কে পাচ্ছেন ২০১৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার!

 প্রকাশিত: ২০১৫-১০-০৭ ২৩:৩৬:৫১

 আপডেট: ২০১৫-১০-০৭ ২৩:৪৮:২২

রেজা ঘটক:

কে পাচ্ছেন ২০১৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার? প্রতি বছরের মত এবারও সাহিত্যে কে নোবেল বিজয়ী হচ্ছেন, এ নিয়ে সারা দুনিয়ার সাহিত্যমোদীদের মধ্যে নানান কিসিমের জল্পনা কল্পনা ডানা মেলেছে।  বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এ বছরের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে ভক্তদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে টানটান তুমুল বিতর্ক। চলুন, আমরাও একটু দেখে আসি, এবার সাহিত্যে নোবেল পাবার তালিকায় কে কে এগিয়ে আছেন? নাকি সেই তালিকার বাইরে থেকে কেউ নোবেল জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন!!!

বৃটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকার এক জরিপে দেখা গেছে, এবার সাহিত্য নোবেল পাবার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বেলারুশের লেখক ও সাংবাদিক সেভেটলানা আলেক্সিভিচ ( Svetlana Alexievich)-এর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন জাপানি ঔপন্যাসিক হারুকি মুরাকামি (Haruki Murakami)। তৃতীয় অবস্থানে আছে কেনিয়ার নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গ'ও (Ngugi wa Thiong’o)। চতুর্থ অবস্থানে আছেন যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপ রথ (Philip Roth) এবং জয়সি ক্যারোল ওয়াটেস (Joyce Carol Oates)।

আগামী বৃহস্পতিবার এদের মধ্যে বা বাইরে থেকে যিনিই সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হন না কেন, তিনি ঢুকে পড়বেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী শতাব্দীর এক আড়ম্বপূর্ণ তালিকায়। যে তালিকায় রয়েছেন গত শতাব্দীর নামকরা সাহিত্যিক আলেক্সাজান্ডার সোলঝিনিৎসিন (Alexandr Solzhenitsyn), আলবার্ট কাম্যু (Albert Camus), গ্যাবরিয়েল গার্সিয়া মার্ককুইজ (Gabriel García Márquez), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Robindranath Tagore) থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালের টোনি মোরিসন (Toni Morrison), ডোরিস লেসিং (Doris Lessing)। আবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী না হয়েও সারা বিশ্বের সাহিত্যপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এমন সাহিত্যিকরা হলেন লিও টলস্তয় (Leo Tolstoy), হেনরি জেমস (Henry James), হেনরিক ইবসেন (Henrik Ibsen)।

গত বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন সাহিত্যের এই আলোচনার বাইরের খুব নতুন একজন প‌্যাট্রিক মোদিয়ানো (Patrick Modiano)। যাঁর ১৯৯২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস 'আন ক্রিক পাশে (Un Cirque Passe)' সাম্প্রতিক সময়ে ইংরেজিতে অনুবাদ হয় 'আফটার দ্য সারকাস (After the Circus)' নামে। চলতি মাসে এটি যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ পেয়েছে। আর জানুয়ারিতে প্রকাশ পেয়েছিল বৃটেন থেকে।

প্রতি বছর ৬০০ থেকে ৭০০ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহিত্যে নোবেল জয় করার মত পোটেনশিয়াল যোগ্যতা রাখেন এমন কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিকদের নমিনেশান দেবার জন্য সুইডিস একাডেমি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এদের পাঠানো নমিনেশান থেকে প্রাথমিক বাছাই শেষে ২০০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা করে সুইডিশ একাডেমি। সেই ২০০ জনের সাহিত্য কর্ম নিয়ে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করেন সুইডিশ একাডেমির ১৮ সদস্যের জুরি বোর্ড। জুরি বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যিনি পাবেন, সাধারণত তাঁকেই দেওয়া হয় এই সম্মানজনক নোবেল পুরস্কার। সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সেক্রেটারি পিটার ইংলান্ড (Peter Englund) বলেন, সেই সম্ভাব্য নামটি বাছাই করতে আমাদের রীতিমত গলদঘর্ম ছুটে যায়।

ল্যাডব্রোক্সে আলেক্স ডোনোহুয়িই (Alex Donohue) বলেন, এবারের পুরস্কারে সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশন্যাল পুরস্কার বিজীয় হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাজনাহোরকাই। যার নোবেল জয়ের সম্ভাবনা ৫০/১ থেকে ২৫/১ ভাগ। আর কোরিয়ান কবি কো উন-এর এবার নোবেল বিজয়ের সম্ভাবনা ৪০/১ থেকে ২০/১ ভাগ। তিনি দাবি করেন, এ বছর হয়তো আলোচিতদের বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত নতুন কেউ এই পুরস্কার ছিনিয়ে নিতেও পারেন।

বেলারুশের লেখক ও সাংবাদিক সেভেটলানা আলেক্সিভিচ (Svetlana Alexievich)-এর আলোচিত বইগুলো হলো 'THE WAR'S UNWOMANLY FACE', 'LAST WITNESSES', 'ZINKY BOYS' ও 'THE CHERNOBYL PRAYER'। সেভেটলানা আলেক্সিভিচ ( Svetlana Alexievich) ১৯৪৮ সালের ৩১ মে ইউক্রেনের ইভানো ফ্রান্কোভস্ক শহরে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর মা ইউক্রেনের নাগরিক কিন্তু বাবা বেলেরুশের। ১৯৬৭ সালে তিনি মিনস্ক ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। এই সময়ে তিনি লেখালেখিতে অনেক জাতীয় পুরস্কার পান। শুরুর দিকে স্কুল জীবনে তিনি কবিতা লিখতেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস 'THE WAR'S UNWOMANLY FACE' প্রকাশিত হয়। মিখাইল গর্বাচেভ ১৯৮৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর এই বইটি আবারো গোটা রাশিয়ায় নতুন করে সাড়া ফেলে। তখন এটির কয়েকটি সংস্করণ বের হয়।

গর্বাচেভের প্রেসত্রোয়েইকা'র সমালোচনা করে তাঁর লেখা ১০০টি গল্প নিয়ে রচিত 'LAST WITNESSES' বইটি গর্বাচেভ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তখন প্রকাশ করতে পারেননি। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'The Boys in Zinc' বা 'ZINKY BOYS'। বইটি তখন গোটা সোভিয়েট ইউনিয়নে তুমুল আড়োলন তুলেছিল। ১৯৭৯ মালে সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযানকে প্রেক্ষাপট করে তিনি এটি রচনা করেছেন। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর 'Enchanted with Death'। আর ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সবচেয়ে আলোচিত বই 'The Chernobyl Prayer: the Chronicles of the Future' বা সংক্ষেপে 'THE CHERNOBYL PRAYER'।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, বৃটেন, জাপান, চীন, ভারত, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, ভিয়েতনাম সহ বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি প্রায় ২১টি ডকুমেন্টারি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। এছাড়া তিনটি নাটক লিখেছেন। 'Kurt Tucholsky Prize', 'the Swedish PEN', "Triumph" ও 'the Herder Prize' সহ সেভেটলানা আলেক্সিভিচ (Svetlana Alexievich) বিশ্বের অনেক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। চলতি বছর তিনি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

১৯৪৯ সালের ১২ জানুয়ারি জাপানের কিয়াটো শহরে জন্মগ্রহণ করেন হারুকি মুরাকামি (Haruki Murakami)। তাঁর রচিত কথাসাহিত্য তাঁকে জাপান ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালোচকদের প্রশংসা ও অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছে। সেসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড (২০০৬), ফ্রাংক ও'কনার আন্তর্জাতিক ছোটগল্প পুরস্কার। অপরদিকে তাঁর রচিত সমস্ত শিল্পসম্ভারের জন্য ফ্রান্‌ৎস কাফকা পুরস্কার (২০০৬) এবং জেরুজালেম পুরস্কার (২০০৯) অন্যতম। তাঁর মৌলিক রচনার মধ্যে ''এ ওয়াইল্ড শিপ চেজ'' (১৯৮২), ''নরওয়েজিয়ান উড'' (১৯৮৭), ''দি উইন্ড-আপ বার্ড ক্রনিকল'' (১৯৯৪-১৯৯৫), ''কাফকা অন্য দি শোর'' (২০০২) এবং ''ওয়ানকিউএইটফোর'' (২০০৯-২০১০) অন্যতম। এছাড়া তিনি অনুবাদক হিসেবে অনেক ইংরেজি সাহিত্য জাপানী ভাষায় অনুবাদ করেছেন।

সাহিত্য সমালোচকদের অনেকেই হারুকির কথাসাহিত্যগুলো ফ্রান্‌ৎস কাফকার একাকীত্বে ভরা উন্মাদনা, শূন্যতা ও অর্থহীনতায় ভরা কথাশিল্প হিসেবে উল্লেখ করেন। হারুকি মুরাকামি উত্তর আধুনিক সাহিত্যের একজন অন্যতম প্রভাবশালী লেখক। দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল, হারুকি মুরাকামিকে তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে অাখ্যা দেন। চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর তালিকায় তিনি অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গ'ও (Ngugi wa Thiong’o) ১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি কেনিয়ার কামিরিথু কেনিয়া কলোনিতে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম রাখা হয়েছিল জেমস্‌ নগুগি। ১৯৭৬ সালে তিনি নাম পরিবর্তন করেন। সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর বিচরণ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সমালোচনা, ছোটগল্প এবং শিশুতোষ রচনাবলী সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও নন্দিত। তিনি প্রথমে ইংরেজিতে লিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালে ''আমি যখন মন চায় বিয়ে করবো'' গ্রন্থটির কারণে তাঁকে কারাবন্দী করা হলে তিনি মাতৃভাষায় লেখার সিদ্ধান্ত নেন। ''ক্রুশকাঠের শয়তান'' গ্রন্থটি তিনি রচনা করেছিলেন জেলখানার বন্দীদশায় থেকে টয়লেট পেপারের ওপর। তাঁর প্রথম উপন্যাস ''কেঁদোনা, বাছা'' প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটি একজন শক্তিশালী ও রাজনৈতিক কথাসাহিত্যিকের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করেছিল। তিনি এ উপন্যাসে কেনিয়ার মানুষ ও ব্রিটিশ উপনিবেশের সম্পর্ক উপজীব্য করেছেন।

তিনি ম্যাকারিরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব লিডস-এ অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (আর্ভিং) ডিস্টিংগুইশড্‌ প্রফেসর হিসাবে শিক্ষকতা করছেন। তাঁর বিষয় তুলনামূলক সাহিত্যতত্ত্ব। এর আগে তিনি ২০১০ সালের সাহিত্যের নোবেল পুরস্কারের জন্য শর্টলিস্টেড হয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিকথা ''যুদ্ধে কালের স্বপ্ন'' উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের একটি শিল্পীত দলিল। তাঁর ''উইযার্ড অব দ্য ক্রো'' একটি নিপূন রচনা হিসাবে স্বীকৃত। তাঁর সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে ''নোনিনো ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর লিটেরেচার'' লাভ করেন। এ ছাড়া ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূক ডিগ্রি প্রদান করেছে। চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর তালিকায় তিনি অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফিলিপ রথ (Philip Roth) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক। তিনি ইহুদি বংশোদ্ভূত। ১৯৩৩ সালের ১৯ মার্চ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিউয়ার্কে হন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন লেখকদের মধ্যে তাঁকে গণ্য করা হয়। তাঁর ১৯৬৯ সালের উপন্যাস ''পোর্টনয়'জ কম্প্লেইন্ট্‌ (Portnoy's Complaint) ব্যাপক পাঠক জনপ্রিয়তা লাভ করে। নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি আবার নতুন বিক্রমে লিখে চলেছেন। এসময়ে লেখা তার সফল উপন্যাসগুলো হলো- '' অপারেশন শাইলক্‌'' (১৯৯৩), ''সাব্বাথ্‌'স থিয়েটার'' (১৯৯৫), ''আমেরিকান প্যাস্টোরাল'' (১৯৯৭), '' আই ম্যারিড্‌ এ কমিউনিস্ট'' (১৯৯৮), '' দ্য হিউম্যান স্টেইন'' (২০০০) ও ''দ্য প্লট এগেইন্স্‌ট আমেরিকা'' (২০০৪)। ২০০৬ সালের মে মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা বিগত ২৫ বছরের সেরা মার্কিন উপন্যাসের একটি তালিকা তৈরি করে। মোট ২২টি উপন্যাসের মধ্যে ৬টি উপন্যাসই ছিল ফিলিপ রথের লেখা। চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর তালিকায় তিনি অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

জয়সি ক্যারোল ওয়াটেস (Joyce Carol Oates) ১৯৩৮ সালের ১৬ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ল্যাকপোর্টে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। তিনি প্রায় ৪০টি উপন্যাস লিখেছেন। তিনি তাঁর উপন্যাস ''তাদের (Them)'' (১৯৬৭)-এর জন্য লাভ করেন ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া তিনি ও' হেনরি পুরস্কার এবং ন্যাশনাল হিউমানিটিজ মেডেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর আলোচিত উপন্যাসগুলো হলো ''ব্ল্যাক ওয়াটার ( Black Water'') ১৯৯২, ''হোয়াট আই লিভ ফর (What I Lived For'') ১৯৯৪, ''ব্লন্ডে (Blonde'') ২০০০। ছোটগল্পের বই '' দ্য হুইল অব লাভ অ্যান্ড আদার স্টোরিস (The Wheel of Love and Other Stories'' ১৯৭০ এবং লাভলি, ডার্ক, ডিপ স্টোরিস (Lovely, Dark, Deep: Stories'') ২০১৪ এর জন্য তিনি পুলিৎজার পুরস্কারের জন্য নমিনেটেড ছিলেন। চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর তালিকায় তিনি অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।



আপনার মন্তব্য