কেমুসাস বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে শান্তনু'র উপন্যাস 'ফিরে এসো'

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৩-২৩ ০১:০১:৩০

সিলেটটুডে ডেস্ক:

এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত সাংবাদিক ও লেখক শান্তনু চৌধুরীর উপন্যাস "ফিরে এসো" বইটি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজিত অষ্টম বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় ২৩নং স্টল উৎস প্রকাশনী বইটি নিয়ে এসেছে। জনপ্রিয় এই তরুণ লেখকের বইটি সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই স্টলে পাঠকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে।

বইটির লেখক পরিচিতিতে লেখক ও সাংবাদিক তুষার আবদুল্লাহ বলছেন, ভালোবাসার নাগরিক মানুষ শান্তনু। এবারের উপন্যাস ‘ফিরে এসো’ প্রেমের বালুকাবেলার একটি জলছাপ মাত্র।

বইয়ের দাম ১৫০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি।       

এক নজরে শান্তনু চৌধুরী : খানিকটা অভিমানী, খানিকটা জেদিও। তবে স্বভাবজাত বিনয়ের আকাশে প্রায়শ ঢাকা পড়ে যায় অভিমান আর জেদের মেঘ। বলতে গেলে অল্প সময়ে সাফল্য যতোটুকু, তার পেছনে ওর জেদেই কাজ করেছে বেশি।
একটুতেই, কাউকে ভালোবেসে কাছে টেনে নেয়ার অসম্ভব ক্ষমতা তার। সে কারণেই হয়তো একটু বেশি-ই অভিমান জমা থাকে মনের গহিনে। পাহাড়, সাগর আর বৃষ্টির প্রতি দুর্বলতা সেই বালকবেলা থেকেই। তাই সুযোগ পেলেই ছোটে বান্দরবান, কক্সবাজার। আর বৃষ্টিতে ভেজা হয় না ঠান্ডা লাগবে বলে! তবে টিনের ছাদে বৃষ্টির শব্দ শুনে শব্দচর্চা বা হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির শরীর ছোঁয়া এসব এড়াতে পারে না কোনো নিষেধের বেড়াজাল।

পাহাড়ের জনপদ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ঢেমশা গ্রামে মধ্যবিত্ত দশটি ছেলের মতো কেটেছে শৈশব-কৈশোর। বাবার শাসন, মায়ের হাতের হলদি গন্ধ, কাদামাটি, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, লুকিয়ে প্রেমপত্র লেখা, কখনো মার্বেল খেলতে গিয়ে মারামারি...। কিন্তু ক্লাসে নম্র ভদ্র গোবেচারা। গ্রামের কাদামাটি মাখা মানুষগুলোর সরলতা, প্রচন্ড ভালোবাসা ওকে অভিভূত করে। তারপরও একদিন প্যান্টের পা গুটিয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে মেঠোপথ ছাড়া।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখার প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ চুকিয়ে ফেললেও স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত। বিত্তবান না হয়ে চিত্তবান হতে বেশি আগ্রহ তার।

শান্তনুর মধ্যে অদ্ভুত সারল্য আছে, ভালোবাসায় ভরপুর মন। সে ফুল ভালোবাসে, পাখি ভালোবাসে, ভর সন্ধ্যায় ডাহুকের বিচিত্র ডাক তাকে আন্দোলিত করে, বৃষ্টির শব্দ তাকে চঞ্চল করে, শান্তনু ভালোবাসা ভালোবাসে।

১৯৮০ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার উত্তর ঢেমশা গ্রামে শান্তনু চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। বাবা অঞ্জন চৌধুরী ও মা রুবি  চৌধুরীর চার সন্তানের মধ্যে তিনি বড়। ১৯৯৬ সালে ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি, ১৯৯৮ সালে  তেজগাঁও কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে ২০০৩ সালে অনার্স ও একই বিভাগ থেকে ২০০৪ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

শান্তনু চৌধুরী ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রদায়ক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশে নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক ভোরের কাগজে নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক সংবাদপত্রে নিজস্ব প্রতিবেদক, বেসরকারি রেডিও চ্যানেল এবিসিতে সহযোগী প্রযোজক ও বার্তা প্রযোজক এবং যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক হিসেবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এসএ টেলিভিশনে কাজ করেন। বর্তমানে কাজ করছেন সময় টিভির যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক হিসেবে।

শান্তনু জানান, তার পছন্দ যে কোনো গাঢ় রং এবং ফুল রজনীগন্ধা ও শিউলী। খেতে ভালোবাসেন বাঙালীয়ানায় তৈরী সকল খাবার। আর অবসর সময়ে এই সাংবাদিক বই পড়তে, লেখালেখি করতে ও গান শুনতে পছন্দ করেন।

এ পর্যন্ত শান্তনুর চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো-  কথা প্রসঙ্গে-(বিখ্যাতদের মজার সাক্ষাতকার), তারার অন্তরালে (তারকাদের সাক্ষাতকার), প্রথম চিঠি (গল্পগ্রন্থ) ও ফিরে এসো (উপন্যাস, ২০১৫)।

আপনার মন্তব্য