প্রকাশিত: ২০২০-০৪-২৩ ২৩:৩৪:০৭
মাসুদ পারভেজ:
১
মৃত্যুর পরে আমার নিষ্পলক দেহ
ফুলের খাটিয়াতে বয়ে নিয়ে যেয়ো
পদ্মপাতার ছাউনিতে সাজানো বাহন:
যেন একটা ফুলের শেষকৃত্যে পৌঁছানোর জন্য
প্রকৃতি মিলেছে নিথর বাঁশির ঐকতানে।
২
আমার শেষবিদায়ে নিমন্ত্রণ যেন ঘটে
ঝুমকো জবার। বেলিফুল আমার অতি পছন্দের।
বাদ যেন না যায় দূর্বাঘাসের আলতো ছুঁয়ে যাওয়া।
আমি ফুলের জলসাঘরে ঈষৎ ঘাড় ঘুরিয়ে গোলাপ কে বলে দেবো; কি কথা ছিল সূর্যমুখীর সুবাসে।
আনারসি রঙের বাহার যেন থাকে আমলকী ঘ্রাণে
ধানিরঙের চৌহদ্দি পেরুলেই মিলবে সোনামুখি সুঁই
আমার আবরণে মুখোশ খসে যাওয়ার যাতনা;
বিদীর্ণ হয়ে থাকা মৌসুমি বায়ু;
মুক্ত হয়ে যাবে আরও সন্দেশে।
আমায় দেখতে আসা লোকেদের কবিতার সাথে
রিনিঝিনি শব্দের আওয়াজ
ইথারে ভেসে যাবে কবিতার অমর পঙক্তিগুলো;
আমার মুণ্ডুপাত করুক, তবুও কোলাহলে
গান যেন গেয়ে যায় পরিযায়ী পাখিগুলো।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিংবা তার আগে
মাটি ফেলা হোক কবিতার শরীরে
আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে যাক আঙুরফলের গান;
লাল-লাল খাঁচা ভেঙে আসবে কবিরা;
আসবে নাজিম হিকমতের জেলখানা
কিংবা নেরুদার বোনা লালজামা।
৩
বিলাপে মেতে থাকা লোকেদের মুখে তুলে দিও
মাওলানার নৃত্য শামসের আলখাল্লা আর বিলালের আনুগত্য
সবাই যেন গেয়ে যায় একসাথে;
সবার উপরে মানুষ সত্য।
শেষে,
গোরের চারপাশে পুঁতে দিয়ো আবে হায়াতের জল
উপরে আসমান আর নিচে সোনারঙ মাটি
ভেতরে থাকা মানুষটা হয়তোবা ছিল খাঁটি।
আপনার মন্তব্য