৮ ডিসেম্বর থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা’

 প্রকাশিত: ২০১৮-১২-০৩ ২৩:১১:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘ইতিহাস ধরবো তুলে-বই যাবে তৃণমূলে’ স্লোগানে শুরু হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা’। আগামি ৮ ডিসেম্বর চারমাস ব্যাপী এই ভ্রাম্যমাণ বইমেলার বইগাড়ি একে একে যাবে দেশের ৬৪ জেলায়।

ওই দিন বিকাল ৩টায় এই বইমেলা আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সামনে শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। বইমেলার আয়োজন করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী ও বইনিউজ।

আয়োজক শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবীন আহসান বইমেলা সম্পর্কে বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইগুলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই বইমেলার আয়োজন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে লেখা পাঁচ শতাধিক বই নিয়ে দেশের নানা জায়গায় যাব, বইগুলো মানুষের হাতে পৌঁছাতে চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস চলে গেলে বইয়ের সাথে এগার মাসের জন্য আমাদের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি। আগের ভ্রাম্যমাণ মেলা থেকে দেখেছি পাঠক বই কিনতে চায়। কিন্তু বই পায় না। ফলে ৬৪ জেলায় আমরা চার মাসব্যাপী বই নিয়ে যাবো। পাঠক হাতের কাছে বই পাবে। বছরব্যাপী বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলাকে জনপ্রিয় করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। এজন্যে বইনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমের স্টুডিও থেকে দিনে তিনবার মেলা বিষয়ক বুলেটিন প্রচার হবে। ভ্রাম্যমাণ বইমেলা কোথায় আছে, পরেরদিন কোথায় যাবে, কোন সময়ে কোন পয়েন্টে অবস্থান করবে তার বিস্তারিত প্রচার হবে। গাড়ি থেকে লাইভ প্রচারও হবে।

এছাড়াও আটটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা পোস্টার করা হবে। পোস্টারে রুটিন দেওয়া থাকবে। সব স্কুল-কলেজে পোস্টার লাগানো হবে। কোন কোন এলাকায় কবে যাবো তার তালিকা থাকবে। ফলে পাঠক আগে থেকে জানবে কবে বইগাড়ি কোন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে।

রবীন আহসান জানান, আমাদের শুধু বই বিক্রি উদ্দেশ্য না। এটা আমাদের একটা আন্দোলনের মতো। বই পড়ানোর আন্দোলন। বইকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আন্দোলন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের অন্যতম সম্পাদক লেখক গবেষক আফসান চৌধুরী; সাংবাদিক, লেখক আবু সাঈদ খান; মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জিয়াউদ্দিন তারিক আলী; একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু; নিউএজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির, শহীদ আলতাফ মাহমুদ কন্যা শাওন মাহমুদ; তরুণ কান্তি দাস (কান্তি); প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী মিতা হক পরিচালিত ‘সুরতীর্থ’-এর শিল্পীরা।

৪ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলার অফিসিয়াল মিডিয়া পার্টনার একাত্তর টিভি, দৈনিক সমকাল, দৈনিক নিউ এজ, চ্যানেল আই অনলাইন ও নারী বিষয়ক পোর্টাল জাগরণীয়া।

বইমেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

আপনার মন্তব্য