প্রকাশিত: ২০১৮-০২-১৮ ১৭:২০:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮-এ লোকসাহিত্য সংগ্রাহক, গবেষক সৈয়দা আঁখি হকের ‘ছোটদের রকীব শাহ’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বাবুই শিশুসাহিত্য পাণ্ডুলিপি পুরস্কারপ্রাপ্ত।
বইটি প্রকাশ করেছে ‘বাবুই’; প্রচ্ছদ এঁকেছেন লক্ষণ চন্দ্র নাথ, মূল্য ২২০ টাকা। ২০১৮ বইমেলায় পাওয়া যাবে- ‘বাবুই’ স্টল নং-৫৩৮।
রকীব শাহ এক সফল সাধকের নাম। তিনি সিলেটের কাজীটুলায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯০২ সালে। দীর্ঘ বারো বছরে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করেন ২৫টি দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে। সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রথমে সুফি সাধক আরকুম শাহ এবং পরে দাদা পির সৈয়দ শাহ আবদুল লতীফ (র.) এর চরণে নিজেকে সমর্পণ করে অধ্যাত্ম সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন।
বইটি সম্পর্কে সৈয়দা আঁখি হক বলেন, ২০১১ সালে ‘আরকুম শাহ জীবনদর্শন ও গীতিবিশ্ব’ গ্রন্থটি লিখার সময় থেকে এই মরমি সাধকের জীবন ও গান সম্পর্কে ছোটদের জানানোর গুরুত্ব অনুভব করি। কারণ, ছোটবেলা থেকে যে গানগুলো বেতারে, টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি এবং আম্মাকেও গাইতে শুনেছি সেই জনপ্রিয় অসংখ্য গানই রকীব শাহের। গান রচনার পাশাপাশি, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, চারটি ইংরেজি কবিতাসহ ছোটদের জন্য শিক্ষণীয় অসংখ্য মজার মজার ছড়া, কবিতা রচনা করেছেন তিনি।
তিনি জানান, সত্তরের দশক থেকে বিখ্যাত যে ক’জন কন্ঠশিল্পী তাঁর গান কণ্ঠে তুলেন তাঁরা হলেন-ফিরোজ সাই, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, কিরণ চন্দ্র রায়, মলয় কুমার গাঙ্গুলী, মিনা বড়ুয়া, চন্দনা মজুমদার, হাসিনা মমতাজ, সুফিয়া মনোয়ার, চন্দনা মজুমদার, জহির আলীম, দিলরুবা খান, হাসিনা মমতাজ, মো. শাহজাহান, বেবী নাজনীন, কায়া, মামুন, অণিমা মুক্তি গমেজ, কাজী কামাল প্রমুখ। জনপ্রিয় বিশটি গানসহ বেশকিছু আলোকচিত্র প্রথমবারের মতো পাওয়া যাবে ‘ছোটদের রকীব শাহ’ গ্রন্থে।
‘ছোটদের রকীব শাহ’ বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে রাধারমণের গ্রামে গিয়ে স্কুল, কলেজের ছাত্র/ছাত্রীর কাছে জানতে চাই রাধারমণ সম্পর্কে। অবাক হলাম যে অনেক শিক্ষিত লোক ও তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ফয়জুর রহমানের সাথেও আলোচনা করেছিলাম। প্রতিটি স্কুল কলেজে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি স্থানীয় মনীষীদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত বই যদি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যায় এবং বিষয়ভিত্তিক বিনোদন বা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তবে আমাদের বাচ্চারা তাঁদের আদর্শেই নিজেকে গড়ার চেষ্টা করবে। নিজ এলাকার সাধক, মনীষী সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে, জানবে। এই চিন্তা থেকেই আমি গ্রন্থটি লেখা শুরু করি।
কখনো যদি আর্থিক সামর্থ্য হয় তবে বিনামূল্যে সিলেটের স্কুলগুলোতে এই বইটি দেওয়ার ইচ্ছে রাখছি- জানান এ লেখক।
আপনার মন্তব্য