শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’ একাদশ সংখ্যা প্রকাশিত

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৬-০৩ ১৬:২৪:৩১

 আপডেট: ২০১৬-০২-২৩ ০১:১৫:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিল্প-সাহিত্যের নিয়মিত ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’ প্রকাশিত হয়েছে। এটা অনুপ্রাণনের ১১তম সংখ্যা অর্থাৎ চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা (মে-জুলাই ২০১৫, বৈশাখ-আষাঢ় ১৪২২)।

ঢাকা (বি-৬৪ ও বি-৫৩ কনকর্ড এম্পরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, ২৫৩-২৫৪ ড. কুদরত-এ-খুদা সড়ক, কাঁটাবন, ঢাকায়) থেকে প্রকাশিত এ সংখ্যায় নিয়মিত অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে লোকান্তরিত হয়ে যাওয়া দেশী-বিদেশি বেশ কয়েকজন সাহিত্যিক, বিজ্ঞান লেখককে।

শ্রদ্ধা-স্মরণ করা এবারের বিশিষ্টজনেরা হলেন- কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অভিজিৎ রা, গুন্টার গ্রাস এবং টমাসট্রান্সট্রুমার। তাঁদের নিয়ে লিখেছেন- ফজলুল কবিরী, আহমদ জসিম, রায়হান রশিদ, ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা, সাদী মোহাম্মদ এবং অরুদ্ধ শ্রীমান।

এবারের সংখ্যায় স্থান পেয়েছে মোট দুইটি প্রবন্ধ। ‘বাংলা সনের উৎস সন্ধানে’ শিরোনামে লিখেছেন এবং ড. নিজামউদ্দিন জামি লিখেছেন- ‘ধ্বনিবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই’।

অনুপ্রাণন একাদশ সংখ্যার নির্বাচিত কবিরা হলেন- স্বদেশ রায়, কামরুল ইসলাম, পরিতোষ হালদার, সুমী সিকানদার, ফারাহ সাঈদ এবং অরবিন্দ চক্রবর্তী। নির্বাচিত কবিদের দশটি করে কবিতাসহ তাঁদের কবিতাভাবনাও স্থান পেয়েছে।

গল্প স্থান পেয়েছে সর্বমোট ১৭টি। লিখেছেন- দীপু মাহমুদ (গণ্ডি), কুলদা রায় (মধুশ্রীর খোঁজে), সাঈদ হোসেন দারা (পালাবদল), জুলিয়ান সিদ্দিকী (প্রতীক্ষা), শরীফ শামিল (নীল তারকার গল্প), শাশ্বত স্বপন (সময়ের লাশ), রুখসানা কাজল (মায়ানারী), ফজিলা ইসলাম ফৌজি (দম্ভ), তানভীর সুমন (অসম্পূর্ণ পুরুষ), শিবশঙ্কর পাল (ভয় পাওয়া মানুষের গল্প), শাহ ইমতিয়াজ (মুখাবয়ব), মাহমুদ হাসান পারভেজ (কোন বা সর্প কাটিল), প্রত্যয় হামিদ (হাসি), অনিন্দ্য আসিফ (টান), মোখলেছ মুকুল (সুন্দরবনে বসন্তবিলাপ), আহমেদ খান হীরক (আলাল ও দুলাল অথবা দুই রাজনৈতিক ভাইয়ের গল্প) এবং জান্নাতুল ফেরদৌস এনা (হার মানা হার)।

নিয়মিতভাবে প্রকাশিত এ ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকায় বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিশীল কবির সন্নিবেশ ঘটেছে। একটি করে কবিতা লিখেছেন- ফেরদৌস নাহার, হুমায়ূন কবির, লীরা আরজুমান্দ, প্রতীক মাহমুদ, আনোয়ার কামাল, ইমদাদুল হক, আয়েস উদ্দিন, বনানী নারগিস, নীলিমা নূর, রেবেকা ইসলাম, বঙ্গ রাখাল, সামতান রহমান, পাণ্ডব মনদেহী এবং জাফর সাদেক।
দুইটি করে কবিতা লিখেছেন- সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, বাবুল হোসেইন, ফারহানা আনন্দময়ী, জামিল জাহাঙ্গীর, হিজল জোবায়ের, হামীম ফারুক, নাজমীন মর্তুজা, শাহনাজ বিথী, সুলতানা শাহ্রিয়া পিউ, মোহাম্মদ আনওয়ারুল কবীর।

বই আলোচনা বিভাগে অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘এই সময়ের কথাসাহিত্য ১ম ও ২য় খণ্ড’ নিয়ে লিখেছেন ফজলুল আলম। কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার মঞ্জু সরকারের ‘রূপান্তরের গল্পগাথা’ নিয়ে লিখেছেন আমির মুহম্মদ খসরু। এছাড়াও বই আলোচনা বিভাগে লিখেছেন- অনামিকা চৌধুরী অন্তি (চিন্তার ব্যাকরণ), এনামুল রেজা (দ্য বুক থিফ) এবং সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী (তোমার ঝর্ণার জলে)।

‘দৈবচয়নে সাম্প্রতিক সাহিত্য পত্রিকা সমূহের চালচিত্র উতঙ্ক, চিহ্ন, আক্ষরিক, পরাগ, ধমনি, অ আ, কথন, বিহঙ্গকাল, জাঙশন, চৌকাঠ, লাটাই, মানুষ’ সম্পর্কে লিখেছেন- শামীম সাঈদ।

ধারাবাহিক পাঠ হিসেবে সোহরাব সুমন লিখেছেন ‘সমাজ ও সংস্কৃতির বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ইতালির সাহিত্য’ এবং সোলায়মান সুমন ধারাবাহিকভাবে উপন্যাস লিখছেন ‘অন্ধযাত্রা’ শিরোনামে।

অনুপ্রাণন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু এম ইউসুফ নিয়মিতভাবে অনুপ্রাণন প্রকাশকে একটা সাহিত্য আন্দোলন হিসেবে দেখছেন। সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান- আমরা চেষ্টা করছি নির্মোহ থেকে প্রকৃত সাহিত্যের কদর করতে। অনুপ্রাণনে লেখালেখির জন্যে লেখকের নাম নয় লেখাই প্রাধাণ্য পায়।

অনুপ্রাণনের এ সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে কাঁটাবন, ঢাকাস্থ অনুপ্রাণন'র প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রে। ঢাকার বাইরের পাঠকেরা পত্রিকাটি সংগ্রহ করতে ফোনে, ইমেইলে অথবা ফেসবুকে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা নিজ খরচে পত্রিকাটি পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন বলে জানানো হয়েছে।

চার রঙা প্রচ্ছদ এবং এ-৪ সাইজে'এ ১৬ ফর্মায় ছাপা অনুপ্রাণন'এর এই ১১তম সংখ্যাটির মূল্য হচ্ছে ১০০ টাকা।

আপনার মন্তব্য