নিউজ ডেস্ক:
কবিতা কী পুড়ে ছাই হয়ে যায় অথবা কবিতা কী ছাইভস্ম
হয়ে যাওয়ার মতো কিছু? প্রশ্ন, প্রশ্ন আর প্রশ্ন! প্রশ্নের প্রশ্ন এলো তখনই যখন
ফেসবুকে মহাউৎসাহে সবাই গোয়িং দিচ্ছে একটি ইভেন্টে। ইভেন্টের নামও চমক জাগানিয়া "কবিতা পোড়ানো উৎসব ২০১৪"। স্থান, সময় আর
তারিখ যথাক্রমে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, রাত আটটা আর ত্রিশ ডিসেম্বর বিশ
চৌদ্ধ! আয়োজক সিপাহী রেজা, যিনি নিজেও একজন কবি।
কেন কবিতা পোড়ানো হবে, কেনই বা কবিতাই পোড়াতে হবে
এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেছে সিপাহী রেজার ভাষ্যে এভাবে- “সর্বত্র শুধু উৎপাদন আর উৎপাদন। যে করেই হোক কবিতা উৎপাদন করতেই
হবে, উৎপাদিত কবিতা
বাজারে আসার আগে পাবলিসিটি এমনকি মান্যবর্গ কবি সাহিত্যিক দ্বারা কবিতাটির গুনগত
মানের একটি ফর্দ বের করিয়ে নিতেই হবে। এই ফর্দ বের করিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু কিছু
আয়োজন সর্বত্রই বিরাজমান সেগুলো হলো, 'কবিতা পাঠের আসর' 'কবিতা সন্ধ্যা' 'কবিদের কবিতা সম্মেলন' ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব আসরে কবিতার বক্তব্য কী সেটা এবং বক্তব্যর
পেছনে কবি ও সমালোচকদের বিবৃতি কী তার-ই বয়ান হয়ে থাকে। কবিতা তার নিজস্ব
যৌক্তিকতা দিয়ে নিজ যুক্তি সঙ্গে টিকে থাকতে পারলো কিনা সে কথা কখন হয় না। কবিতাটি
তার উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলো কিনা তার কোন রফাদফা হয় না। সে রফাদফা হওয়ার
উদ্দেশ্যে কবিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি প্রথমবারের মত আয়োজিত "কবিতা পোড়ানো উৎসব
২০১৪"তে। এখানে কবি
স্বেচ্ছায় তার কবিতাকে, তার
নিজস্ব যুক্তি সাপেক্ষে পুড়িয়ে ফেলে- জানান দিতে পারেন কবিতাটি ছাই হয়ে যাওয়ার
পেছনে দায়টা কার বা কীসের! আর পুড়িয়ে ফেলাটা শুধু নষ্ট করে ফেলাই নয়, বরং কবিতাকে ফর্মা বাই ফর্মা কাগজের খাঁচা থেকে মুক্ত করে ছড়িয়ে
দেওয়াও এক ধরণের উদারতা।
সেজন্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাত ৮টায় যখন শীত ঘিরে ধরতে শুরু করবে, কুয়াশা নেমে আসবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, তখন স্বলিখিত বস্তাপচা অথবা মারদাঙ্গা কবিতা পুড়িয়ে আগুন
তাপানোময় এক উষ্ণ উৎসব এবছরের মত উৎযাপন করা হবে। উৎসবে প্রধান অতিথি বলে কেউ
থাকছেন না। যেকোনো দশকের কবি এবং পাঠকদের জন্য উৎসবটি শীতের মাত্রা বুঝে অপেক্ষমান
থাকবে। যারা কবিতা নিয়ে আসবেন তারা অবশ্যই কবিতাটি পোড়ানোর শোক, যুক্তি এবং বীভৎসতা সঙ্গে নিয়ে আসবেন”।
আপনার মন্তব্য