ফকির ইলিয়াসের গৃহীত গ্রাফগদ্য: গৃহমুখি নক্ষত্রের নয়ন

বীরেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৭-১৯ ১৭:০৮:৪৬

 আপডেট: ২০১৫-০৭-১৯ ১৭:৩২:১০

গৃহীত গ্রাফগদ্য: ফকির ইলিয়াস। প্রকাশক: অনুপ্রাণন প্রকাশন, ঢাকা। প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান, মূল্য: ১৫০টাকা:

পাখিগুলো ঘরে ফিরছে।কবিতাগুলো ঘরে ফিরছে।তাদের বরণ করতে সেজে উঠছে মেঘ। কালোবরণ চুলের দ্রাঘিমা। এই কবিতা কি তবে প্রেম! এই কবিতা কি তবে দ্রোহ!

বাংলা ভাষার একজন কবি ফকির ইলিয়াসের কবিতায় এমন আখ্যান দেখে আমরা চমকিত হই, আলোড়িত হই। মনে হয় একথাগুলো আমাদের। এই ডানাগুলো আমাদের প্রিয় কোনও পাখির। কবিতার জন্মঘর দেখতে কেমন? যে আঁতুড়ঘরে বসে কবি স্বপ্ন বুনেন-কেমন তার চারপাশ। আমরা যখন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হই, তখনই কবি ফকির ইলিয়াস আমাদের জন্য নির্মাণ করেন একটি ভিন্ন চিত্রকল্প। আমরা পড়ি আর ভাবি। ভাবি আর পড়ি। তার এমনই একটি কবিতা-

বৃত্তান্তে কখনও ভ্রমণের কাহিনি লেখা থাকে না।পদ্মায় ফিরেছে মাঝিরা,
আবার ধরা পড়বে ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ, আবার রূপোলি ঝলকে হেসে উঠবে
ঢেউয়ের কিনার— এমন সংবাদ মুখে ফিরে যায় দিগন্তের পাখি। আর
মানুষেরা সাহসী বাহুর হাড়ে সাঁতারের কৌশল লিপিবদ্ধ করে এগিয়ে যায়,
যেতে থাকে এই জীবনের মহান উদ্যানে, যেখানে থাকে ফুল-থাকে কাঁটা।

আমি কাঁটার নিগুঢ় আলোয় বহুবার পরখ করেছি আমার মুখ। দেখেছি—
ভোমর উড়ে যাবার পর পুষ্পের বিরহ বিলাপ, বিচ্ছেদের অনন্ত লহরী।

দেখেছি, সারারাত জাল বেয়ে মাছ না ধরার বেদনা নিয়েও ঘরে
ফিরছে বয়স্ক ধীবর। প্রিয়তমার আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে কেবলই বলছে,
এই গঞ্জ আর আমাদের নয় সখি,
চলো, অন্য কোনো গ্রামে, যেখানে নদী নেই- ক্রন্দন নেই।
[বৃত্তান্তহীন ভ্রমণবিলাপ]

কবিতার অনেক উপাদান উদ্ভাসিত হয়ে ঐতিহ্যিক আলোকে জাগিয়ে তোলে। পংক্তি শিল্পের অনুসন্ধিৎসু মন সাক্ষী হয়ে থাকে অনেক চিত্রকল্পের, অনেক মিলন-বিরহের। জীবনের সাথে যুক্ত করে এক ভিন্ন মাত্রিক দ্যোতনা। এ দ্যোতনা, কালিকচেতনা-সময় ও দর্শনের জাগরণে এক মৌলিক ভাষাচিত্র নির্মাণ করে। সাথে নির্মাণ করে নিজেকে ভাঙার অভিনব প্রথা। কবি ফকির ইলিয়াস নিজেকে ভাঙতে গিয়েই ভাঙেন কবিতার পরমাণু। যা আমাদের ভোরের অনুকূলে রেখে যায় অন্যরকম আবহ। পড়া যাক এই কবিতাটি।

''মধ্যরাতে চাঁদবৃষ্টি হবে, সবগুলো জোনাকী সারিবদ্ধভাবে নিভিয়ে দেবে লাইটভাল্ব
আর বৃদ্ধ কৃষক লাঙল-জোয়াল ফেলে আকাশ থেকে তুলে আনবে বৃষ্টির ফুলকি-
এমন ঘোষণা লিখে আমিও সাজাবো বিলবোর্ড- লিখে দেবো এ শহরে
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋতুবদল হয়। শ্রাবণে গান গায় ভিনদেশি কোকিল।

একটি তালা ঝুলিয়ে আমিও চাবি তুলে দেবো মেঘনার গর্জনের কাছে।
নদীই খুলুক তালা। যে বন্দীদশায় কাতরাচ্ছে আমার স্বদেশ, তার গায়ে
কেউ জড়িয়ে দেবে উলের চাদর- এমন বিজ্ঞাপণ দিয়ে আমিও দখল
করে নেবো রাতের রাজধানী। কেউ জানবে না- এখানে এর আগে
কার স্মৃতিচিহ্ন ছিল।

একটি বন্যার কাছে আমিও লিখবো প্রেমচিঠি।
তুমি এসো ঝড়,
তুমি এসো বৃষ্টি,
তোমার বিজলীর আলোয় ভাসুক মানুষ। বজ্রপাত হোক,
দুর্বৃত্তেরা পালিয়ে যাক - এমন কথামালায়
আমিও সাজাবো বিলবোর্ড
না, এখানে আমি আজ কারও নাম লিখে যাবো না।''
[বৃষ্টির বিলবোর্ড]

॥দুই॥
কবিতার জীবন খুঁজে আমি যতই ফকির ইলিয়াসের কবিতার গভীরে গিয়েছি, আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি নির্মাণ করে যাচ্ছেন একটি গ্যালারি। একজন চিত্রশিল্পীর যেমন থাকে কবি-চোখ, তেমনি জল ও জীবনকে পরখ করার অনন্য কাব্যদৃষ্টির আলোকে শব্দের বাসর সাজান কবি।

ভাবনার তারতম্যে কবি তার ক্যানভাসে রচনা করেন আলোদক্ষতা। একজন কবির থাকে শিল্পদৃষ্টি ও। অভিন্ন সেই শিল্পদৃষ্টিতেই জীবনবোধ আর উপলব্ধিসমগ্রকে কবি উন্মোচিত করেন বিদগ্ধ পংক্তিমালায়। তিনি লিখেন-

''সূর্যেরা পরখ করতে পারে ভোরবালিকাদের মন। যে মন বিচ্ছেদ পুষে,
যে হাড় লিখে রাখে বেদনার বৃন্ত- একদা সেই স্মৃতির কাছেই ফিরে
যেতে রাতের তারাও অনুসরণ করেছিল একই পথ - একই নামতার গতি।

আমি সূর্যের মুখোমুখি হেঁটে যেতে যেতে সেই বালিকার দুঃখগুচ্ছ দেখেছি।
দেখেছি- একটা নীলসালু গায়ে দিয়ে কবি বসে আছেন তার অনাথ
কবিতার পাশে। আর ডাক দিয়ে বলছেন-একদিন আমরাই জয়ী হবো,মানুষ !

এরপর থেকে আমি সকল দুঃখকে বিসর্জন দিয়েছি প্রতিবেশি বাসিয়া নদীতে।
যে গাঙে একদিন ভরা জোয়ার ছিল- তার বুকে ধূসর চর দেখে, আমি
জেনে গেছি একদিন ভুলের উজানে উঁকি দেয় পাখির পাঁজর, যে পাঁজর
কোনোদিনই স্পর্শ করা যায় না।''
[ভোরবালিকার মন]

একজন প্রকৃত কবির বিশ্বাস, ভালোবাসার শব্দ, কবির হাতে নবজন্মান্তর লাভ করে প্রায় প্রতিদিন। সেই আলো সমাজ মানসের মগ্ন চৈতন্যে অনুপ্রবেশ করে অন্তর্লোককে পরিবর্তিত করতে সক্ষম হয়। আর তা পারাটাই হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্প ও সংস্কৃতির কারিগরের অন্যতম কাজ। ফকির ইলিয়াস সেই অর্থে একজন সফল শব্দ কারিগর। তিনি এই প্রমাণ রেখেছেন তার কবিতার পরতে পরতে।

''কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাটিয়েছি ভরদুপুর। কেউ দেখতে আসেনি-কেউ
বুলিয়ে দেয়নি মাথায় হাত।যে রোদ আমার পশমে লেপ্টে থেকে যোগাতো
আমিষ, সে-ও পালন করেছে বিরহ পার্বণ। আর আমি সর্বহারা সমুদ্রের
কাছে হাত পেতে চেয়েছি একটু আশ্রয়।ছায়ার কিনারে, জীবনের জলসিথান।

মাথার নীচ থেকে আশ্রয় সরে গেলে, কিংবা পায়ের তলা থেকে মাটি-
মানুষের খুব বেশি মনে পড়ে অতীতের ভুলচুক। বিগত প্রেমিকার স্মৃতি,
আর সমবায়ী আকাশের কান্না এসে ভর করে সমগ্র আখ্যানের ভেতর,
যা কিছু লিখিত ছিল না-এমন কথাও কলমের কালিতে ঝরার উৎসাহ দেখায়।

আমি ঝরাসন্ধ্যার কিনারে বসে আমার সিথানের ছায়াগুলো পুনরায়
প্রত্যক্ষ করেছি। যারা ফেলে গিয়েছিল, তাদের প্রতি কোনো অনুযোগ
না দেখিয়েই আমি লিখেছি আমার সবক'টি প্রেমপদ্য। কোনো আবৃত্তিকার
কোনোদিনই এর নেপথ্যচিত্র জানতে চাইবে না জেনেও, জীবনকে বলেছি

তুমিই বন্ধু হয়ে থাকো। এই সয়াল সংসারে একাকী দহনের চেয়ে
বিকল্প কোনো বিলাসিতা কোনো কালেই ছিল না- হে পোষা পাখি!''
[জীবনের জলসিথান]

॥তিন॥
ফকির ইলিয়াসের কবিতায় রাজনীতি খুব স্পষ্টভাবে বিকশিত হয়। তিনি তার জন্মমাটির মৌলিক টানের ছায়াপাত করে যান অনেকগুলো কবিতায়। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষাআন্দোলন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, এমনকি গণজাগরণের আলোও জ্যোতি ছড়ায় তার কবিতার শরীরে।

ভালোবাসায় সমৃদ্ধ হয় অধীনস্থ ভিখিরীর আসন।
যে নদী সারারাত স্রোত বয়ে ক্লান্ত হয়ে আছে—
তার চর ঘেঁষে উঁকি দেয়া সূর্য জানান দিয়ে যায়,
আগমন মানেই প্রেম। চেয়ে থাকা মানেই অপেক্ষা।

এই নদীর বুকেই একদিন হারিয়ে গিয়েছিল মাধবীর
সিঁদুরের কৌটা। যে আকাশ কখনও বৈধব্য বরণ করতে
চায়নি— তার ছাদ ভেঙেই একদিন এই বাংলায়
উঁকি দিয়েছিল একাত্তর।
সাল'টা এখন অনেকের মনে নেই যদিও ! ঐ বছরই
জন্ম নিয়েছিল মাধবী সেনের একমাত্র সন্তান।

প্রসূতি মাধবী, হায়েনাদের হাতে সম্ভ্রম হারানোর পর
ঝাঁপ দিয়েছিল এই নদীতেই।

শত ভাঙাগড়ার পর নদীটি এখনও বেঁচে আছে।বেঁচে নেই
মাধবী। বেঁচে আছে তার সন্তান। বেঁচে আছে বাংলাদেশ।

জলসিঁদুরে আলপনা আঁকা যে শ্যামলরূপ প্রতিদিন আমাদের
জাগায়— মূলতঃ তা নিজ সন্তানের প্রতি মাধবীর ভালোবাসা।

ভালোবাসায় সমৃদ্ধ হয় অধীনস্থ ভিখিরীর আসন।
সন্তানেরা ভিখিরী হয়েই সেই মৃত্তিকায় আসন পেতে বসে।
[জলসিঁদুর]

কবিতায় প্রেম একটি অনিবার্য বিষয়। যাপিত জীবনের সাথেই কবিতার উপলব্ধি বসবাস করে কবির মননে। প্রেম হয় এর বাহক মাত্র। পাঠকও এই উপলব্ধির মধ্যে প্রবেশ করতে পারেন খুব সহজে। আর তখনই কবি এবং কবির দর্শনকে পাঠক পাঠ করতে পারেন অন্য চোখ দিয়ে। কবির প্রতিটি কবিতাই একটি অভিজ্ঞতার মর্মার্থ। তাই প্রত্যেক কবির প্রকাশপর্ব হয়ে ওঠে অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ রোজনামচা। ফকির ইলিয়াসের অগণিত কবিতায় আমরা এর প্রমাণ পাই।

''তাদের সাথেই প্রাণখুলে কথা বলা যায়— যাদের সাথে
স্বার্থের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে না
সেই অরণ্যকেই প্রাণভরে ভালোবাসা যায়— যে বনে
অচেনা পুষ্পেরা অপেক্ষা করে স্পর্শের, কিছু হাওয়া
পাশ দিয়ে উড়ে যেতে যেতে
জানায় অভিবাদন, আবার দেখা হবার সংকেত
দিতে দিতে আষাঢ়ের আলো বরণ করে প্রিয় সন্ধ্যা।

তাদের সাথেই সেরে নেয়া যায় নদীবিহার— যারা ঢেউয়ের
কর্তৃত্ব মেনে চালাতে জানে বৈঠা
উজানী আগুনে হাত রেখে, বলে দিতে পারে ভাটি কতদূর

তাকে নিয়েই লেখা যায় গল্প—
যাকে পাবো না কোনোদিন, অথচ
তার ছায়া পাঁজর ভাঙে প্রতিক্ষণ,
কিছু বীজপত্র প্রেমতপস্যায় থেকে যায় আজন্ম বিভোর ।
[সংশ্লিষ্ট স্বরকীয়া]

॥চার॥
নক্ষত্রগুলো চোখ দিয়ে দেখে পৃথিবীকে। মানুষকে দেখায় পথ। এই কবির কবিতাগুলো তেমনি মাইলস্টোন। এ যাবৎ এগারোটি বই বেরিয়েছে এই কবির। অধিকাংশই কবিতার। আন্তর্জালে প্রায় প্রতিদিনই পড়ি তার কবিতা।

২০১৫ এর বইমেলায় তার আরও তিনটি বই প্রকাশিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তিনি কবিতায় সগর্বে সচল। তিনি প্রকৃতিপ্রেমি কবি। তিনি পরিবেশবাদী কবি। এমন অনেক অভিধায় অভিষিক্ত করা যাবে ফকির ইলিয়াসকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তার কবিতায় মানবতার ঝাণ্ডা বড় শক্ত হাতে উড্ডীন। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন সেই ধ্বনিচিহ্ন।

''অলক্ষ্যেই অনেক কিছু আমার দেখা হয়ে যায়। মৃত পাখির হাড় থেকে
জন্ম নিয়েছিল যে পাথর তার উপর জন্মেছে একটি বৃক্ষ,সেই বৃক্ষে ফুটে
আছে একটি নামহীন ফুল।ফুলটি কী তবে সেই পাখির ডানাচিহ্ন!আর
বৃক্ষটি কী তবে পাখির সহদোরা! যে বিলে স্নান সারতো ঐ পাখি,সেই
চলনবিল কী তবে আমার লেখার খাতা!এমন অনেক ঘোরদৃশ্য দেখতে
দেখতে আমি ট্রেনে চেপে বসি। টিকিট চেকার এসে আমার টিকিট দেখতে
চান।টিকিট কাটি'নি আমি। দিইনি ট্রেনের ভাড়া।আমাকে সামনের স্টেশনেই
নেমে যাবার আদেশ জারি হয়।আমি কাঁধের ঝুলো'টি সামলাতে সামলাতে
নেমে পড়ার জন্য তৈরি হই। একজন কাগজ বিক্রেতা এসে আমার সামনে
দাঁড়ান। এবং বলতে থাকেন— নামবেন না বাবু!আপনার ভাড়াটা আমিই
দিয়ে দিচ্ছি............
আমি ক্রমশঃ পাথর হতে থাকি। মনে হয়, মানবজনমের চেয়ে পাথরজনম
অনেক ভালো।পাথর অনেক কিছুই দেখতে পারে। মানুষ চেয়েও দেখে না।
[পাথর ও ডানাচিহ্ন]

কে ধারণ করে এই পাথরজনম? কবি নিজে, নাকি তার পাঠক? তা জানতে হলে পড়তে হবে তার কবিতা। মৃত্তিকাকে প্রকৃতির প্রধান ভিত্তি ও উপাদান হিসেবে মনে করেন এই কবি। মানুষ, প্রকৃতি বা মাটি থেকে পৃথক হয়ে গেলে হারায় ভিত্তি, এমন বিশ্বাস এই কবির। আমার কাছে মনে হয়েছে, ফকির ইলিয়াস এপর্যন্ত নির্মাণ করতে পেরেছেন কিছু চিরকালীন কবিতা। যা তাকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখবে, পাঠকের দরবারে।

'অনুপ্রাণন প্রকাশন' থেকে প্রকাশিত তার ১২তম গ্রন্থ 'গৃহীত গ্রাফগদ্য' পড়ে আমি শুধু আপ্লুত হইনি, দেখেছি নতুন সূর্যের ঝলক। বইটির অত্যন্ত চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন বাংলাদেশের একজন সৃজনশীল শিল্পী তৌহিন হাসান। মূল্য রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। বিদেশে ৬ ডলার।

কবিতা বুঝানোর বিষয় নয়। কবিতা ধারণ করে মানব মনের সুপ্ত আরেকটি আকাশ। যে আকাশের দিকে তাকিয়ে একজন মানুষ নিজেকে আবিষ্কার করতে পারেন অন্য কোনও রূপান্তরের বিশ্বে। যে বিশ্বের ছায়া কেবলই উপলব্ধির, কেবলই পরিশুদ্ধ চেতনার। ফকির ইলিয়াসের কবিতা আমাদের মনোজগতকে কবিতায়নের শক্তভূমির তেমন মানচিত্রই দেখাচ্ছে।

প্রাপ্তিস্থান ও ফোনে অর্ডারের জন্যে:  গৃহীত গ্রাফগদ্য: ফকির ইলিয়াস। প্রকাশক: অনুপ্রাণন প্রকাশন, বি-৬৪ ও বি-৫৩, কনকর্ড এম্পরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, ২৫৩-২৫৪ ড. কুদরত-এ-খুদা সড়ক (এ্যালিফেন্ট রোড) কাঁটাবন, ঢাকা। প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান, মূল্য: ১৫০টাকা। E-mail: [email protected] ফোন: ০১৭৬৬-৬৮৪-৪৩৬, বিকাশ নম্বর: ০১৯১৯-৫২০-৪৭৩ এবং ০১৬১৯-৮০৯-২৩৫।

 

আপনার মন্তব্য