‘ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে’ এমন বই দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : শামসুজ্জামান

 প্রকাশিত: ২০১৭-০১-৩১ ০১:২৭:১৫

সিলেটটুডে ডেস্ক:

‘ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে’ এমন বই দেখার দায়িত্ব বাংলা একাডেমির নয়, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

একুশে গ্রন্থমেলা নিয়ে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এ দাবি করেন।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন বিতর্কিত বই খুঁজে দেখার দায়িত্ব তো আমার নয়। এটা দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমরা এ বিষয়ে আমি কোনো কথাই বলব না।”

বাংলা একাডেমির সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের পর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “একটি বইয়ের জন্য যদি বইমেলার উপর আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা পুরা স্টল বন্ধ করে দেব। তবে এ নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলব আমরা। ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করব এ নিয়ে।”

২০১৬ সালের গ্রন্থমেলায় ‘ধর্ম অবমাননাকর’ বইয়ের প্রকাশনীর স্টল বন্ধ এবং প্রকাশককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বাংলা একাডেমিও পুলিশের ওই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছিল। মেলায় আসা ‘ইসলাম বিতর্ক’ নামের একটি বইয়ে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার উপাদান রয়েছে দাবি করে বাংলা একাডেমির সায় নিয়ে বইটির প্রকাশনা সংস্থা ব-দ্বীপের স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

পাশাপাশি ব-দ্বীপের মালিক ও বইটির সম্পাদক শামসুজ্জোহা মানিক, এক বিপণনকর্মী এবং বইটির ছাপাখানার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। মানিকের মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকা রাখা রবিন আহসানের প্রকাশনা সংস্থা শ্রাবণ প্রকাশনীকে এবার বইমেলায় নিষিদ্ধ করে বাংলা একাডেমি। পরে সমালোচনা-প্রতিবাদের মুখে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা।

এবার বইমেলা নীতিমালার ১৩.১৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “অশ্লীল, রুচিগর্হিত, জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কটাক্ষমূলক, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বা জননিরাপত্তার জন্য বা অন্য যে কোনো কারণে গ্রন্থমেলার পক্ষে ক্ষতিকর কোনো বই বা পত্রিকা বা কোনো দ্রব্য অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বিক্রি, প্রচার, প্রদর্শন করা যাবে না।”

নীতিমালায় বলা হয়েছে, মেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকাশক সেসব প্রকাশনা তার স্টল থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য থাকবেন। এ সিদ্ধান্ত মানতে না চাইলে প্রকাশকদের স্টল বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে তিনি এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

আপনার মন্তব্য