বিশ্ব কবিতা দিবস আজ

 প্রকাশিত: ২০১৬-০৩-২১ ০০:০৮:১৯

মারূফ অমিত:

একদিন পথ দিয়ে যেতে যেতে মহাকবি বাল্মীকি এক পাখি শিকারীকে দুটি ক্রৌঞ্চ মানে বক কে মৈথুনরত অবস্থায় হত্যা করতে দেখে বলে উঠেছিলেন “থাক ব্যাধ, ওদের মেরো না।” সেই ছোট থেকেই শুনেছি এই শোক গাঁথা থেকেই শ্লোক এর সৃষ্টি।

তারপর জোড়াসাঁকোর এক ছোট্ট চারাগাছ লিখে ফেললেন “জল পড়ে পাতা নড়ে”। সেদিনই হয়তো সেই চারাগাছটি কবিতার আদি সূত্র খুঁজে পেয়েছিলেন এবং পরে তিনি মহীরুহ হয়ে ওঠেন।

জন্মায়! কবিতা জন্মায়! কীভাবে জন্মায় একটি কবিতা? কীভাবে বেড়ে ওঠে একটি কবিতা? নাকি ইচ্ছের লালন থেকে বেড়ে ওঠা সবই কবিতা, কবিতার কথা? কবিতা কি চোরা পথ ধরে বেড়ে ওঠা প্রেম ও প্রকৃতির খেলা? এমন হাজারো প্রশ্ন আছে কবিতা নিয়ে।

কবিতা ভালোবাসার ভাষা,কবিতা প্রতিবাদের ভাষা। কবিতা বলতে কী আবেগের বিজ্ঞানকে বুঝানো হয়ে থাকে? আবেগ ও বিজ্ঞান এ দুটির সমমিশ্রণ ঘটলেই পঙক্তিমালাগুলো কবিতা রূপ ধারণ করে। কবিতা শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলীর ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, কবিতা প্রতিমুহূর্তে আচরণে-আবরণে, আহ্বানে নিজের অস্তিত্ব তথা বোধজাত উপলব্ধি ঠিক রেখে নিজেকে ভাঙ্গে আবার গড়ে।

আজ ২১ শে মার্চ, বিশ্ব কবিতা দিবস। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। পূর্বে অক্টোবর মাসে বিশ্ব কবিতা দিবস পালন করা হত। প্রথমে ৫ অক্টোবর এবং বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালন করা হত।

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হবে কবিতা দিবস। কবিতা ছড়িয়ে যাক সকল হৃদয়ে, আবৃত্তি হোক একের পর এক, রচনা, পাঠ ও কবিতা প্রকাশনা উৎসাহিত হোক।

আপনার মন্তব্য