একুশের পঙক্তিমালা

 প্রকাশিত: ২০১৬-০২-২১ ১৪:৫৪:৩৮

সঞ্জয় আচার্য:

অনাচার
আমার ভাইয়ের রক্তে কিংশুক রক্তবর্ণ
স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ করেছে শাসকের দম্ভ চূর্ণ
‘মোদের দাবি মানতে হবে’ চির দেদীপ্যমান
রক্তে এখনো পদ্মা, মেঘনা, গৌরী বহমান।

মনে দুখের লহরী
রাস্তায় ক’টা লাশ পড়েছিল,
আম্রকুঞ্জে দুলেছিল মঞ্জরী
ব্যারিকেড, বেয়োনেট
আমার প্রিয় অ আ ক খ বুকে বিঁধেছে শেল, বুলেট।

বাংলা মায়ের অশ্রু ঝরেছে, শত্রু হয়েছে নিঃস্ব
ইট সুরকিতে মিনার গড়েছি দেখেছে নিখিল বিশ্ব
তারপর ভাষা এল ঘরে ঘরে বাসন্তী রঙ মেখে
ফুল দিয়ে যাই শহীদ বেদীতে হৃদয়ে স্বপ্ন রেখে
এই ইতিহাস একা আমাদের
এই গৌরব শুধু বাঙ্গালির
একুশ এলেই কেঁদে ওঠে প্রাণ
ছোট বড় সব নর ও নারীর।

একুশ যোগায় প্রেরণা অশেষ
একুশ দিয়েছে আসন বিশেষ
কালের প্রবাহে
ভাষা নিয়ে রাখা ভাসা ভাসা জ্ঞানে
সবকিছু আজ হতে চায় শেষ।

প্রশ্ন
দখিন হাওয়ার সঞ্চরণে মাতাল বসুন্ধরা
    কোন দুরাশায় বাজছে বুকে প্রেমের মন্দিরা।
দোয়েল শালিক গাইছে বেজায় আমার অন্যমনে
    ফুল ফুটেছে কি গো তোমার মল্লিকাবনে?

ফাগুন বেলায় তোমায় যখন দেখি পরাঙ্মুখ
    শুকনো পাতা ঝরার দিনে লুকিয়ে রাখি মুখ।
গাঁয়ের লোকে ‘পাগলা’ বলে যাই সরে তাই দূরে
    রঙ মাখিয়ে মনটাকে ফের নিই করে ফুরফুরে।

নিকড়ে আমি, তুমিও জানো, কাজ কি প্রতিপাদ্যে
    কবির কথায় ঘুম ধরে যায়, যুক্তি খুঁজো গদ্যে।

আপনার মন্তব্য