ড. হুমায়ুন আজাদের এগারোতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৮-১১ ১৭:২৪:০৬

 আপডেট: ২০১৫-০৮-১১ ১৭:৪৯:৫৩

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলা সাহিত্যের প্রথা বিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের এগারোতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরে রহস্যজনক ভাবে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর আগে ঐ বছর ২৭ ফেব্রয়ারি হুমায়ুন আজাদ একুশে বই মেলায় উগ্র মৌলবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সে সময় এই হামলাকে কেন্দ্র করে পুরো দেশের প্রগতিশীল সমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের রাঢ়িখাল গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। প্রথা বিরোধী এই লেখক ছিলেন একই সাথে কবি,উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ভাষা বিজ্ঞানী ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি ছিলেন মার্ক্সিয় দর্শনের অনুসারি এবং একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে বিরাজমান সব প্রথাকে তিনি আস্তাকুড়ে ফেলে হয়ে উঠেছিলেন প্রথাবিরোধী এক মানুষ। তাই হুমায়ুন আজাদের লিখনীর মাঝেই প্রকাশ পায় তাঁর প্রথা বিরোধীতা। সমসাময়িক লেখক সাহিত্যিকদের সাহিত্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন নির্দ্বিধায়। লেখকের এই প্রথা বিরোধীতার ফলে তিনি নানান সময়ে সমালোচিত হলেও বিজ্ঞানমনষ্ক ও যুক্তিবাদী চিন্তা চেতনার কারণে বাংলা সাহিত্যে তাঁর গ্রহনযোগ্যতা বিন্দু মাত্র কমেনি। বরং বেড়ছে বহুগুন।
 
ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ঘোর বিরোধী এই লেখকের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে পাক সার জমিন সাদ বাদ, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, যাদুকরের মৃত্যু, শ্রাবনের বৃষ্টিতে রক্তজবা। কাব্য গ্রন্থের মধ্যে আছে সব কিছু নষ্টদের দখলে যাবে, আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়, অলৌকিক ইস্টিমার। এছাড়া ভাষা বিজ্ঞানের বইয়ের মধ্যে বাংলা ভাষার শত্রমিত্র, বাঙলা ভাষা(প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড), তুলনামুলক ও ঐতিহাসিক ভাষা বিজ্ঞান। তাঁর লেখা প্রবচন গুচ্ছ পাঠকদের বিশেষ নজর কাড়ে ।এছাড়া তিনি লিখেছেন কিশোরসাহিত্য ও সমালোচনামূলক বহুগ্রন্থ।
 
২০১২ সালে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি মরনোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। 

আপনার মন্তব্য