আবদুল হাসিব-এর দুই কবিতা

 প্রকাশিত: ২০১৬-০৬-২০ ২২:০৮:২২

 আপডেট: ২০১৬-০৬-২০ ২২:২৯:০৭

আবদুল হাসিব:

মানুষ কেন ওঠে
ভোরের বিভায় রূপ তোমার যত্নে সাজাও প্রভু,
অলস ঘুমে বিভোর যারা দেখতে পায় বা কভু।

শৈবালিনী তোমার গানেই কল্লোলিয়া চলে,
পাখির মধুর কণ্ঠে প্রভু তোমার নামই বলে।

পূব আকাশে বাহারি রঙ কত ছবি আঁকে,
শিশির কণায় হীরা ঝরায় বসুমতির নাকে।

কমলা রোদে রাঙিয়ে উঠে ঘাস বৃক্ষরাজি,
আমার প্রবল ইচ্ছে করে তাদের মতো সাজি।

শুভ্র আলোয় কোরক মেলে দিঘির পদ্ম ফুল,
মৃদুমন্দ পেলব সমীর দেয় যে তারে দুল।

ফুলের গন্ধে অলি আকুল গুঞ্জরিয়া গায়,
উচ্ছ্বসিত শিশু কিশোর ফুল কড়াতে যায়।

স্নিগ্ধ হাসি ভোরের ঠোঁটে কী মমতায় ফুটে,
এমন মুগ্ধ ভোর পেরিয়ে মানুষ কেন ওঠে!


যাবো কোনখানে
ওখানে প্রাতে ঘুম ভাঙ্গে পাখির গানে,
ওখানে প্রশান্তি আনে আমারই প্রাণে।
ওখানে সকালে রোদ সোনা হয়ে ঝরে,
ওখানে আঙিনা শিশু মুখরিত করে।
ওখানে দুপুরে চিল ডানা মেলে ডাকে,
ওখানে রাখাল চলে গরু হাঁকে হাঁকে।
ওখানে সরষে ক্ষেতে হলুদিয়া মেলা,
ওখানে ধানের শীষে শালিকের খেলা।
ওখানে বিকালে হয় রক্তিম আকাশ,
ওখানে ফুটে উঠে সুন্দরের প্রকাশ।
ওখানে সারারাত ধরে শিশির ঝরে,
ওখানে জোছনা পড়ে ঝিকিমিকি করে।
আঁখি খোলেই এত রূপ দেখি যেখানে,
এসকল ফেলে আমি যাবো কোনখানে!

আপনার মন্তব্য