প্রকাশিত: ২০১৫-০৪-১৩ ১৬:৪৩:২৫
নিউজ ডেস্ক :
ইউরোপীয় সাহিত্যে যিনি জাদু বাস্তবতার তুলি বুলিয়েছিলেন, সেই নোবেল বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস আর নেই।
তার বইয়ের প্রকাশক সংস্থা স্টেইডেল জানিয়েছে, সোমবার (১৩ এপ্রিল) জার্মানির উত্তরাঞ্চলের লুবেক শহরে এই ঔপন্যাসিকের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
ইউরোপিয়ান ম্যাজিক রিয়ালিজমের এই স্রষ্টা তার প্রথম উপন্যাস ‘দি টিন ড্রাম’ এর মধ্য দিয়েই আলোড়ন তোলেন সমকালীন বিশ্বসাহিত্যে। ১৯৯৯ সালে তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে সুইডিশ একাডেমি।
তাঁর লেখা সবসময় বামপন্থী রাজনৈতিক লেখা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে এবং তিনি সোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির একজন সক্রিয় সমর্থনকারী। দি টিন ড্রাম উপন্যাসটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মান করা হয়েছে যা ১৯৭৯ সালে পাম ডি’অর ও বিদেশী ভাষার সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানি কিংবা ইউরোপের চিত্র এত গভীরভাবে আর কারও লেখনীতে উঠে আসেনি গুন্টার গ্রাস ছাড়া। দুই বার ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। প্রথমবার ১৯৮৬ সালে এরপর ২০১১ সালে।
গ্রাস ছিলেন একাধারে লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। তবে বিশ্বের পাঠক তাকে চেনে কালজয়ী উপন্যাস দ্য টিন ড্রামের লেখক হিসাবে।
ঢাকার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিলো বিংশ শতাব্দীর অন্যতম খ্যাতনামা এ সাহিত্যিকের। দুইবার ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। প্রথমবার ১৯৮৬ সালে এরপর ২০১১ সালে।
শামসুর রাহমান, বেলাল চৌধুরী, নাসির আলী মামুন সহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের সঙ্গে ছিলো তার গভীর অন্তরঙ্গতা।
১৯২৭ সালে বর্তমানে পোল্যান্ডের ডানজিগ নগরীতে এক জার্মান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন গুন্টার গ্রাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমসাময়িক সব জার্মান যুবকের মত তাকেও বাধ্যতামূলকভাবে জার্মান সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগ দিতে হয়।
তবে তিনি ছিলেন চরম নাৎসি বিরোধী। তার প্রথম উপন্যাস টিন ড্রামের মধ্য দিয়েই এই নাৎসি বিরোধী মনোভাবের প্রকাশ পায়।
একই সঙ্গে তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন উচ্চকিত কণ্ঠস্বর।
এমনকি কবিতার মধ্য দিয়েও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নিন্দা জানান তিনি। এজন্য ২০১২ সালে ইসরায়েলি সরকার তাকে ইসরায়েলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
আপনার মন্তব্য