নিউজ ডেস্ক:
শারমিন রহমান কবি। গানও করেন। কবিতা লিখছেন অনেক দিন তবে এবারই বই বেরুচ্ছে প্রথম বারের মতো। লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা আছে, আছে কমিটমেন্টও। নিজের লেখালেখি সম্পর্কে বলেন তিনি খুব সরাসরিই বক্তব্য তুলে ধরতে ভালোবাসেন।
সিলেটটুডে২৪’র সাথে তাঁর নিজের লেখালেখি, সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় এবং বইমেলা নিয়ে কথা বলেছেন খোলাখুলিভাবে। বিস্তারিত পাঠকদের উদ্দেশে:
সিলেটটুডে২৪: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে আপনার কী বই আসছে?
শারমিন রহমান: আমার প্রথম কবিতার বই বেরুচ্ছে। ‘অপ্রাকৃত কবচ’ প্রকাশ করছে অনুপ্রাণন প্রকাশন, ঢাকা।
সিলেটটুডে২৪: আপনার প্রকাশিত বই সংখ্যা কত?
শারমিন রহমান: ‘অপ্রাকৃত কবচ’ই আমার প্রথম বই।
সিলেটটুডে২৪: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আপনার প্রত্যাশা কী?
শারমিন রহমান: আসলে শুধু অমর একুশে বলে নয়, যে কোন গ্রন্থমেলার কাছে একটাই প্রত্যাশা থাকে উত্তরোত্তর পাঠক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সিলেটটুডে২৪: অমর একুশে গ্রন্থমেলা কিভাবে আরো আকর্ষণীয় করা যায়?
শারমিন রহমান: ‘বই পড়া’ ব্যাপারটাকে বিশেষ করে ছাত্রদের সামনে উৎসাহব্যঞ্জক ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একঘেয়ে পরিবেশন পদ্ধতির পরিবর্তে বিশ্বমানের দিকে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায়- এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা বাড়াতে পারেন। কারণ, ছাত্রসমাজ এখন নিজ দেশের সমাজের বাইরেও সারা বিশ্বের সমাজ ও পারিপার্শ্বিকতার বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং তাদের প্রত্যাশা সেই ভাবেই দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাছে বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় কথা আজ যে ছাত্র আগামি দিনে তার হাতেই দেশের চাবি।
সিলেটটুডে২৪: একুশে গ্রন্থমেলায় নিয়মিত যান? কী কারণে?
শারমিন রহমান: অবস্থানগত দূরত্বের কারণে নিয়মিত যাওয়ার সুযোগ হয়না। তবে মিডিয়ার বদৌলতে পরিবেশটা বুঝতে পারি। দূর থেকে দেখে ভাল লাগে।
সিলেটটুডে২৪: লেখালেখিতে কোন বিষয়টিকে আপনি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন? কী যুক্তি এর পেছনে?
শারমিন রহমান: আবেগ, অনভুতি, যুক্তি, সমাজ সংস্কার আমার কাছে সমান ভাবে বিবেচ্য। যুক্তি একটাই। এইসব জায়গায় কাজ করার জন্য যে আত্মনিবেদন তার দ্বারা লেখকমাত্রই তাড়িত ।
সিলেটটুডে২৪: আপনার বই আর পাঠক এবং আপনি আর অন্যান্য বই এ সম্পর্কে আপনার কী মূল্যায়ন?
শারমিন রহমান: কঠিন প্রশ্ন। লেখক এবং পাঠক হিসেবে নিজের মূল্যায়ন কিভাবে করব? বই এখনো আসেনি। অনলাইনে আমি অনেক নিরপেক্ষ পাঠক পাই, আর এটাই আমার চাওয়া। আমার লেখার যৌক্তিক সমালোচনা হয়। বই বের হবার পর আলোচনা, সমালোচনা, নিন্দা, প্রশংসা সব মিলিয়ে যে জায়গাটা তৈরী হবে- সেটাই হতে পারে আমার পাওনা।
আর এই প্রজন্মের লেখকদের বিষয়ে আমি খুব বেশী আশাবাদী। কারণ, সাহিত্যচর্চা ছাড়াও অন্যান্য অনেক বিনোদন মাধ্যম থাকায় খুব কম ছেলেমেয়ে এই দিকে ঝুঁকছে। তাই ঘটনাচক্রে যারা ঝুকছে, তারা খুবই নিবেদিত এবং স্বাতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়েই আসছে। তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী তো বটেই। নুতনদের লেখার মধ্যে আমি অনেক মৌলিকত্ব খুঁজে পাই।
সিলেটটুডে২৪: বই প্রকাশে আপনি কী ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন? কিভাবে উত্তরণ ঘটল?
শারমিন রহমান: আমার বই প্রকাশের ব্যাপারটা আসলে যেই ভাবা সেই কাজের মত হয়ে গেছে। একজন পরামর্শ দিলেন, আমি অনুপ্রাণন প্রকাশনের প্রকাশক সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলাম। উনি খোঁজখবর নিয়ে আমার বই প্রকাশের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেন। সিদ্ধান্ত হয়ে গেল।
সিলেটটুডে২৪: প্রকাশিত, প্রকাশিতব্য বই আর প্রকাশক(দের) সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন
শারমিন রহমান: আমার বই পাঠকপ্রিয় হবে এটা আমার সাধারণ আশাবাদ। তবে বইটা আসলে আমার কাজের একটা দলিল। পররবর্তী দিনের জন্য রেখে যাব এই ভেবেই বেশী আনন্দ পাই।
আমি খুব সরাসরি লিখি বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আমার প্রকাশক আবু এম ইউসুফ ভাইকে বেশ কয়েকবার সম্পাদকমন্ডলীর সাথে মিটিং করতে হয়েছে বলে উনি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, এই সিদ্ধান্তে এসেছেন এ কারণে। তবে লেখক হিসেবে আমার অবস্থান, দায়বদ্ধতা সবই পাঠকের কাছে আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আসলে আমি লেখার কাজটা ভালবেসে করি। আমার প্রকাশক তা বুঝেছেন বলে আরও ভাল লাগে। সম্মানীর আশ্বাস পেয়েছি। ভাল লাগছে।
সিলেটটুডে২৪: সিলেটটুডে২৪.কম’র পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
শারমিন রহমান: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ
গ্রন্থনা: ক.য়া/ জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
আপনার মন্তব্য