ফুসফুসের টানাপোড়েনে কী ভাবছো তুমি!

 প্রকাশিত: ২০২০-০৩-৩১ ১৫:০৩:৪১

মাসুদ পারভেজ:

মৃত্যুর মুখোমুখি অহর্নিশ দাঁড়িয়ে স্মরণ করছি সেইসব মহামানবদের
যাদের অক্লান্ত ঘাম আর শ্রমে এই বসুন্ধরা যৌবন লাভ করেছে
প্রাগৈতিহাসিক জবানি পেরিয়ে এই বর্বর রোবটের যুগে
যারা লড়াই করে প্রকৃতির সাথে সহাবস্থানের জন্য নিজেদের আখের হারিয়েছে
যারা এই বসুন্ধরা আবাদ করার উপায় বাতলে দিয়ে আমাদের সতর্ক সংকেত দিয়েছিল:
আজ এই মৃত্যুলগ্নে সেই সকল লড়াকুদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাচ্ছি।

মৃত্যুর মুখোমুখি চলাচলে প্রজাতির উৎপত্তি থেকে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণে
আদি থেকে এই পর্যন্ত যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দুঃসাহস
আমাদের গড়ে তুলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উৎসবে
কিংবা যাদের দেখানো ঐশ্বরিক ও অমর পরিকল্পনায় নারাজি দিয়ে
আমরা সর্বভুক হয়ে রাক্ষসের মতো সবকিছু খেয়ে ফেলার সর্বনাশা পরিকল্পনা করছি:
আমরা যাদের আদিমতম হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে
নিজেদের যুগোপযোগী মানব হিসেবে দাবি করছি:
এই রক্তস্নাত গোধূলিতে তাদের জন্য ভালোবাসার বরণঢালা সাজিয়ে রেখেছি।

আমরা, ডিনামাইটের যুগ পেরিয়ে রকেটলাঞ্চারের মুখোমুখি
নিয়ান্ডারথালদের বিনাশে হোমোস্যাপিয়েন্স প্রজাতির প্রতিনিধি হিসেবে
ক্ষমা চাইছি সকল পশুপাখির কাছে
যাদের পেটে চুরি চালিয়ে, বুকচিঁরে বের করে নিয়ত খাচ্ছি সেই প্রকৃতি:
ক্ষমা করো না আত্মঘাতী এই মানবপ্রজাতিকে
ক্ষমা করা হলে বুকে বিঁধে মরে যাবে আমাজন
হয়তোবা ফুরিয়ে যাবে নায়াগ্রার জলপ্রপাত।

বেলার সময়ে অবেলায় এই মুখোমুখি
আন্ধার ফুটে আলোতে আন্ধারের মাখামাখি
সকলকে বিনাশ করে নিজেদের অস্তিত্বে টানাটানি;
এই তো, বেলা ফুরাবার আগে আমাদের ফুরসৎ নেই
ফুসফুসের টানাপোড়েনে দম নেওয়ার জো নেই;
ক্ষমা করো হে বৃক্ষরাজি
ক্ষমা করো হে ঋতুরাজ।

আপনার মন্তব্য