাকি আমি তোমার পাহারায়

একটা ঢেউয়ের গোপণ তোড়ে
হাজার ফসল ভাসে

আমার এমন বোকামিতে
ক্রিটিকরা সব মুখ ঘুরিয়ে হাসে।

আপনার মন্তব্য